somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান (১ম পর্ব): পকেটে বিদ্যৎ নিয়ে ঘুরোঘুরি বন্ধ করুন, লোডসেডিং সমস্যার সমাধান বের হবেই হবে।

০২ রা জুন, ২০১২ রাত ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পোষ্টটি দেয়ার কথা ছিল অনেক আগেই, কিন্তু কি কারনে পারিনি তা আপনার নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন মনে হয়।হ্যাঁ যা চিন্তা করেছেন ঠিক তাই। লোডসেডিং! এই লোডসেডিং এর জন্য যতবার এগিয়েছি ততবারই পিছিয়েছি। তাই শেষে লেখাটি একটি খাতায় উঠিয়ে অনেক কষ্টে টাইপ করছি। কিন্তু কেউ কেউ যেনে অবাক হবেন যে, আমাদের এই বাংলাদেশেই এমন কিছু শ্রেনীর লোকজন আছে যারা লোডসেডিং কি তা একমাত্র টিভি আর পত্রিকা পড়েই শুধু জানতে পারেন।

ছোট্ট বেলায় একটি গল্প শুনেছিলাম যে, কোন এক রাজার অদ্ভুদ এক শখ হয়েছিল যে সে বাঘের দুধ খাবে।অবশেষে সে বাঘের দুধ পায় কিন্তু এর জন্য তার বিরাট অংকের অর্থ ব্যায় করতে হয়। সে তা সাবলীল ভাবে করওে কারন সখের তুলা নাকি ৮০০ টাকা সের। আলোচ্য গল্পে দুটো দিক লক্ষনীয় এক হলো রাজার ক্ষমতা আর ২য় হলো তার বিত্ত।

ঠিক আমাদের সমাজেও বিত্তশালী ক্ষমতাবানদের দাপটে সাধারণ মানুষ অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশে যে পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাতে আমাদের কতটুকু চাহিদা পূরন হয় তা শুধু ঢাকা শহড়ের করুণ অবস্থা দেখলেই হবে গ্রামে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমাদের সমাজের কিছু চালক শ্রেনীর ক্ষমতাবান লোক আছে যারা ঢাকাতেই কি আর তাদের নিজ দেশের বাড়িতেই কি বিদ্যুৎকে যেন নিজ ব্যাক্তিগত গাড়ির চাবির মতই পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আপনাদের সামনে একটা ঘটনা হাতে কলমে দেখাচ্ছি।



এখানে লেখা আছে যে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জনাব মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লা বিভিন্ন সময় তার গ্রামের বাড়ি যান এবং এর জন্য তিনি যতদিন সেখানে অবস্থান করেন ততদিন সেখানে অর্থাৎ তার গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুৎ ঘাটতি করা যাবেনা।এভাবে করেই তারা নিজের পকেট করে বিদ্যুৎ নিয়ে যান। এটা দেখে আমি বুঝতে পারলাম যে, যারা দেশের বিদ্যুৎ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এর থেকে জাতীকে উত্তরনের পথ দেখাবে তারাই যদি নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিদ্যুৎ পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারা দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ তা শুধু খবর পড়ে বা দেখে বুঝতেই পারবেনা। কারন এই প্রভু শ্রেনীর লোকেরা কখনোই টিভি পত্রিকা ছাড়া বোঝেনা যে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেশকে কোন পথে নিয়ে যা্চ্ছে। আর সরকার কুইক রেন্টাল স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরো বিপথের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিগত অর্থবছর যার প্রমাণ বহন করে। জ্বালানী খাতের ভর্তূকি ৩৩০০০ কোটি টাকার উপরে উঠার উপক্রম হয়েছিল যা পরর্বতীতে এক অর্থবছরেই জ্বলানী তেলের মুল্য তিন দফ বৃদ্বি করে ৮০০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আর বিদ্যুৎ খাতের বাজেটের চাইতেও প্রায় ২০০০ কোটি অতিরিক্ত ভর্তূকি ইতোমধ্যে হয়েছে। সুতরাং খবরে আমরা যা দেখছি যে, প্রধানমন্ত্রী সাহেবা কিছুদিন পর পর একটি করে নতুন নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট উদ্ভোদন করছেন তাতে আমাদের খুশি হওয়ার কিছু নেই। বরং একটি উদ্ভোদন অর্থনীতিতে একটি করে ডিনামাইট স্থাপন করার সামিল। কেননা রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট কোন দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান নয়। অবশ্য আম-লগি বৈঠা পন্থীরা বলেন যে, “নাই মামার চাইতে কানা মামা অনেক ভাল।” কিন্তু এই কানা মামা স্থপনেও সরকার দেশের কোটি কোটি টাকা লোটপাট করছে যার প্রতিবেদন পরবর্তী খন্ডে দেয়া হবে। কিছুদিন আগেও পাকিস্থানের হাইকোর্ট তাদের দেশের সমস্ত রেন্টালকে অবৈধ ঘোষনা করে। পাকিস্থানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্রও যদি তাদের স্বার্থ বোঝে তবে আমরা কেন বুঝবনা! আমরা কি তাহলে ওদের চাইতেও অধম?

তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন এই যে, দয়া করে বিদ্যুৎ সমস্যা মোকাবেলায় আশু বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহন করুন এবং নিজেকে আংশিক দায় মুক্ত করুন। তা না হলে সামনে যে জন বিস্ফোরন ঘটবে তা আপনার সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। কারন জনগন কোন বি-এন-পি, আওয়ামিলীগ তথা কোন রাজনৈতিক দলের চামচা না যে মামলা হামলা আর হরতাল দিয়ে তাদের দামানে যাবে।আর নিজের পুরপুরি সম্ভবনা হলেও কিছুটা লোডসেডিংয়ে থাকার চেষ্টা করুন। তা না হলে আপনাদের সুন্দর চামড়ায় অনুভুতি ঢুকবেনা। ছোট্ট বেলার একটি কবিতা দিয়েই শেষ করব।

“চীর সুখী জন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে?”

ধন্যবাদ সবাইকে এত কষ্ট করে লেখাগুলো পড়ার জন্য। আপনাদের উৎসাহ পেলে পরের খন্ডগুলো প্রকাশ করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১২ রাত ১২:৫৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×