আমার ছোটবেলা হতেই বেতিক্রমি কাজ করতে ভাল লাগে । আমার সব ভাইরাই যখন ক্লাশে ফাস্ট সেকেন্ড হয় । আমি তখন ইস্কুল পালিয়ে গাছে চড়ে থাকতাম । পরে বড় হয়ে শুনলাম নামি দামি লোকেরা নাকি এরকম করতেন । নজরুল রবি ঠাকুর, তাইলেতো আমিও উনাদের কাতারে । বাবার চাইতে মা ই বেশি পেদানী দিত । আর স্কুল কামাই মানেই পেদানী আর ঠেঙ্গানী । দাদা জান খুব ভাল বাসতেন আমার চেহারা নাকি দাদার বাবার মতন । তাই মা এর পেদানী কিছুটা বাচতাম দাদার কারনে । এভাবেই পড়াশুনায় ভাল ভাবেই গোল্লায় যেতে থাকলাম ।
পড়াশুনা যাক গোল্লায় । আহ কিসুখ সারাদিন পাখির বাসা খুজে । বিলের বরফ শীতল পানির মাঝে হাত দিয়ে শিং মাছ ধরতে । আমার মাছ ধরা দেখে জেলেরাও লজ্জা পেত । এভাবেই উড়ে চলে গেল জীবনের অনেক গুলান বছর । কিভাবে কিভাবে SSC HSC পাসও করে গেলাম । এর পরে রাজশাহী কলেজেও চ্ন্স পেয়ে গেলাম । কি আজব কান্ড, পরিক্ষার ১ সপ্তাহ আগে ছাড়া বই চোখে দেখিনি । কি ভাবে পাস করি আল্লাই জানে । যাই হোক আমার দাদা ছিলেন ব্যাসায়ী । আমার বাবা ইস্কুল শিক্ষক । বাবা চায় চাকরী করি আমার নারাজ ব্যাসায় ।
কিন্তু কি ব্যাবসা করবো ?
সবাইযা কের তা আমার পছন্দের না । কিছুটাতো বেতিক্রম থাকতে হবে । তাই কয়েকটা ব্যাবসার প্লান বের করেছি । আপনারাও পরমর্স দান করতে পারেন ।
১. আমাদের এলাকার উৎপাদিত বিভিন্ন পন্য ঢাকায় বিক্রি করা । একটা ফ্যান পেইজ এখানে
২. পেইং গেস্ট ।
মানে কি ? সহজ আমরা যারা সহর বাসী ৩-৪ মাস কাজ করলেই আমাদের মন সহরের বাইরে যাবার প্রচন্ড তাগিদ দিতে থাকে । আর সে কারনেই আমরা কক্সবাজার, সিলেট ছুটে যাই । তবে একবারও ভেবে দেখেছেন কি রাজশাহীর গ্রাম গুলোতে গেলে । আপনাদের ছাড়া কোন পর্যটক চোখে পড়বে না । যেটা আর কক্সবাজার, সিলেটে প্রচুর পর্যটকদের ভিড় থাকে । রাজশাহীর লোকেরা বড়ই অমায়ীক তাই এখানে ঠগের পাল্লায় আপনার পড়ার সম্ভাবনা নাই। সব কিছুই ফ্রেস টাটকা দামও খুবই কম ।
আমি শুরু করতে চাই আপনার আসলে বলবেন । প্রথম ২০ পরিবারের জন্যে ফ্রি সার্ভিস গাইড ফ্রি । যেগুলান ফ্রি না (১. খাওয়া দাওয়া, যাতায়াত, তাবু বা ঘর ভাড়া ) । নিজ নিজ পরিবারের জণ্যে তাবে সাথে আনরে ভাল হয় ।
আর কি কি পাবেন :
১. গরু মহিষের গাড়িতে ভ্রমনের সুযোগ । ২. ট্রি হাউজে বসবাসের সুযোগ । ৩. মাছ ধরা । ৪. গ্রমের ঐতিহ্য লাঠি খেলা । ৫. বেশি পরিবার হলে বিভিন্ন বেতিক্রমী প্রতিযোগাত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১২ রাত ১০:৫৫