আমার আর ফেরা হয়না
সন্ধ্যায় যখন পূবের জানলা দিয়ে,
পোয়াতি চাঁদটা উঁকি দিল,
আমি ঠিক তখনি বুঝে গিয়েছি,
তুমুল এক জোছনা প্রসব করবে বেটী,
আমার আর বুঝি ফেরা হবে না!
রাতের বেলা প্রহর গড়ালে,
চাঁদের কোলে, ঠিক চাঁদের মত,
ফুটফুটে এক জোছনা বসে আদর খায়,
তখন চন্দ্রকন্যা জোছনা বিবির নিতান্ত শৈশব।
কলকল, ছলছল হাসির আলোয়,
প্রহর ফুরানোর আশীর্বাদ অথবা অভিশাপে,
যৌবন এসে ভর করে চন্দ্র কন্যার আঁচলে।
আহা মরি মরি! চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যায়!
আমার মনে তখনি ঘণ্টা বেজেছে,
আজকে বুঝি আর ফেরা হবে না!
গড়ের মাঠের ডাইনীটাও,
চক্ষে বহু দিবসের নিশাচর ক্ষুধা নিয়ে
পুকুর ঘাটের জলে তাকিয়ে,
নির্নিমেষ বসে থাকে...
সেই খবরে লবন পর্বতের কোলের কিছু
মেঘের পোনা রওনা দেয়,-
বাতাস দূতের কাঁধে ডানা ছুঁইয়ে।
আমি ঠিক তখনি বুঝে গেলাম,
আজকেই তাহলে সেই দিন!
চাঁদের আলোয় পায়ের তলা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে,
আষাঢ়ের ভরা পূর্ণিমায় পথে নেমে পড়লাম-
আমি জানতাম, আমার আর ফেরা হবে না...
****************************************************************
আজ আষাঢ়ে পূর্নিমা। আজ একটি বিশেষ দিন! আজকের দিনে নির্বানের খোঁজে এক রাজকুমার পথে নেমেছিলেন, এক আকাশ দুঃখ তিনি এক বুকে পান করেছিলেন ! তাঁর নাম ছিল সিদ্ধার্থ! আজ সেই মায়াবী চাঁদ আবার উঁকি দেবে। গৃহত্যাগী জোছনায় ভাসিয়ে দেবে চরাচর, ঘরপালানো সব পথগুলো চোখে জোছনার কাজল মেখে ডাকবে আয়, আয়, আয় ...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৫