শহরের পশ্চিম পার্শে একটি গ্রাম । গ্রামটির নাম সোনাপুর । গ্রামটি খুবই ভুতুরে। তার মধ্যে বিশেষ করে উত্তরের ওই পুরোনো বাড়িটি । লোকেরা বলেএ বাড়িতে নাকি দুজন ডাকাত থাকত।তারা অনেক লোককে অন্যায় ভাবে মারত ।তাদের মৃত্যুর পর তাদের আতœা নাকি ডাকতি করা সোনা-দানা , হীরা - মোহর পাহারা দেয় । যেই সেগুলো নিতে যায় সেই হিরার মূর্তি হয়ে যায়। তাই ওদিকে কেউ ভুলেও পা বাড়ায় না।
সেই গ্রামেরই কিশোর চারজন বন্ধু ।রহিম , স্বপন , কবির , অসীম। তারা একসঙ্গে নতুন নতুন রহস্য উৎঘাটন করত।
ওরা ঠিক করল যে ওরা বাড়িটিকে আতঙ্ক মুক্ত করবে । সেদিন ছিল আমাবর্ষার আগের রাত।
চরাদক ছিল আতঙ্কে ভরা। সবাই মিলে বাড়িটির সামনে গেল । হিরার আলোয় যেন বাড়িটি আলোকিত হয়ে আছে।অসীম একটি ফুটো দিয়ে বাড়ির ভিতরে দেখল যে ভিতরে অনেক সোনা-দানা , হীরা সাজানো আছে। অসীম বাড়ির ভিতর ঢুকে সেগুলো ছুয়ে ফেলল।সঙ্গে সঙ্গে অসীম হীরার মূর্তি হয়ে গেল ।
ওহিম , স্বপন , কবির সারা রাত না ঘুমিয়ে ভাবতে লাগল কিভাবে অসীমকে বাচানো যায় ।অবশেষে তাদেও মাথায় বুদ্ধি এল।
তাদের কাছে কিছু সোনা ছিল ।সেই সোনা নিয়ে তারা ভুতুরে বাসাটিতে এল।সেকানে গিয়ে বলল ডাকাত বন্ধু আমরা তোমার জন্য কিছু সোনা এনেছি ।আমরা তোমার বন্ধু হতে চাই।কোথা থেকে যেন উত্তর এল ! ‘সোনাা গুলো রেখে দে। আর তোদের ব্যবহার আমাদের ভাল লাগল । তোরা কাল থেকে প্রতিদিন এখানে আসবি ।” রহিম বলল তার আগে আমরা জানতে চাই হিরার মূর্তি হওয়া মানুষগুলো কখন মুক্তি পাবে ? আর আপনি কবে মুক্তি পাবেন।
মৃত ডাকত বলল আমি খারাপ কাজ করতাম বলে সবাই আমাকে ঘৃণা করে । প্রতি বছরে যদি একই দিনে আমার পূজা করা হয় তবেই আমি মুক্তি পাব । আর আমার প্রথম পুজায় হিরার মূর্তি হওয়া মানুষগুলো মুক্তি পাবে
ওরা তিনজন গায়ের জমিদারের সাথে কথা বলে পূজার আয়াজন করা হল । সেই থেকে প্রতি বছর গাড় সংক্রান্তি হয়ে আসছে।