somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংসদে এসে ক্ষমা চাওয়ার দাবি : সংসদে সমালোচনা মর্মাহত আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

০৪ ঠা জুন, ২০১২ সকাল ৮:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আওয়ামী লীগ তার জনসর্মথন শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাবার জন্য উঠৈপড়ে লেগেছে। তার জন্য বেছে নেয়া হচ্ছে বিশিষ্ট নাগরিক ব্যক্তিত্বদের। আমাদের সাংসদ ও মন্ত্রীরা যে চোর-ডাকাত তা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলার আগে কি কেউ জানতো না! সাসংদের এই চেহারা ভোটের আগে কোথায় থাকে?

প্রথম্ আলোতে প্রকাশিত নিচের সংবাদটি পড়ুন:

সংসদে সমালোচনা মর্মাহত আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সাংসদদের বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন করে বক্তব্য দিয়েছেন বলে সংসদে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ জন্য তাঁকে সংসদে এসে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্বকালে সরকারি দলের সাংসদ আলী আশরাফসহ কয়েকজন সাংসদ এ জন্য সাংসদদের কাছ থেকে বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্নের নোটিশ আহ্বান করেন।
তবে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রথম আলোকে বলেছেন, সাংসদদের অধিকার ক্ষুণ্ন তো দূরের কথা, সেদিনের বক্তব্যে তিনি সাংসদ শব্দটি উচ্চারণই করেননি। তাঁর বক্তব্যকে সংসদে ভুলভাবে উপস্থাপন করায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত বলে জানিয়েছেন।
গতকাল সংসদে অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম। তিনি বলেন, শনিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি অনুষ্ঠানে একজন বুদ্ধিজীবী সাংসদ ও মন্ত্রীদের চোর-ডাকাত বলে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন। তাঁর এ বক্তব্য দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘এসব বক্তব্য গণতন্ত্রের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। আমরা এখানে জনগণের রায় নিয়ে এসেছি। অনেকেই আছি যারা বারবার নির্বাচিত হয়েছি। আমরা কেউ ধোয়া তুলসী পাতা নই। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। সে জন্য আইন আছে। ভুল করলে জনগণ বিচার করবে।’
এরপর জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক বলেন, ‘এ মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। দেশের সকল অর্জনের পেছনে রাজনীতিবিদদের ভূমিকা রয়েছে। জনগণ ভোট দিয়ে সাংসদদের নির্বাচন করেছেন। অধ্যাপক আবু সায়ীদকে আমরা শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ভোটারদের অবমাননা করেছেন।’
এরপর শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এই বক্তব্য গণতন্ত্র ও সংসদের ওপর আঘাত। বুদ্ধিজীবীরা জাতির বিবেক হয়েছেন। বিপদে তাঁদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, তবে প্রমাণসহ উপস্থাপন করেন। সেই মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। কিন্তু ঢালাও অভিযোগ করা যাবে না।
শেখ সেলিম অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘যেসব বুদ্ধিজীবী সরকারের সমালোচনা করেন, তাঁদের আয়ের উৎস কী, তা খতিয়ে দেখেন। এক-এগারোতে তাঁরা কী করেছেন, তা আমাদের জানা আছে। একজন শিক্ষক এত দামি গাড়িতে কী করে চড়েন? নির্বাচিত সরকার থাকলে তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। অনির্বাচিত সরকার থাকলে তাঁরা পদ পান। এক-এগারোর পর ব্যবসায়ী, ছাত্র, শিক্ষকদের যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তো তাঁরা একটি কথাও বলেননি, বরং সেই সরকারের প্রশংসা করেছেন।’
স্পিকারের দায়িত্ব পালনকারী আলী আশরাফ সাংসদদের বক্তব্যকে যথার্থ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের আকাশে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। সংসদকে অবমাননার মাধ্যমে দেশের জনগণ ও সংবিধানকে অবমাননা করা হয়েছে। এতে সাংসদদের বিশেষ অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো বক্তব্য নয়। সে জন্য তাঁকে (আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ) বিশেষ অধিকার কমিটির মাধ্যমে নোটিশ করে আমরা এ সংসদে তলব করতে পারি। কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ, সংসদকে অবমাননা করার অধিকার কারও নেই।’
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ যা বলেছিলেন: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ গত শনিবার টিআইবির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। বক্তব্যের শুরুতে দুর্নীতি কী, তা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চোর যে চুরি করে, ডাকাত যে ডাকাতি করে, সেটি কি দুর্নীতি? আমার ধারণা, এটা দুর্নীতি নয়। কারণ, দুর্নীতি শব্দের মধ্যে আরেকটি শব্দ লুকিয়ে আছে। শব্দটি হলো ‘নীতি’। চোর বা ডাকাতের কাজ ঠিক দুর্নীতি নয়। কারণ, তাদের কোনো নীতিই নেই। সুতরাং, দুর্নীতি সেই মানুষটি করে, যার নীতি আছে। একটা উদাহরণ দিই। যেমন—যদি একজন মন্ত্রী এই বলে শপথ নেন যে তিনি শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ না করে সবার প্রতি সমান বিচার করবেন, কিন্তু পরে তিনি সেটি না করেন, সেটা হবে দুর্নীতি।’
তাঁর এই বক্তব্যের রেকর্ড প্রথম আলোর কাছে আছে।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×