somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চির সবুজ ২৫
যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে - বুঝবে সেদিন বুঝবে! ছবি আমার বুকে বেঁধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি, সাগর আকাশ বাতাস চিরি' যেদিন আমায় খুঁজবে - বুঝবে সেদিন বুঝবে!

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাইফ ফলক

৩০ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম (SDEMS) সফটওয়্যার উদ্বোধন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিভাগে ব্যাপকভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ Student Database and Examination Management System (SDEMS) সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম Student Database and Examination Management System (SDEMS) ব্যাপকভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরী করেছে। IBCS-PRIMAX Software (BD) Ltd. কোম্পানী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই সফটওয়্যারটি তৈরী করে। IBCS-PRIMAX Software (BD) Ltd. কোম্পানীর চেয়ারম্যান এম. এ. তৌহিদ বলেন, “ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম SDEMS সফটওয়্যার তৈরী করা হয়েছে।” উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত আগ্রহে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন-২০২১ এর অংশ হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Database তৈরী এবং সেমিস্টার পদ্ধতির সকল পরীক্ষা কার্যক্রমে Automation পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

এ লক্ষ্যে উপাচার্য মহোদয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটাবেজ ও পরীক্ষা পদ্ধতির উপর অভিজ্ঞ শিক্ষক ও কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির ঐকান্তিক ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঐতিহাসিক সাফল্যের দারপ্রান্তে উপনীত হয়। উপাচার্য SDEMS সফটওয়্যার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ার স্বপ্ন পূরণে এক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অতি সহজে ট্রান্সক্রিপট, ফাইনাল গ্রেডশীট, সেমিস্টার গ্রেডশীট, সনদপত্র পেতে শুরু করবে।

একই সাথে বিভিন্ন পরীক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দকে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে এখন থেকে ম্যানুয়াল টেব্যুলেশন শীট ও রেজাল্টশীট তৈরী করার মত জটিল কর্ম সম্পাদন করতে হবে না। এসময় উপাচার্য বলেন, “এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার ফলাফল অটোমেশন করা হয়েছে। ফলে পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত গতিতে স্বল্পসময়ে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। শিক্ষকদের ক্লাস পরীক্ষা নিতে সুবিধা হবে। এই সফটওয়্যার তৈরী একটি যুগান্তকারী কাজ। কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিপূর্বে এ ধরনের কোন সফটওয়্যার তৈরী করা হয়নি। এই সফটওয়্যার তৈরী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাইফ ফলক হয়ে থাকবে।

নিয়ম-কানুন মেনে অতি সতর্কতার সাথে কাজটি করলে এই সফটওয়্যার সেবা আমরা দীর্ঘদিন পেতে পারব। অতি শীঘ্রই মাস্টার্সের পুরো কোর্সটি এই সফটওয়্যারের আওতায় আসবে। ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল।

” সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সফটওয়্যার কমিটি আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, “উপাচার্য মহোদয়ের নিরলস চেষ্টায় আমরা কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। সর্বাধিক মানসম্পন্ন করে অতি দ্রুত সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভভ হবে।” শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল তৈরী করা সম্ভব হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্য্যক্রমে আরো এগিয়ে যাবে।” এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “শিক্ষকরা নিয়মিত খাতা দেখলে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল প্রস্তুত করা সম্ভব হবে। সফটওয়্যারটি বিভিন্ন দিকে তুলে ধরেন সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সফটওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজার জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সফটওয়্যার কমিটির সদস্য-সচিব এ. কে. এম. আক্তারুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

News courtesy: campusnews24bd.com
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×