শ্রাবণের রেশমি ফুল ছুঁতে গিয়ে খুলি দুপুরের দুয়ার।পুরো বাড়ি থেকে যেনো দৌড়ে বের হয়ে আসে একজন কুমারী একটি ঘোড়া ও তাদের নিজনিজ ছায়া।খোলা উঠোনে রোদেরা শস্যের বুকে শুয়ে অই বয়সে গানপাখির দলে মিশেছিল।আমি সেই ভীড় থেকে দূরে সরে থোকা থোকা বাতাসের বাদলায়,ছবি ও ছায়ায়,তড়িঘড়ি বসে যাই ধূসরের দলে।জানালার পাশে এসে রাতজাগা রাঁধুনিরা নিজের ভেতর নিখোঁজ হয়ে গান শুনায়।মুঠোফোনে বার্তা পাঠায় রুপোর চামচ চুম্বনের। পৃথিবী বিশ্রামে গেলে দ্রুত গতির সে ঘোড়া বিক্ষিপ্ত বায়ুকোষে মিলিয়ে গিয়েছে,বিলাসী বালুভুমিতে ঘোড়াসওয়ারী নেমে গিয়ে হেঁটে যায় দুধালো চন্দ্রগোলকের ভেতর।বুকে বন্দী করে নিয়ে আসে একটা শাদা মেঘ,অনেকদিন পর শ্রাবণের নিঃসীম আকাশে কাঁচের করিডরে জন্ম নিয়েছিল পঞ্চমী প্রজাপতি।
সেই মহাসড়কের উপর দ্রতগামী দুই ফালি গন্তব্যে চলে গিয়েছে পরিচিত পায়রা।দীর্ঘ দিবস আমি সব শূন্যতা বুঝে নিয়ে স্টেশনে বসে থাকি,অমনোযোগে দেখি সবুজ আর সোনালী শিশুর সাথে জেগে ওঠে মিটমিটে এক জোড়া চোখ।কাকময় ময়দানে পাহাড়ের শিয়াল ডাকে স্পষ্ট শীতল।এই বিকেল যেনো গোলাঘরের গোখরা,পলাতক সুরঙ্গ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে শৃঙ্খলতায়--সাপুড়ের হাতে।
মঙ্গলনিশির অচিন জাদুকর এই কাঁচবোতল থেকে জাগিয়ে তোলে কোন অবিনাশী বাজপাখি।বিষাক্ত মানুষ সারিবেঁধে সুপের বাটিতে ভরে সমুদয় সঙ্গীত আর নৈঃশব্দ্যের নুড়ি।
মাজহার সরকার,সোনেলা রোদের সাঁকো, পার্ল পাবলিকেশন্স,একুশে বইমেলা ২০১২