বিখ্যাত দার্শনিক কনফুসিয়াসের কাছে এক আগন্তুক প্রশ্ন করলেন, আপনি কি পাশের গ্রামের জিন জুনকে চেনেন?
কনফুসিয়াস বললেন, না
বলেন কি, জিন পাটখড়ির মাথায় আগুন দিয়ে সিগারেটের মত টেনে ধোঁয়া নাক-মুখ-চোখ-কান দিয়ে বের করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, অথচ আপনি তাকে চেনেনই না!
খানিকক্ষণ চুপ থেকে কনফুসিয়াস জিজ্ঞস করলেন, লোকটির পাটখড়ি-নিঃসৃত ধোঁয়ায় কী ভাত রান্না করা যায়?
না।
পানি গরম হয়?
না।
ওই ধোঁয়া কী কারো কোনো কাজে লাগে?
না।
এবার কনফুসিয়াস আগন্তুককে বললেন, যা কারো কোনো কাজে লাগে না, তা জ্ঞান নয়। আর এমন কোনোকিছু না জানলেও কোনো ক্ষতি নেই।
×××××
আমাদের দেশের নর-নারীরা দলে দলে পাহাড় ডিঙ্গাচ্ছেন।
হিমালয়ে উঠছেন। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী তাদের পেছনে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছে। মিডিয়ায় ফলাও করে সে খবর ছাপা হচ্ছে। সবাই ধন্য ধন্য করছেন!
কিন্তু প্রশ্ন হলো, হিমালয়ের চূড়ায় বসে কফি পান করা, বিশাল পতাকা ওড়ানো, সাঁতরে সমুদ্র পাড় হওয়া, পাইপ বেয়ে ২০তলা ভবনের ছাদে উঠতে পারা-এতে কার কি লাভ? এতে কে কী উপকার পায়? যদি তা
না হয় তবে এসব নিয়ে কেন এত হৈ-চৈ!