শিশুরা স্রষ্টার এক অপূর্ব সৃষ্টি। তো তাদেরকে নিয়ে লিখতে নেই মোর বিরক্তি। শিশুদের সরলপনা, পাগলাপনা, দুষ্টুপনা সবই এক বিষের বাঁশী। যে বাঁশীর সুরে মন হয় উচাটন, দিনমান সারাক্ষন। আমি মনে করি সেই শিশুরা হল একটা বালক সেনাদল। যাদেরকে দিয়ে হবে মোদের পরিবর্তন, পরিমার্জন এবং পরিবর্ধন। সেই নিস্পাপ বালক সেনাদলের এক ছোট্র সেনাকে নিয়ে আমার আজকের এই পাগলের প্রলাপ... ..।।
গুল্টু সোনা দুষ্টুমনা
প্রিপেইড
গুল্টু সোনা আর করোনা,
লাজুক লাজুক পাগলাপনা,
মন যে কখন এদিক সেদিক,
পথহারা এক ক্লান্ত পথিক।
এদিক সেদিক ইতিউতি,
রক্ত নীলাভ দুষ্টু হাসি,
দূর্বোধ্য সব বাক্য চয়ন,
দুই জীবনের প্রাণ রসায়ন।
গুল্টু সোনা দুষ্টুমনা,
আর কত তোর রঙ্গপনা,
সারা দিনমান আরাধ্যি মোর,
কখন পাব সঙ্গ যে তোর।
লাজুক লাজুক চোখাচোখা,
কি করিস তুই দুষ্টু খোকা,
শব্দহীন তোর প্রতি পদক্ষেপ,
তাতেই যে মোর বিপদ সংকেত।
রিক্ত হাসির সিক্ত নয়ন,
কখনও তোর একরোখা মন,
ক্ষন প্রতিক্ষন উথাল পাথাল,
কি অপরুপ স্নিগ্ধ মাতাল।
লাল টুকটুক ঠোট দুটি তোর,
প্রাণ সংহারী মিষ্টি মধুর,
কখনোবা একরোখা চোর,
কখনোবা নন্দ নিঠুর।
দুষ্টু হাসির পাগলা বাঁশী,
আলতো ছোঁয়ায় রাশি রাশি,
চোখ নির্ঘুম দিন সারারাত,
তাতেই যে মোর কিস্তিমাত।
বুঝছিস খোকা আমার কথা,
তোকেই নিয়ে এই লেখাজোখা,
মাঝে মাঝে মন উচাটন,
তাতেই যে মোর ছন্দপতন।
আর পারছিনা লিখতে খোকা,
বাকহারা আমি ক্লান্ত বোকা,
রাখছি আমি আজ এতটুক,
খুলব পরে মোর ছন্দের ফটক।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১