আমি যেতেই চাইনি নিতান্ত বাধ্য হয়ে আমাকে যেতে হয়েছে সেই সুদুর চায়না। ভিসা পাওয়াটা যে কত বিরক্তিকর এবং ঝক্কিঝামেলা পূর্ন বলার বাইরে । এই কাগজ ঐ কাগজ জমা দাও, চেহারা ব্যাকা কেন ? ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা নাই কেন ?নিজে যেয়ে জমা দিতে হবে ট্রাভেল এজেন্ট গেলে হবে না, ওখানেও আছে "সুলভে ভিসা পাইয়ে দিবার" দালাল বাহিনী ।
ধুত্তরি নাক চেপ্টার দেশে যাবই না! রাগে গজ গজ করতে করতে ভিসাসহ
পাসপোর্ট নিয়ে সেদিন রাতের ফ্লাইটে কুনমিং হ্য়এ সাংহাই অবশেষ বেইজিং। প্লেনে উঠলেই আমার কেন জানি ঘুম পায়, খেতে পারি না খাবার তা যত আহামোরি হোক না কেন। আমি তো উঠেই কম্বল নিয়ে মটকা মেরে পড়ে আছি হায়রে আমার ঘুম পাশের দুই বাংঙালি ভাই " বাংলাদেশের সমস্যা আর এ থেকে উত্তরনের ১০০ টি উপায় " নিয়ে টক সো শুরু করলেন, সারা পথ আমি পাশে বসা একমাত্র শ্রোতা ! রাত ২ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত ! সকালে থেকে আমাকে Embassy, office, presentation, home management এসব নিয়ে চরকির মত ঘুরতে হয়েছে রাত ২ টার প্লেনে উঠেও এক ফোটা rest পেলাম না মেজাজ যে কি খারাপ হয়েছিল । নামার সময় দেখি ঐ ২ জন আমাকে বলছেন আপা কি বিরক্ত হলেন নাকি ? আমি হাসিমুখে বললাম না ঠিক আছে । মনে মনে বল্লাম বেটা .........।
ভাগ্য ভালো Metal ditector এর মত অনুভূতি Ditector নেই !
কুনমিং থেকে সাংহাই নিজের হোটেলে পোঁছাতে বেলা ১ টা বেজে গেলো।
হোটেলে ঢুকে মেজাজ ভাল হয়ে গেল আহা ৩৬ তলার উপরে আমি ।
সাংহাই শহর আর দশটা কমার্শিয়াল সিটির মতই, ইট পাথরের মেলা। আমি চেয়েছিলাম চায়নার এতিহ্য দেখতে, সাংহাই শহরের বৈশিষ্ট্য পরখ করতে, পেয়ে গেলাম সুজোগ একদিন সারাদিন YU Garden ঘুরে রাত ১০ টায় গেলাম Bund দেখতে সাথে বন্ধুসম কলিগকে নিয়ে।
YU Garden হল চায়নার লোকাল বাজার যেখানে আজো দোকানদাররা ডেকে ডেকে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে পন্য কিনবার জন্য, পুরোনো বিল্ডিংগুলো সংস্কার করে আগের মতই রেখেছে। আর Bund হল একমাত্র শহর ঘেসা নদী আমাদের বুড়িগঙ্গার মত। নদীর পাশে বিশাল walkway , নদীতে river crusing এর ব্যবস্হা আছে, নদীরপাড় ঘিরে যত পুরনো বাড়ীঘর সংস্কার করে আলোকজ্জল করে রেখেছে । সাংহাই শহরের must see দেখে এবার উড়াল দিলাম বেইজিং এর উদ্দেশে ।
চলবে.......
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১২ দুপুর ১:২০