somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রহস্য উৎঘাটন : উত্তরের বাড়িটি

২৮ শে মে, ২০১২ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শহরের পশ্চিম পার্শে একটি গ্রাম । গ্রামটির নাম সোনাপুর । গ্রামটি খুবই ভুতুরে। তার মধ্যে বিশেষ করে উত্তরের ওই পুরোনো বাড়িটি । লোকেরা বলেএ বাড়িতে নাকি দুজন ডাকাত থাকত।তারা অনেক লোককে অন্যায় ভাবে মারত ।তাদের মৃত্যুর পর তাদের আতœা নাকি ডাকতি করা সোনা-দানা , হীরা - মোহর পাহারা দেয় । যেই সেগুলো নিতে যায় সেই হিরার মূর্তি হয়ে যায়। তাই ওদিকে কেউ ভুলেও পা বাড়ায় না।
সেই গ্রামেরই কিশোর চারজন বন্ধু ।রহিম , স্বপন , কবির , অসীম। তারা একসঙ্গে নতুন নতুন রহস্য উৎঘাটন করত।
ওরা ঠিক করল যে ওরা বাড়িটিকে আতঙ্ক মুক্ত করবে । সেদিন ছিল আমাবর্ষার আগের রাত।
চরাদক ছিল আতঙ্কে ভরা। সবাই মিলে বাড়িটির সামনে গেল । হিরার আলোয় যেন বাড়িটি আলোকিত হয়ে আছে।অসীম একটি ফুটো দিয়ে বাড়ির ভিতরে দেখল যে ভিতরে অনেক সোনা-দানা , হীরা সাজানো আছে। অসীম বাড়ির ভিতর ঢুকে সেগুলো ছুয়ে ফেলল।সঙ্গে সঙ্গে অসীম হীরার মূর্তি হয়ে গেল ।
ওহিম , স্বপন , কবির সারা রাত না ঘুমিয়ে ভাবতে লাগল কিভাবে অসীমকে বাচানো যায় ।অবশেষে তাদেও মাথায় বুদ্ধি এল।
তাদের কাছে কিছু সোনা ছিল ।সেই সোনা নিয়ে তারা ভুতুরে বাসাটিতে এল।সেকানে গিয়ে বলল ডাকাত বন্ধু আমরা তোমার জন্য কিছু সোনা এনেছি ।আমরা তোমার বন্ধু হতে চাই।কোথা থেকে যেন উত্তর এল ! ‘সোনাা গুলো রেখে দে। আর তোদের ব্যবহার আমাদের ভাল লাগল । তোরা কাল থেকে প্রতিদিন এখানে আসবি ।” রহিম বলল তার আগে আমরা জানতে চাই হিরার মূর্তি হওয়া মানুষগুলো কখন মুক্তি পাবে ? আর আপনি কবে মুক্তি পাবেন।
মৃত ডাকত বলল আমি খারাপ কাজ করতাম বলে সবাই আমাকে ঘৃণা করে । প্রতি বছরে যদি একই দিনে আমার পূজা করা হয় তবেই আমি মুক্তি পাব । আর আমার প্রথম পুজায় হিরার মূর্তি হওয়া মানুষগুলো মুক্তি পাবে
ওরা তিনজন গায়ের জমিদারের সাথে কথা বলে পূজার আয়াজন করা হল । সেই থেকে প্রতি বছর গাড় সংক্রান্তি হয়ে আসছে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×