somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চীরঞ্জীত এক পুকুর চোরা!!!!

১৭ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বহুকাল আগে বাংলাদেশের মতই এক রাজ্য ছিল।তবে সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো সেই রাজ্যের চালক কোন রাজা ছিলনা বরং ছিল ৮ বছর বয়সী এক কিশোরী। কিন্তু খুকি হলে কি হবে তার ছিল ভিষন ক্ষমতার দাপট। যা বলে তা সে করেই ছারে এমন এক অবস্থা। তবে রাজ্যের কিছু বুদ্ধিসমপন্ন জনগন চায় তারা যেন এই খুকী যেন ক্ষমতায় না থাকে। কারন হলো একেতো বাচ্চা মেয়ে নিজে কি বলে আর কি করে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই।আর ২য় হলো তার একঘেয়েমি। কিন্তু তাতে খুকীর কিচ্ছু যায় আসেনা। যে দিব্যি তার নিজের মন মত এলো পাথারি রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এমনি করেই দিন কাটছিল।

একদিন খুকী রাজ্য ভ্রমনে বের হয়েছিল। ভ্রমন প্রাক্কালে সে রাস্তায় হঠাৎ এক অদ্ভুদ জিনিস দেখলেন। দেখলেন ক্ষেতে এক বয়স্ক লোক একটা ছাগলের সাথে কি যেন বিড় বিড় করে বলছিল। এটা খুকীর ভিষন মজা লাগল এবং সে তার উপদেষ্টাকে বলল,”দেখছেন লোকটার কি অদ্ভুদ ক্ষমতা! বোবা প্রানীর সাথে দিব্যি কথা বলেই যাচ্ছে। আমি একে তাই আমার রাজ্যের যোগাযোগ মন্ত্রী বানাবো।কারন তার যোগাযোগ করার ক্ষমতা অসাধারন!” যেই কথা সেই কাজ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল নতুন এই মন্তীর নাম বাবু চীরঞ্জীত।

এভাবেই লোকটি রাতারাতি বিশাল ক্ষমতার অধিকারী বনে গেল।কিছুদিনের মধ্যেই চীরঞ্জতের সাথে তার কর্মীদের সাথে ভাল সম্পর্ক হয়ে গেল। রাজ্যচলাকালে হঠাৎ এক পেয়াদা একদিন রানীর কাছে অভিযোগ দাখিল করল যে রাতে চীরনঞ্জীত রাজ কোষাগারের দেয়াল চাপায় আহত হয়েছে। এতে উপস্থিত সবার মাঝে গুঞ্জন রটে গেল যে রাজকোষাগার থেকে যোগাযোগ দপ্তর প্রায় ২ক্রোশ দুরে অথচ রাতে কি করে সে সেখানে গিয়ে আহত হলেন। সবারই পরিষ্কার ধারনা হয়ে গিয়েছিল বেটা আসলে চুরি করতে সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু খুখীর ভয়ে কেও কিচ্ছু বললোনা। কারন চীরন্ঞ্জীত খুকীর ভিষন প্রিয় কারন তার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে ছাগলের সাথে কথা বলার। তাই চীরঞ্জীত রাণীর নির্দেষ মত কিছুদিন গা ঢাকা দিল। যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিল, ”আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমান করে আাবর ফিরে আসবো।” B-)

এদিকে সারা রাজ্যের সবাই যেনে গেল চুরি করতে গিয়ে বাবু চীরঞ্জীত ধরা খেয়েছিল। কিন্তু খুকীরতো তাতে বিশ্বাস হয় না। সে তাই নিজের এর বিচার কাজ শুরু করল। প্রথমেই রাজ পেয়াদাকে খবর পাঠানো হলো সে ঘটনার সাক্ষী। কিন্তু সারা রাজ্যেও তার কোন সন্ধান মিললনা। মানে তিনি সেইদিনই গুম হয়ে গিয়েছে। :-/

যাই হোক কোষাগারের দারোয়ানকে ডাকা হল। সে বলল যে আমি জানিনা খিভাবে কি হয়েছে কিন্তু উনাকে আমি দেয়াল চাপায় কাৎরাতে শুনেছিলাম। এই কথা শুনে রাণী তেলে বেগুনে জ্বলে গেল।রাণী বলল”কি দরজা আমাদের যে শুধু শুধুই ভেংগে যায়?কে এই দরজা বানিয়েছে আগে তার বিচার হবে।” এক দিন পর সেই রাজমিস্ত্রী আসল এবং বলল ”রাণীসাহেবা আমার কোন দোষ নেই। যে বালু দিয়েছিল সে চুরি করেছিল তাই ভেংগে গেছে।” রাণীর নির্দেশে তার দুদিন পর সেই বালু ব্যবসায়ীকে খুজে পাওয়া গেল। সেও এসে যা বলল, ” রাণী সাহেবা আমার কোন দোষ নেই যার কাছে ওজন মাপার যন্ত্র কিনেছিলাম তার দোষ।” এবার খোঁজ পাঠানো হল সেই যন্ত্র ব্যবসায়ীর। এভাবেই একের পর এক লোক আসতে আসতে মানুষ চীরঞ্জীতের ঘটনাগুলো আস্তে আস্তে ভুলে যেতে শুরু করল।
শেষে রাণী প্রমান করলেন যে দোষ আসলে সে বেটা রাজ পেয়াদারই।সেই চুরি করতে গিয়ে সব দোষ চীরঞ্জীত বাবুর ঘারে চাপাতে চেয়েছিল। অতএব প্রমানিত হলো যে চীরঞ্জীত নিতান্তই ছলনার শিকার মাত্র। :D

এর কিছুদিন পর চীরঞ্জীত রাজ্যের গন্যমান্য ব্যক্তিদের ডেকে পাঠালেন আর সবাইকে সরবে বলতে লাগলেন,”দেখেছেন আমার রাণীর সচ্ছ বিচারে আমি নির্দোষ প্রমানিত হয়েছি। রাণী আবার সত্যের জয় প্রতিষ্ঠা করলেন। জয় রাণীসাহেবার জয়।”তিনি রাজ্যের অতিথীদের আরোও বললেন,”আমার মত এত সৎ মানুষকে এখন রাণীসাহেবা যদি আবার যোগাযোগ মন্ত্রী বানায় তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কষ্ট করে আমাকে সেই দায়িত্ব নিতেই হবে।”

আসলেই চোরের মার বড় গলা!!!!! X( X(
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×