সকালে প্রথমআলোর তিন ফটোসাংবাদিককে পিটিয়ে দলা করে দিয়েছে পুলিশ।
জাহিদুল করিমের ভাষ্য, এ সময় তেজগাঁও অঞ্চলের পুলিশের এসি শহীদুল ইসলাম তাঁদের কাছে রাস্তার উল্টো পাশে যাওয়ার কারণ জানতে চান। সাজিদ হোসেন ও তিনি পুলিশকে জানান যে তাঁরা সাংবাদিক, অবরোধের ঘটনার ছবি তুলতে গেছেন। জবাবে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সাংবাদিক অনেক দেখেছি, অনেক সাংবাদিক পেটাইছি’—এই বলে শহীদুল ইসলাম তাঁদের (জাহিদুল করিম ও সাজিদ হোসেন) মা, বাবা তুলে গালি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সাজিদ হোসেন গালি না দেওয়ার অনুরোধ করলে তিনি আরও ক্ষেপে যান।
আমরা দেখছি, এখন আওয়ামীলীগ বা ছাত্র-যুবলীগের চেয়ে দলের প্রতি বেশি ডেডিকেশন দেখাচ্ছে পুলিশ (পুলিশ লীগ নামে কোনো সংগঠন আছে কি না জানি না)।
সম্প্রতি যশোরে বিএনপি আহূত হরতালে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি জলিল সাহেবকে আমরা দেখেছি।
তিনি ছাত্রদলের এক নেতার গলার টুটি চেপে ধরেন। যা দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব পত্রিকায় পরদিন ছাপাও হয়। ফেসবুক, সামুতেও তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলে।
প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশের এতো উৎসাহ আসছে কি করে ? কেন তারা এমন মারমুখি আচরণ করছে?
আমরা জানি, লেজ কিন্তু কুত্তায় নাড়ায়। পেছনে শক্তিশালী কুত্তা থাকলে এমন না হয়ে উপায় নেই। তবে, পুলিশের এ বাড়াবাড়ি এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, ফেলছে। যারা অতিউৎসাহী হয়ে এসব অপকর্ম করছেন, তারা কি একবারও ভেবেছেন- তাদেরও জন্যও এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসতে পারে।
ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়- কথা কি একবারও ভাবছেন না তারা্। নাকি, সাগর-রুনি হত্যামামলা হাপিস করে দিয়ে ভাবছেন, সব শেষ। সাংবাদিকরা সংখ্যায় অল্প হলেও দেশে কিন্তু কোটি কোটি মানুষ আছে। যারা নির্লজ্জভাবে কোনো দলবাজির সাথে সম্পৃক্ত নয়। এই শুকনো হাট জিরজিরে সদ্য শুকিয়ে যাওয়া নদী খাল বিল পারের সেইসব মানুষ প্রতিরোধে এগিয়ে এলে কে আপনাদের রক্ষা করবে? কোথায় থাকবে আপনাদের নির্দেশদাতারা ?
এসব কথা একটু ভেবে দেখবেন। পৃথিবীর বহু পরাক্রমশালি রাজা বাদশাহের তখতে তাউস নিমেষে ধূলিস্যাতের নজির চিকচিক করছে।
ইতিহাস কথা বলে, শুধু তাই নয় নতুন কোনো ইতিহাসের জন্মও দেয়।