somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আস্তিকতা না নাস্তিকতা ঃ বুদ্ধিমানদের কোনটা !!! ???

২৬ শে মে, ২০১২ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাস্তিকরা তো বটেই, মাঝে মাঝে আস্তিকরাও না বুঝে কথা বলে। একটা বিষয় আস্তিক-নাস্তিক সকলকেই মানতে হবে যে মানুষ সামাজিক জীব হিসেবে সমাজ গঠন, সামাজিক নিয়ম কানুন পালন সর্বোপরি সমাজের আর দশ জনের মাঝে মিলে মিশে থাকার মত একটি সুন্দর ও সমাধানমূলক জীবনচিত্র আছে শুধুমাত্র ধর্মে। সৃষ্টিকর্তা আছেন বা নেই তার উত্তর তিনি নিজেই দিবেন বলেছেন যা আমরা কয়েকটি ধর্ম গ্রন্থের (কুরআন ও বাইবেল এই দুটিতে) মূল আলোচনায়ই পাই। পরকালে সৃষ্টিকর্তার আত্বপ্রকাশে ইতিবাচক উত্তরও দিচ্ছে ধর্মগ্রন্থগুলো। সুতরাং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কোন প্রয়োজন আছে কি ?

প্রতিটি ধর্মেই আছে মিথ্যা না বলার কথা, হিংসা না করার কথা, অহংকার না করার কথা, মানুষের কল্যানে নিবেদিত হওয়ার কথা, ঝগড়া-ঝাটি না করার কথা, মানুষকে উপকার করা-উপকার করতে না পারলে ক্ষতি না করার নির্দেশনা, দরিদ্র/গরীব মানুষ দান করার কথা, বাবা মা-কে শ্রদ্ধা করা-মান্য করা, মুরুব্বীদের মান্য করা, মা বোনদের সম্মান করার কথা, আপন মা আথবা বোনের সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত না হওয়ার নিদেশনা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি। কোনটি ভাল, কোনটি মন্দ এই শিক্ষাও মানুষ ধর্ম থেকে পায়। যা সবদিক বিবেচনায় সমাজের কল্যান ছাড়া সামান্যতম অকল্যানও করছে না। কিন্তু ধর্মীহীন নাস্তিকদের মতবাদে মঙ্গলময়, কল্যানকর কোন আলোচনা থাকে না, আন্তত আমি কখনোই শুনিনি।

ধর্ম আমাদের ভাল থাকতে বাধ্য করে শেষ বিচারের কথা বলে (বৌদ্ধ ধর্ম ও এ জাতীয় কয়েকটি ধর্ম বাদে)। শেষ বিচার হোক বা না হোক এটা অবশ্যই অবশ্যই প্রশংসনীয়। অন্যথায় মানুষ একটা আন্যায় কাজ করতে দ্বিধা করবে না, একজন আরেকজনকে ক্ষতি করতে পরোয়া করবে না। মানুষ হত্যাকেও মানুষ ভয় পাবে না। আর্থ্যাৎ সমাজে একটা বিশৃংখলা সৃস্টি করার জন্য ধর্মীহীনতাই যথেষ্ট। অন্য কোন কারণ দরকার নেই।

ধর্ম আছে বলে বিয়ের প্রথা আছে। আমরা সন্তানরা বাবার পরিচয় পাই, আদর ভালবাসা মায়া পাই, বাবার যত্ন পাই। আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে বাবার আর্থিক, মানসিক, এক কথায় সার্বিক সহযোগীতা পাই। ওয়ারিছ সূত্রে বাবার সম্পদ পাই। অন্যদিকে অসভ্য সমাজের মেয়েরা/জংলী মেয়েরা/ধর্মহীন সমাজের মেয়েরা বিয়ের প্রথা না মানায় সন্তানকে তার বাবার পরিচয় দিতে পারে না। শুধুমাত্র জন্মতেই কি মানুষের সার্থকতা ?? তার কি আর কিছুই প্রয়োজন নেই ??

লিখতে গেলে অনেক আলোচনা করা দরকার, যা পাঠকদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। যা হোক, সকলের স্বচ্ছ চিন্তাকে উদ্দেশ্য করে বলছি ধর্ম মানুষকে একটি নিয়মের মাঝে রাখে, একটি সুশৃংখল জীবনের পথ দেখায়। ধর্ম একটি গুছানো জীবন ব্যবস্থা। ধর্মহীনতা শুধুই অন্ধকার। সেখানে কোনই নিয়ম নেই, কোন জীবন নেই।

ধর্ম অস্বীকারকারী নাস্তিকরা কোন ধর্মই মানে না, ধর্মীয় নিয়ম কানুনও মানে না, ধর্মীয় আইনও মানে না-সেমতে চলেও না। আবার তাদের নিজস্ব কোন নিয়ম কানুনও নেই। এক কথায় সমাজবিজ্ঞানের থিউরী অনুযায়ী একটি অসামাজিক, বর্জিত মতবাদের নাম ধর্মহীন নাস্তিক মতবাদ। সম্পূর্ণ অনুমান নির্ভর একটি মতবাদের দোহাই দিয়ে সমাজ ত্যাগ, সামাজিক নিয়ম কানুন ত্যাগ সুস্পস্ট বোকামী ছাড়া আর কি হতে পারে !! ধর্মহীন নাস্তিকতা নিয়ে তখনি চিন্তা করা যেতে পারে যখন অন্য কোন সমাধান না থাকলেও অন্তত গ্রহনযোগ্যতার সাথে সমাজে মিশে থাকার স্পস্টতা এই মতবাদে থাকবে। এর আগে ধর্মহীনতার চিন্তা শুধুই একটি বিকৃত মস্তিস্কের ভ্রান্ত চিন্তা।

আমি প্রাথমিক জীবনে শিক্ষাগত ও পরবর্তীকালে পেশাগত কারনে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে মিশেছি বর্তমানেও মিশছি। শুধু যে বাংলাদেশেই তা নয় উন্নত প্রায় অনেক দেশের আস্তিক-নাস্তিকদের সাথে মিশতে হচ্ছে। আমি যেটা পেয়েছি তা স্পস্ট, ৯০ ভাগ ধর্মই একটি নিয়মে বাঁধা। অন্যদিকে নাস্তিকদের সাথেও মিশতে হয়েছে অনেক। তারা ধর্ম মানে না বলে তাদের কোন নিয়ম নেই, তারা যে কিভাবে কি করবে তা তারা নিজেরাও বুঝে না। কোন সৃস্টিকর্তা মানে না বলে তারা সৃস্টিকর্তা প্রদত্ত ধর্মীয় আইনও মানে না।

সকলের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে যে ধর্মকে মানুন, শ্রদ্ধা করতে শিখূন। প্রায় প্রতিটি ধর্মেই জন্মের পর থেকে মৃত্যূ পর্যন্ত প্রতিটি নিয়ম গাথা আছে। একজন নাস্তিক মারা গেলে তাকে কি কবর দেয়া হবে, না পুড়িয়ে ফেলা হবে তার উত্তর সে দিতে গেলেই তাকে ধর্মের আওতায় চলে আসতে হবে। কেননা তাদের মতবাদে এর কোন উত্তর নেই। প্রতিটি গুরুত্বপর্ণ জিজ্ঞাসায় তাদের এই একই আবস্থা হবে। তারা যে কতটা অসহায় একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায়।

সমাজে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আস্তিক নাস্তিক দু'ধরণের সমাজ বিজ্ঞানীদের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

সকলের প্রতি আমার অনুরোধ ধর্মীয় নিয়ম-কানুন পরিপূর্ণ পালন করতে পারেন বা না পারেন ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন। একটি নিয়ম একটি বিধান একটি সমাজব্যবস্থা আপনাকে, আপনার পরিবারকে ছায়া দিবে। আপনার সন্তানরাও একটি নিয়মের মাঝে বড় হবে। সন্তানদের ধর্মহীনতা শিক্ষা দিলে হয়তো সে ধর্মহীনতার দোহাই দিয়ে তার আপন মা বা বোনের সাথেও যৌন মিলনে যেতে চাইবে (উন্নত বিশ্বের ধর্মীহীন সমাজে এটা সচরাচর দেখা যায়।) শুধুমাত্র ধর্মই এ ধরণের ঘৃনিত-বর্জনীয় হাজারো কাজে বাধা দিবে। ধর্মহীনতা পরিহার করুন। আর সৃষ্টিকর্তা আছেন কি নেই এটা সময়েই দেখা যাবে। যেহেতু ধর্মগ্রন্থ বলছে সৃষ্টিকর্তা শেষ বিচারে নিজেকে প্রকাশ করবেন; তাই এই সিদ্বান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সৃস্টিকর্তা থাকলে নাস্তিকরা কঠিন কঠিন বিপদগ্রস্থ, আর সৃষ্টিকর্তা না থাকলে আস্তিকদেরও কোন সমস্যা নেই নাস্তিকদেরও কোন সমস্যা নেই। তাই কোন ভাবেই ধর্মহীন হওয়া যাবে না। ধর্মহীনতা মানে নিজেকে সমাজহীন করা, নিজেকে নিয়মহীন করা, একটি অনুমান নির্ভর মতবাদে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়া, নিজ সন্তানদের পরিত্যজ্য আবস্থায় সমাজে ফেলে যাওয়া। সর্বোপরি নিজেকে একটি অমীমাংসিত বিষয়ের উপর ছেড়ে দেয়া।

"নিউট্রিনো" "সমাধানহীন আস্তিকতা-নাস্তিকতা" "হাজার বছর পরের বিজ্ঞান"
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০৭
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×