somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পলাশীর বিশ্বাস ঘাতকদের করুণ পরিণতি ।

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২৩ জুন পলাশী দিবস। ১৭৫৭ সালের এই দিন বাংলার শেষ স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায় তখন বর্ষাকাল। সেদিন আকাশে যেমন ছিল মেঘের ঘনঘটা ঠিক তেমনি বাংলার স্বাধীনতার ভাগ্যাকাশেও ছিল দুর্যোগের ঘটঘটা। আকাশে মেঘের আড়ালে যেমন সূর্য হারিয়ে যায়,ঠিক তেমনি বাংলার স্বাধীনতার সূর্যও ডুবে গিয়েছিল প্রায় ২০০ বছরের জন্য । পশ্চিমবঙ্গে ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলা যখন ইংরেজদের আক্রমন থেকে স্বাধীনতা রক্ষার বজ্র কঠিন সংগ্রামে নিবেদিত,ঠিক তখনই তার সিপাহসালার বা প্রধান সেনাপতি মীর জাফররা গোপনে হাত মেলান ইংরেজদের সংগে। মীর জাফর নবাব সিরাজউদ্দৌলার কেবল প্রধান সেনাপতিই নন,নিকট আত্মীয় ছিলেন। অথচ তিনিই আড়ালে আবডালে নবাবের আপন খালা ঘষেটি বেগমসহ অন্যদের সংঘবদ্ধ করেন। ইতিহাসের পাতায় সর্বকালের সবচেয়ে কুখ্যাত ও জঘন্য বিশ্বাসঘাতক হিসেবে মীর জাফরের নাম লিপিবদ্ধ হয়। সেই সংগে আরও লেখা হয় কুচক্রের হোতা ইংরেজ লর্ড ক্লাইভ, ঘসেটি বেগমসহ সব কুশীলবের নাম। কিন্তু ইতিহাসের অনেকটা আড়ালেই রয়ে যায় কুচক্রী এই কুশীলবদের শেষ জীবেনের করুণ পরিনতির কথা। আজকে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের রকমারী বিভাগের সৌজন্যে প্রাপ্ত সেইসব বিশ্বাস ঘাতকদের শেষ জীবনের কথা পর্যায়ক্রমে জানাবো। সংশ্লিষ্ট বিশ্বাস ঘাতকগণ হলো যথাক্রমে-বেজন্মা লর্ড ক্লাইভ, বিশ্ব বেঈমান মীর জাফর আলী খাঁন, কুখ্যাক প্রসাদ ষড়যন্ত্রকারী ঘষেটি বেগম, বিখ্যাত সুধঘোর ও মাড়োয়ারী জগৎ শেঠ, বিশ্ববিখ্যাত লোভী উমিচাঁদ, ষড়যন্ত্রকারী মীর কাশেম, বেয়াদব মীর মিরন ও দেশদ্রোহী মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। জেনে নিন এ বিশ্বাস ঘাতকদের শেষ পরিণতির কথা ।

বে-জম্মা লর্ড ক্লাইভ : দেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের হস্তক্ষেপের এক নতুন অধ্যায় রচিত হয় পলাশীর যদ্ধের মধ্য দিয়ে। আর এই যাত্রার শুরু লর্ড ক্লাইভের হাত ধরে। তার পুরো নাম রবার্ট ক্লাইভ। ইল্যান্ডের সাধারণ পরিবারের সন্তান ক্লাইভ সামান্য কেরানী হিসাবে ১৭৪৪ সালে ইন্ড ইন্ডিয়া কোম্পানীতে যোগ দেন এবং একই বছর কোম্পানীর ব্যবসার কাজে ভারতে আগম করেন। ভারতে কিছুদিন চাকুরীর পর তিনি নিজ দেশে ফিরে যান এবং সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে যুদ্ধে অংশ নেন। দ্বিতীয়বার তিনি ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে ভারতে আসেন ১৭৫৬ সালে। এই যাত্রায় ভারতে এসেই তিনি ভারতবর্ষ তথা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায় ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তারে কূটকৌশল চালাতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় পলাশীর যুদ্ধে বিশ্বাস ঘাতকতা কের মীর জাফর এবং তার মিত্ররা। নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃতু্ এবং মীর জাফরের ক্ষমতা গ্রহণের ঘটনা ঘটলেও প্রকৃতপক্ষে অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। আর উথানঘটে লর্ড ক্লাইভ তথা ব্রিটিশ সম্রাজ্যের। পলাশী যুদ্ধের ১০ বছর পর ১৭৬৭ সালে ক্লাইভ ইংল্যান্ডে ফিরে যান। কিন্তু ভারতে রেখে যান ঘুষ, দূর্নীতি, সম্পদ আত্মসাত, প্রসাদ ষড়যন্ত্র,দূর্বৃত্তায়ন আর অপরাজনীতির এক জঘন্য ইতিহাস। তার দূর্ণীতি এমন পর্যায়ে পৌছে ১৭৭২ ইংল্যান্ডের পার্লামেন্টে তার দূর্ণীতির তদন্ত শুরু করতে বাধ্য হয়। এতে একে একে তার দূর্ণীতির তথ্য বেরুতে থাকে। আত্মসম্মানের কথা বিবেচনা করে তিনি সব সম্পদের বিনিময়ে তদন্ত বন্ধ তথা তার সম্মান রক্ষার করুন আর্তনাত জানান। তবুও চলতে থাকে তদন্ত। একে অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ১৭৭৪ সালের ২২ নভেম্বর আত্মহত্যার পথ বেচে নেন। আত্মহত্যার জন্য তিনি নিজের শরীরে ছুরি চালান বা নিজেই নিজের গলায় ছুরি ঢুকিয়ে দেন বলে প্রচলিত আছে। তবে সম্মান রক্ষার্থে কেউ কেউ প্রচার করেন অতিরিক্ত আফিং বা মাদক গ্রহণ অথবা হৃদরোগে তার মৃতু্ হয় । তবে মরেও বেঁচে আছে লর্ড ক্লাইভ এক ঘৃণিত বিদেশি প্রভুর আদলে। আজে এ পর্যন্ত পরবর্তীতে বাকীদের সম্পর্কে লিখবো।





















৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×