প্রথমেই বলে নেই, যে কয়জন বাংলাদেশী তরুন তরুনী এভারেস্ট বিজয়ী হয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত অর্জনেকে হেয় করা বা তারা এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন কি উঠেননি তা নিয়েও কোন বির্তক সৃষ্টি করা আমার পোস্টের উদ্দেশ্য নয়।
সেই HSC পড়ার সময় থেকেই দেখছি যে সব কাজ করলে সরকারের প্রপাগান্ডা করতে সুবিধা হয় শুধু সেসব কাজেই সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া যায়। যেমন এভারেস্ট বিজয়, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ইত্যাদি। এমনকি এইসব খাতে স্পনসরশীপ পাওয়া কোন ব্যাপারই না। কারণ এ ধরনের কাজে স্পনসরদের ভাল বিজ্ঞাপন হয়। সরকারি অর্থায়ন পাওয়াও কোন ব্যাপার না। স্পনসররা তাদের স্বার্থ দেখবে এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনীমূলক কোন কাজে স্পনসর পাওয়া যায় না। এর একটি মূল কারণ আমি মনে করি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত অর্জনকে স্বীকৃত দেওয়ায় সরকারের অনীহা অথবা অবহেলা। আমরা বিদেশের মাটিতে কোন বাংলাদেশীর গবেষণা, উদ্ভাবনী বা আবিষ্কারের অর্জন ইত্যাদি দেখে আত্মপ্রসাদ লাভ করি, বাঙালী হিসেবে গর্ব বোধ করি কিন্তু নিজ দেশে এই বিষয়ে যে পৃষ্ঠপোষকতার বড় অভাব সে নিয়ে চিন্তা করি না। অথচ তাদের অর্জন যত না বাংলাদেশের তারচেয়ে বেশি তারা যে দেশে আছেন সে দেশের কারণ তারা সেখানে কাজ করার জন্য প্ল্যাটর্ফম পেয়েছেন এবং কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছেন যা নিজ দেশে অনুপস্থিত।
আমাদের দেশে মেধার কোন অভাব নেই। আমার মনে হয় উন্নত দেশের তরুনদের চাইতে আমাদের মেধা কোন অংশে কম নয় বরং বেশিই। বিদেশের মাটিতে তাদের অর্জন তাই প্রমাণ করে। এইরকম ব্যক্তিদের গবেষণা ও অর্জন দেশের উন্নয়নের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। দরকার শুধু সরকারি পৃষ্টপোষকতা এবং অর্জনের স্বীকৃতি। তাই শুধু এভারেস্ট বিজয়ীদের স্বীকৃতি না দিয়ে অন্যান্য খাতেও তরুনদের উঠে আসার পথ তৈরি করতে হবে।
পরিশেষে আমার এক কবি বন্ধুর মতামত দিয়ে শেষ করতে চাই। তার সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। সে আমাকে বলে বাংলাদেশ তো আর চাঁদে উঠবে না যে এবিষয়ে টাকা পয়সা খরচ করতে হবে।
বিঃদ্রঃ আমি কিন্তু বিজ্ঞান গবেষক নই, আমার গবেষণা শিক্ষা নিয়ে।