somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অর্থমন্ত্রীর বিরোদ্ধে মামলা

২৪ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্টাফ রিপোর্টারঃ মদন মোহন কলেজের ইংরেজী বিভাগের এক শিক্ষকের নিয়োগ অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করার দাবীতে কলেজের একই বিভাগের খন্ডকালীন প্রভাষক জামাল আব্দুন নাসের কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলার অন্যান্য বিবাদীরা হচ্ছেন মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ কৃপাসিন্ধু পাল, ইংরেজী বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহনাজ মর্জিনা, কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা বিজিত চৌধুরী, শ্রী সুখেন্দু বিকাশ দাস, এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন এডভোকেট, শ্রী রমেন্দ্র কুমার দাস, ডাঃ হিমাংশু লাল রায়, এডভোকেট কিশোর কুমার কর, মোঃ ফরিদ আহমদ, ডঃ আবুল ফতেহ, সাদেকা খানম, জয়ন্ত দাস, মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং মদন মোহন কলেজের পক্ষে অধ্যক্ষ কৃপা সিন্ধু পাল। মদন মোহন কলেজের খন্ডকালীন প্রভাষক মোঃ জামাল আব্দুন নাসের তার আর্জিতে উল্লেখ করেন, তিনি ৮ বছর যাবত মদন মোহন কলেজে ইংরেজী বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু কলেজে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভের সকল যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাকে বাদ দিয়ে তার চেয়ে অনেক অনেক কম যোগ্যতা সম্পন্ন শাহনাজ মর্জিনাকে কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জামাল নাসের উল্লেখ করেন তিনি এসএসসিতে প্রথম বিভাগ, এইচএসসিতে দ্বিতীয় বিভাগ, এমসি কলেজ থেকে ইংরেজীতে অনার্সসহ দ্বিতীয় বিভাগ এবং মাস্টার্সে ইংরেজীতে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। এছাড়া মদন মোহন কলেজে ৮ বছর যাবত ইংরেজীর খন্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে শিক্ষাদান করে আসছেন। অপরদিকে শাহনাজ মর্জিনা এসএসসিতে প্রথম বিভাগ পেলেও এইচএসসিতে দ্বিতীয় বিভাগ, বিএ (পাস) এ দ্বিতীয় বিভাগ পান। বিএ পাসের ৮ বছর পর সিলেটের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সি প্লাস গ্রেডে ইংরেজী বিষয়ে এমএ পাশ করেন। বাদী জামাল অভিযোগ করেন, কলেজের অধ্যক্ষ কৃপাসিন্ধু পাল ‘যোগাযোগী ও ছলচাতুরীর মাধ্যমে’ অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন এবং বিএ পাশ করার দীর্ঘ ৮ বছর পর এমএ পাশ করা অনিয়মিত শিক্ষার্থী শাহনাজ মর্জিনাকে মদন মোহন কলেজের মত একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। জামাল নাসের উল্লেখ করেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী প্রতিষ্ঠানসহ) শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, প্রভাষক পদে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনার্স ডিগ্রীসহ দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অথবা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৪ বছর মেয়াদী দ্বিতীয় শ্রেণীর অনার্স ডিগ্রী অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী হতে হবে। কিন্তু মদন মোহন কলেজে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে এসকল নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। তার দায়ের করা মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে তিনি মদনমোহন কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ইংরেজী পাঠদান করছেন। ২০১০ সালের ৭ ডিসেম্বর পত্রিকায় ঐ কলেজে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। তিনি এই পদের জন্য আবেদন করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ১৮ এপ্রিল ২০১১ তে সাক্ষাতকারের জন্য তাকে বলেন। তিনি সাক্ষাতকারের জন্য ঐদিন গেলে দেখতে পান সাক্ষাতকার নয় লিখিত ভাবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অথচ ঐদিন অন্যান্য বিষয়ের নিয়োগের জন্যে লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তে মৌখিকভাবে সাক্ষাতকার নেয়া হয়। শুধু ইংরেজীর ক্ষেত্রে লিখিতভাবে পরীক্ষা নেয়া হয়। পরে অন্যান্য বিষয়ের নিয়োগ দিলেও ইংরেজী বিষয়ে নিয়োগ স্থগিত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। এর ১১ মাস পর এ বছরের ১৮ এপ্রিল ইংরেজীর প্রভাষক হিসেবে শাহনাজ মর্জিনাকে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেন। তিনি বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করার প্রজ্ঞাপন থাকলেও এক্ষেত্রে তা লঙ্গন করা হয়। নিয়ম প্রক্রিয়া লঙ্গন করে কলেজের গভনিং বডির সদস্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ফরিদ আহমদের স্ত্রী শাহনাজ মর্জিনাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×