টিভিতে খবর দেখছিলাম ।হটাত্‍ একটা খবর দেখে পুরো শিউরে উঠলাম।যাত্রাবাড়ির বিবির বাগিচা এলাকয় চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রথমে ভেবেছিলাম হয়ত খেলতে গিয়ে মেনহোলে পড়ে গিয়েছে ।কিন্তু একটু পর আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম ।না এগুলো কোন সাধারন শিশু না ।এদের এখনো জন্মই হয় নি।দুইটি ছেলে শিশু আর দুইটি ভ্রুন।হটাত্‍ করে কেন যেন খুব কান্না পাচ্ছিল ।অনেক কষ্টে কান্না আটকিয়ে চ্যানেল পাল্টিয়ে দিলাম।কি দোষ ছিল তাদের ?তারা কি জন্মের আগেই মাকে বেশী কষ্ট দিচ্ছিল ?নাকি রাজার ঘরে জন্মানোর আবদার করেছিল।এভাবে অকাল গর্ভপাত করে কেন তাদের মেরে ফেলা হল?
আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারতে প্রতিদিনই এমন কাহিনী শোনা যায়।আমরা সবাই জানি তারা একটু উছৃঙ্খল।কিন্তু আমাদের দেশের মত একটি রক্ষনশীল দেশে কেন এরকম ঘটনা ঘটবে?বর্তমানে নতুন দুটি শব্দ শোনা যায় গার্লফ্রেন্ড আর বয়ফ্রেন্ড ।কিন্তু আমি এ দুটি শব্দের কোন অর্থ খুজে পাইনা।প্রেম করলে এক কথায় লাভার ।সে কথা যাক।যারা এখন রিলেশন করে তারা রিলেশন টিকিয়ে রাখার জন্য দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।ভাইয়া শুনুন ভালবাসা হচ্ছে মনের ব্যাপার।শরীরের সাথে শরীর মিললেই ভালবাসা হয় না।আর আপু যে বাবা জামা একটু নিচে নামলেই শাশন করতেন ,য়ে মা ওরনা একটু সরে গেলে গায়ে পর্যন্ত হাত তুলতেন ,তাদের ধোকা দিয়ে অন্য একজন পুরুষের সাথে মিলিত হচ্ছেন।সবচেয়ে বড় কথা যদি তার সাথে আপনারা বিয়ে না হয় তাহলে একজন অপরিচিত মানুষকে সঙ্গ দিয়ে বাজারের মেয়েয়ে হিসেবে আত্নপরিচয় গ্রহন করলেন।একবার ভেবে দেখুন আপনার বাবা ও মার জীবন যদি এমন হয় তাহলে সন্তান হিসেবে আপনি কেমন বোধ করবেন?আরেক পুরুষের সাথে সম্পর্ক করলেন ।কিছুন পর সে যে কারনেই হোক বলল আপনাকে বিয়ে করতে পারবেন না?হটাত্‍ শুনলেন আপনার পেটে অনাগত শন্তান।তখনই গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে ।ছেলেদের তো কোন সমস্যা হয় না।তারা কাহিনী ঘটিয়ে ফুটুস।সব সমস্যা মেয়ের ঘারে । ভাইয়া ১৫ টাকা ইউজ করলে কিন্তু আজকে এমন হত।আরে আপু আপনি তো বড় চান্স মিস করলেন।শুনেছি একজন মেয়ের কাছে সবচেয়ে সুখের জিনিস মাত্রৃত্বের স্বাধ গ্রহন করা।প্রথমবা রেই যদি এই সুযোগ মিছ করেন তাহলে সারাজীবন ডজন পোলাপান জন্ম দিলেও সেই সুখ পাবেন না।আর অপনার সন্তান যদি কোনভাবে জানতে পারে তাহলে তো কোন কথাই নাই।শুধুযে ছেলেরাই মেয়েদের বাধ্য করে তা নয় মেয়েরাও ছেলেদের অনেক সময় বাধ্য করে।এসব ওয়েষ্টার্ন কালচার ফলো করার তো কন মানে হয় না।পছন্দ হলে বাবা মাকে জানান নাহলে নিজেরাই বিয়ে করে ফেলেন তবুও শিশু হত্যা করবেন না।এখন ভার্সিটি দুরের কথা স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরাও এরুপ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।এর প্রধান কারন অপসংষ্কৃতি এবং বাবা মা । ভাবতেই অবাক লাগে যে শিশু জন্মের পর গগনবিদারী চিত্‍কার দিয়ে কাদবে,যে কিনা পরিবারের সবাইকে সারাদিন মাতিয়ে রাখবে সে কিনা জন্মের আগেই ডাষ্টবিনে পরে পরে থাকবে।আমাদের গল্প নাটকটি আমরা কমবেশী সবাই দেখেছি।সেখানে জয়া আহসান তাহসানের সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।কিন্তু যখন তাদের ব্রেক আপ হয় তখন তারা কেউই জানতো না যে জয়া গর্ভবতী ।তার বিয়ের আগে সে জানতে পারে সে গর্ভবতী তখন সে গর্ভপাত ঘটিয়ে সমস্যার সমাধান করে ফেলে।কিন্তু তাতেই কি সমাধান হয়?আপনারা খেয়াল করে থাকবেন পরে বাচ্চার প্রতি তার কি পরিমান অনীহা জন্মে।আপুদের এই নাটক থেকেও কিছু শিক্ষা নেয়া উচিত। শেষে একটা কথাই বলতে চাই আপনাদের পায়ে ধরি ।প্লিছ এরকম করবেন না।ভালবাসলে হ্রদয় দিয়ে বাসু ন আর বাবা মাকে জানান।তবুও এরকম শিশু হত্যা করবেন না।আমার বাসায় আসতে বিবির বাগিচা হয়েই আসতে হয় ।আজকে ভার্সিটি থেকে আসার সময় কেমন যেন খারাপ লাগছিল।আর বাসায় এসে ফেসবুকে দেখি লাশগুলোর ছবি একেকজন শেয়ার করছে ।কি দরকার এসব লাশের ছবি দেখিয়ে মানুষকে বিব্রত করার।ছোট মুখে অনেক বড় কথা বলে ফেললাম।লেখায় অনেক ভুল থাকতে পারে,না ভুল আছেই।সবাই ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ।
-কাজী অভন