somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

গণতান্ত্রিক ঐক্য ও গণমানুষের ভবিষ্যৎ

২৬ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণতান্ত্রিক ঐক্য ও গণমানুষের ভবিষ্যৎ
ফকির ইলিয়াস
=========================================
তিনি আগে মন্ত্রী ছিলেন। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। অনেক কথা থাকতে পারে তার পক্ষে-বিপক্ষে। আবারো তিনি আলোচনায়। বলেছেন, এই দুর্বিষহ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি মাত্র পথ আছে। আর তা হলো ‘দুই নেত্রীর ঐকমত্য’। আরো বলেছেন, ‘এই ঐকমত্যের লক্ষ্যে আমি সুস্পষ্টভাবে আমার দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি অনুরোধ করছি আগামী ৫ জুনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপে বসার আহ্বান জানান।’ বেশ কড়া সুরেই ব্যা. হুদা বলেছেন, ‘আশা করি নেত্রী আমাকে পদত্যাগে বাধ্য করবেন না।’ তার কথায় বেশ চমকই মনে হচ্ছে। তবে কি বিএনপিতে ভাঙনের সুর বাজছে? ভাঙন সমাগত? এমন খবর বেশ কিছুদিন থেকেই চাউর হচ্ছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। ‘দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখায়’ খালেদা জিয়া ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর নাজমুল হুদাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। এরপর ছয় মাস যেতে না যেতেই ‘অনুতপ্ত’ হন ব্যা. হুদা। তিনি বিএনপিতে ফেরার আবেদন জানালে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তার প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেন খালেদা জিয়া।

আমরা দেখেছি, বিএনপিতে ভাঙন ধরাবার চেষ্টা আগেও হয়েছে। কিন্তু তা খুব একটা হালে পানি পায়নি। একটা কথা মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশে রেজিস্ট্রেশন করা রাজনৈতিক দলগুলোর আশি শতাংশেরই কোনো কার্যক্রম বাংলাদেশে নেই। তারপরও সভাপতি, সম্পাদক সর্বস্ব দলগুলো টিকে আছে কেন? কেন কিছু মানুষ এসব রাজনৈতিক দলের পিছু নিচ্ছে? আমি মনে করি বাংলাদেশে ৫/৭টির বেশি রাজনৈতিক দল থাকাই উচিত নয়।

কারণ এতে নানা রকম কলহের, মতানৈক্যের পথ তৈরি হয়। দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়। বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর উদাহরণ আমরা দেখতে পারি। আমরা খুব ভালো করেই জানি বর্তমান প্রজন্ম একটা পরিবর্তন চাইছে। একটি রাষ্ট্রে সৃজনশীল বিবর্তন সবসময়ই কাম্য থাকে। কারণ নান্দনিক পরিবর্তন, ক্রিয়াকর্মের মাধ্যমেই এগিয়ে যায় মানবসমাজ। গেলো এক যুগে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি ফিল্ডে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে বলা যায়। এর পাশাপাশি অবশ্য নানা শঙ্কা-সংকটও বেড়ে উঠেছে নানাভাবে। মনে পড়ছে প্রখ্যাত কথাশিল্পী শ্রদ্ধেয় শওকত ওসমান একটি সেমিনারে বলেছিলেন, সংস্কৃতির আবিষ্কার এবং আগ্রাসন দুটিই আছে। প্রজন্মকে ঠিক করতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কোনটা গ্রহণ করবেন। আর অভিভাবককে গাইড দিতে হবে সে আলোকেই, তারা তাদের সন্তানদের কী শেখাতে চান। বাংলাদেশের একটি শ্রেণী আজ প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দিতে উদ্যত। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পাশাপাশি সামাজিক বখাটেদেরও লালন করছে কেউ কেউ। দেশে মোবাইল ফোনে নির্দেশ দিয়ে অনেক অপকর্ম ঘটানো হচ্ছে। মোবাইল ফোনের বিল মেটাতে গিয়ে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি করছে কিশোর-যুবকরা। ভাবলে অবাক হতে হয়, এমন দরিদ্রুতম একটি দেশে নাকি প্রায় পাঁচ কোটির কাছাকাছি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে। কোনো কোনো মধ্যবিত্ত একের অধিক মোবাইল বহন করেন। আর উচ্চবিত্তের কথা না হয় বাদই দিলাম।

একটি দেশে প্রযুক্তি শিল্পের প্রসার বাড়বে, তা আনন্দের সংবাদ বৈকি। কিন্তু এর পাশাপাশি জনস্বার্থ সংরক্ষণ আইনগুলো কি কঠোরতর করা হচ্ছে? না, হয়নি। হচ্ছে না। মোবাইল ফোনে সংকেত দিয়ে মানুষ খুন পর্যন্ত করা হচ্ছে। অথচ সে ফোন দ্রুত এবং সহজে খুঁজে বের করার ট্র্যাকিং সিস্টেম বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে শক্তিশালী এবং পর্যাপ্ত নয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষও খুব জোরালো ভূমিকা রাখছে না। একটি দেশে দুর্বৃত্তপনা ছড়িয়ে দেয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে, সে দেশের তরুণ প্রজন্মকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করা। আজ বাংলাদেশের রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে ফেনসিডিলের পর ‘ইয়াবা’ নামের নতুন মাদকদ্রব্য তৈরি, বাজারজাত করার খবর আমরা দেখছি। এদের নেপথ্য হোতা কারা, তাদের শিকড় কতো দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তা খতিয়ে দেখা দরকার সরকারের। এই যে রাজনৈতিক ম“পুষ্ট সামাজিক সন্ত্রাস, তা রুখবে কে?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবন এবং সামাজিক জীবন দুটোই আজ এতোটা বিপন্ন যে, একটাকে বাদ দিয়ে অন্যটি নিয়ে ভাবলে লক্ষ্যবিন্দুতে পৌঁছা যাবে না। বলার অপেক্ষা রাখে না, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর, ক্ষমতাসীন সরকার পক্ষের জবাবদিহিতা করার মতো প্লাটফর্ম অতীতে থাকতো তবে হয়তো দেশ এতোটা লুটেরা বিপর্যয়ের মুখোমুখি পতিত হতো না। এই সুযোগে দেশে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদীরা সংঘটিত হবার সুযোগ পেয়েছে। আর কিছুদিন পর হয়তো পরাজিত রাজাকাররা বলতে শুরু করবে, মুক্তিযুদ্ধ তাদের নেতৃত্বেই হয়েছিল! এই দেশ তারাই স্বাধীন করেছিল! এই যে সামাজিক আস্ফালন, তা তারা সম্ভব করতে পেরেছে শুধু প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর উদাসীনতার কারণে।

বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি একটি জরুরি প্রয়োজন। এজন্য সরকার ও বিরোধী দলের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। কারণ, ভূমি-মানুষ-সার্বভৌমত্ব-সমাজ রক্ষা এবং এর উন্নতি সাধন করা উভয় পক্ষেরই প্রধান দায়িত্ব। এর প্রয়োজনে তাদের যতোটা দরকার জবাবদিহি করতে কারোরই কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। শেষ পর্যন্ত দেশে যেসব দল টিকে থাকবে এবং যারা ক্ষমতায় যাবে, তাদের সবারই এ চিন্তাটি মাথায় রাখার সুযোগ উন্মুক্ত হলে পাল্টে যেতে বাধ্য দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ড. হুমায়ুন আজাদের একটি বিখ্যাত কবিতা আছে, ‘আমি বেঁচেছিলাম অন্যদের সময়ে’। হ্যাঁ, নিজ সত্তা নিয়ে অন্যদের সময়ে বেঁচে থাকা বড় দুঃখজনক এবং কঠিন কাজ। বাংলাদেশের বড় বড় নামকরা রাজনীতিক এবং শীর্ষ নেতানেত্রীরা অন্তরীণ হয়েছেন। আর তখন তারাও হয়তো ভেবেছেনÑ ‘আমি বেঁচে আছি অন্যদের সময়ে।’ আজ ১৮ দলের নেতারা যারা অন্তরীণ হয়েছেন, তাদের অনেকেই ক্ষমতায় ছিলেন। এটাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ট্রাজেডি! সাধারণ মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছেন। জিপিএ ৫ পেয়ে যেসব ছেলেমেয়ে এসএসসি পাস করেছে, তাদের অনেকেই কলেজে সিট পাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান হচ্ছে। আর দরিদ্রতার করাল গ্রাস তো রয়েছেই। অথচ রাজনৈতিক মদদে প্রাইভেট কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির মহড়া অব্যাহত আছে আগের মতোই।

বাঙালি জাতির এটা চরম দুর্ভাগ্য, একটি ভালো সিনেমার বদলে দলীয় পোষ্যদের নির্মিত চলচ্চিত্র, টেলিফিল্ম, নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে প্রায় গায়ের জোরে। ফলে সুস্থ, মেধাবী নির্মাতারা ক্রমেই মাঠ ছেড়েছেন। গ্রন্থ প্রকাশ এবং বিপণনেও দলীয় পক্ষপাত, পথে নামিয়েছে সৃজনশীল প্রকাশক- লেখকদের। অন্যদিকে নগদকড়ি কামানোর ধান্ধায় প্লট, ফ্ল্যাট, মোবাইল ব্যবসা, ইজারাদারিসহ বিভিন্ন ‘হট’ ব্যবসায় দেশের রক্ষকদের এজেন্টরা বসিয়েছে কমিশনের ভাগ। একটি দেশে যখন রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি প্রশ্রয় পায় তখন সবাই লুটপাটে উন্মত্ত হয়ে ওঠে। যা শতভাগই ঘটেছে বাংলাদেশের বেলায়। এই সুযোগে সব শ্রেণীর কালো শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মানুষকে অশিক্ষিত কিংবা অর্ধশিক্ষিত করে রাখার এই যে বনেদি প্রচেষ্টা তা বাস্তবায়িত হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রাইভেট স্কুল-কলেজ বনাম সরকারি স্কুল-কলেজের দুটি শ্রেণীবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠলেও সামাজিক শান্তি দুপক্ষের কেউই পায়নি কিংবা পাচ্ছে না। প্রজন্মের পথচলায় সংস্কৃতির বিবর্তন অবশ্যই অপরিহার্য। কিন্তু সে পথে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা দান এবং সামাজিক আইনি নিরাপত্তা বিধানও জরুরি। কারণ, একটি অন্যটির পরিপূরক। একটি কথা মনে রাখা দরকার চাপিয়ে দেয়া কোনো ‘নীতি’ দেশের মানুষ মেনে নেয়নি অতীতে। আগামীতেও নেবে না। তাছাড়া দেশে শিক্ষিত মধ্যবিত্তের বোধোদয় প্রজ্বলিত হচ্ছে। তারা নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারছেন। এই অবস্থায় যে কোনো পরিবর্তনই হওয়া দরকার সৃজনশীলতার আলোকে। দেশের মানুষ চাইছেন, সরকার ও বিরোধী দল ঐক্যে পৌঁছুক। কারণ দেশটাকে আর কতো বিরানভূমিতে পরিণত করা যাবে!
২৪ মে ২০১২
--------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ / ঢাকা / ২৬ মে ২০১২ শনিবার প্রকাশিত
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নিছক স্বপ্ন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮



©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৯



টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহক‍কেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×