somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ সম্পর্কে কয়েকটি ভবিষ্যৎ বানী করেনতো সবাই!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন সময়টা এমন যে কেহ চাইলেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারে। শাহবাগ আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল প্রথম থেকেই অনেকেই জানত এই আন্দোলন আওয়ামিলীগের দীর্ঘ পরিকল্পনার একটা অংশ। তাঁরাই আন্দোলনের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত সেই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। আন্দোলনের নানান অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। আমরা দেখে এসেছি প্রায় সকল মিডিয়াই তখন শাহবাগীদের সমর্থন জানিয়েছেন। তিলকে তাল বানিয়ে প্রচার করেছেন জনগনের সামনে। সাধারণ জনগনের একটা অংশ তথাকথিত মিডিয়ার মিথ্যা প্রলোভন এবং প্রচারনায় বিভ্রান্ত হয়ে শাহবাগে গিয়েছিল! গনজাগরনের লোকসংখা বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও চেষ্টার ত্রুটি ছিলনা। স্কুল-কলেজের হাজার-হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে তখন বাধ্যতামূলক ভাবে ক্লাস বন্ধ রেখে শাহবাগে যেতে হত। উদ্দেশ্য ছিল তাদের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের বৈধতা আদায়ের জন্য একটা পটভূমি তৈরি করা। তাদের কর্মকাণ্ডে যে সাধারণ মানুষের সমর্থন আছে, থাকবে তাই দেখানোর উদ্দেশ্যেই শাহবাগ নাটকের সূচনা!
আর এজন্য বেছে নেয়া হল কিছু পথভ্রষ্ট তরুনদের। কারন তাঁরা জানে প্রগতিশীল-বাস্তববাদী কোন মানুষ সেই অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিবেনা। তাদের শত শত দুর্নীতির কাছে কোন চিন্তাশীল তরুন মাথা নত করবেনা।
(শাহবাগের সবাই কিন্তু পথভ্রষ্ট না। সেখানে অনেক মেধাবী চিন্তাশীল যুক্তিবাদি মানুষও আছে। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছেনা তাদের আবেগকে নিয়ে কত বড় নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। হয়ত বুঝতে পেরেও কিছু করতে পারছেনা। এখন খুব দেরী হয়ে গেছে! না পারে গিলতে, না পারে ফেলতে এই অবস্থা হয়েছে এখন তাদের!)

যাহোক, দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকের শাহবাগ পর্ব সরকার সফল ভাবেই শেষ করল। তারপর, সাঈদির ফাঁসির রায়! সরকার ভাল করেই জানত সাঈদির ফাঁসির রায় হলে দেশের পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে যাবে। দেশের সেই সংঘাতময় পরিস্থিতির দায় জামাত শিবীরের ঘাড়ে চাপিয়ে সরকার কিছুটা জনপ্রিয় হতে চেয়েছিল। সরকারের উদ্দেশ্য এখানেও মোটামোটি সফল। দেশে সংঘাত হয়েছে হচ্ছে।

জামাত শিবিরের সমর্থকরা হামলা,ভাঙচুর করা শুরু করেছে। মন্দিরে আগুন দিচ্ছে। হিন্দু, সংখালগুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে!
সাধারণ মানুষরাও ভাবতে বসে গেল। জামাত শিবিরতো দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। একজন সাঈদির জন্য শত শত মানুষের জীবন নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছে জামাত শিবির! দেশের পতাকা পুড়াচ্ছে! শহীদ মিনার ভাঙছে!
প্রায় সব মিডিয়াই জামাত শিবিরের নিন্দার ঝড় উঠে গেল। কিন্তু কোন মিডিয়াই ছবি, ভিডিও সহ প্রমান দিতে পারছেনা।
দেশের মানুষ এক টিভি চ্যানেল থেকে অন্য টিভি চ্যানেলে যায়। এক পত্রিকা থেকে অন্য পত্রিকায় চোখ রাখে। সব একই কথা!
"আমার দেশ" পত্রিকায় সেই খবরটাই আসে। একই মন্দির, একই শহীদ মিনার, একই সংঘাত! কিন্তু তাদের প্রমান, তাদের ছবি অন্যগুলো থেকে আলাদা!
সাধারণ মানুষ দেখতে পায় অন্য মিডিয়াগুলো যেই সংঘাতের দায় জামাতের উপর চাপাচ্ছে সেই সংঘাতগুলো সংঘটিত হচ্ছে ছাত্রলীগ দ্বারা। যুবলীগ, আওয়ামিলীগ, পুলিশলিগ দ্বারা!

জনগন সচেতন হতে শুরু করে। অসহায় জনগন কোন উপায় দেখেনা। কোন রাজনৈতিক দলেই তাদের আর ভরসা হয়না। ঠিক সেই মুহুর্তে "হেফাজতে ইসলাম" নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠের আবির্ভাব হল। বঞ্চিত জনগন তাদের দলে ভিরে গেল। গত লং-মার্চে আমরা তার কিছু চিত্র দেখেছি। শত বাধা উপেক্ষা করে যেভাবে লক্ষ-লক্ষ মানুষ ঢাকার দিকে আসতে লাগল তা দেখে আওয়ামিলীগ সরকারের ভিত কেঁপে উঠল।

তারা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে দেখল সাধারণ জনগন ক্ষেপলে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কষ্ট হয়ে যাবে। সাধারণ জনগনের এই জোয়ার থামাতে হবে। কিভাবে?
"আমার দেশ" বন্দ করে দিতে হবে। মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁর উপর নির্যাতন চালাতে হবে। তাহলে অন্য মিডিয়াগুলোও ভবিষ্যতে প্রতিবাদি হতে সাহস পাবেনা! মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হল!

( চলবে...। আজ খুব ব্যাস্ত! হয়তো আগামি কাল!)

শাহজাহান আহমেদ
মিশিগান, আমেরিকা।
এপ্রিল ১১-২০১৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×