সকাল সকাল ফেসবুক ঢুকে এমন এক্টা জিনিস চোখে পরলো যা আশা করি নাই। গত কয়েকদিন আগে ইউল্যাব এর ছাত্র(!)দের ইভটিজিং এর ঘটনায় যখন ব্লগ গুলো সরগরম,ঠিক তখনি দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে প্রায় একই কায়দায় ইভটিজিং এর শিকার হলেন আরো একজন।
সূত্র : ফেসবুক গ্রুপ Behind the Scenery of Media Society
চিনে রাখুন একে......। ট্যাগ করে সবাইকে জানিয়ে দিন।
কিছুদিন আগে সাময়্যারইন ব্লগ এ ইউল্যাব এর সামনে একটি ন্যাক্কারজনক ইভটিজিং এর সম্পর্কে এক ভাইয়ের ব্লগটি পরেছিলাম। অই ঘটনাটা শোনার পর খুব খারাপ লেগেছিলো , খুব খারাপ লেগেছিলো অই আপুর জন্য । ঠিক এই রকম ঘটনা ঘটল আজ বাংলাদেশের একটি নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর টিএসসির সামনে। আজ রাত ৮ঃ৩০ এর সময় হবে তখন, আমরা কয়েকজন টিএসসি থেকে আড্ডা দিয়ে সবাই যার যার বাসায় যাওয়ার জন্য উঠে রিক্সা ঠিক করছিলাম। আমাদের সাথে... আমাদের এক আপুকে এক ভাই রিকসা ঠিক করে দেওয়ার জন্য এগিয়ে দিতে গিয়েছিলেন। আমরা তখনও কেউ রিকসা পাইনি। হটাত দেখলাম অই ভাই কার সাথে যেন বাকবিতণ্ডা করছেন । আমরা সবাই সামনে যাওয়ার পর যেইটা শুনলাম তা হল, অই ছেলেটা আমাদের অই আপুর গায়ে হটাত করে হাত দেয়, এবং এই ঘটনা সাথে সাথে আমাদের অই ভাইকে জানানো হলে তিনি এর প্রতিবাধ জানাতে গেলে অই ছেলে তাকে নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র এবং এটা তাদের এরিয়া বলে তাকে হুমকি দেয় এবং এটা নিয়া বাড়াবাড়ি করলে এলাকা ছাড়া করবে বলে অই ভাইকে শাসাতে থাকে। তখন আমরা সাথে সাথে এই ঘটনার ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে সে কয়েকজনকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। তখন তাড়াও আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি করে।ওরা প্রায় ১০-১২ জন হবে।এক পর্যায়ে আমরা অসহায় হয়ে অই আপুর কথা চিন্তা করে আমরা সেখান থেকে চলে আসি। আসার সময় খুব কষ্ট লাগছিলো আমরা কিছু করতে পারলাম না বলে। অই আপুর কান্না দেখলে আমার এখনোও কষ্ট লাগে। আমি অই আপুর সামনে কি মুখ নিয়ে দাঁড়াবো । আমরা সবাই কাপুরুষ এর মত সেইখান থেকে চলে আসলাম । আর কতদিন আমাদের এসব ঘটনা সহ্য করতে হবে । আমার তেমন ক্ষমতা নেই ওদের বিরুদ্ধে কিছু করার। জানি না আমি আজকে ঘুমাতে পারবো কিনা। ইভটিজিং এর এই অভিশাপ থেকে আমরা কবে মুক্তি পাবো ?? ।
ইউল্যাব এর ইভটিজিং ঘটনার পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভটিজিং.। এরপর ?????
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিনেতা
বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন