একগুচ্ছ কবিতা-১
পারতে কি অমন মেরু ভাল্লুকের মতো ঘুমাতে?
সবটুকু আলস্য লাগুক তোমার দু চোখে
ঘুমিও না, অভিশাপ লাগবে তবে।
চাইনা ঘৃণা বলে বারবার স্বর্ণলতায় আটকে থাকি,
মহুয়ার পানে বিষাক্ত অঙ্গ তোমারি,
একটি ছিদ্র হাতড়ে বেড়াই ব্যস্ত যৌবনে,
যেখানে হতাশাদের ভিড়ে, ফিঙে আসবে সন্তর্পণে।
লুকোচুরি, ঘুম ঘুলাইয়া, হারিয়ে যাওয়া আমাজন।
আত্মার প্রান্তে অভিযোজিত আত্মসমর্পণ।
অভিযোগ গুলো সাজিয়ে রেখেছে ফসফরাস দেবতা।
হিমালয় যদি ভেঙ্গে না পরে সেও যে তোমারি ব্যর্থতা।
__________________________________
তোমার অধরে বালতি চুবিয়ে দিয়েছি মিসমিসে অমৃত
লাজুক আচলেও লুকোলে শেষে, জেনে রেখো ধ্রুবতারা জাগ্রত।
হাত বাড়িয়ে রয়। পথের শেষ সীমা টেনে নিয়ে চলে বালক।
বালিকার পায়ে আজ মরে রয় মৌমাছির দল। একটু নিঃসঙ্গ। একটু একা।
তবু ঘুর পথে ফিরে আসে আসমান, ফিরে আসে জমিন, রংধনু রোশনাই।
পূর্ণ চোখে চেও না, আমি এখুনি মরিতে প্রস্তুত নই।
________________________________________
আসো পাপড়ি গুনি, আর কতো সন্ধ্যা পরে সে প্রস্ফুটিত হবে,
প্রজাপতির ডানায় রক্ত চুম গুনি,
মায়ার সাথে জুড়ে দেই অন্ধ বিবশ। নিষিদ্ধ রাতে।
খোপায় জড়িয়ে নিও না বেলি ফুলের সৌরভ।
মাতালী রাতে আর কতো নেশাতুর কবি এভাবে কুমারত্ব বিসর্জন দিবে?
এক ব্যাগ কাব্যের বিনিময়ে সময় কিনিতে চাও?
ওটি যে আগেই বিকিয়ে দিয়েছি নিশিকন্যার চোখে।
তুমি বড্ড নিষ্ঠুর। আসো পথ ভুলি।
মেয়েটি শুনতে চায়নি কিছুই।
_________________________________________
জেগে থাক প্রেত পুরী, তুমি লাল টুক টুক
চন্দ্র আভা হেসো না, পেয়ো না লজ্জা, নিয়ে যাও যত পারো ধার করে তার কাছ থেকে।
আমি পদ্মভূক।
চঞ্চলা ভাষারা চিৎকার করে চেয়েছে অনুমতি।
আহা নিয়নের আলোরা নিভে যাক, হেসে উঠুক জ্বলে মরুক জোনাক পোকা থেকে থেকে।
আমিই নিয়তি।
কেঁদে কেটে ব্যবচ্ছেদ করে নেই রাতের সময়।
সাহেব হয়ে বসে থাকি, তোমায় বানাই বিবি, আজ যে সবটুকু শক্তি নিয়ে দাড়িয়ে টেক্কার পট।
কেন অসহায়?
_____________________________________
হাঁসের জলকেলীর সাথে বেধে দিলাম ঘুম, মেঘেদের দলের সাথে হিমেল হাওয়ার যোগসূত্র, কি বার্তা দিলে, এসেছো বুঝি?
নূপুরের রিনিঝিনি শুনতে পাই না কেন?
মিষ্টি হাসির শব্দ শুনতে পাই না কেন?
ফুলেদের ঘ্রানে মাতাল হইনি এখনো।
আসো নীরবে পাড়ি দেই মরু বরফ কিংবা মেরু বালি, ফেলে আসা স্মৃতির বুকে এঁকে চলে দুর্বোধ্য শিলা লিপি।
তবু নির্বাক বলগা হরিণীর মতো চাঁদের পানে চেয়ে থেকে কি দেখো তুমি? তুমি কি জানো না, মহাকালের বুকে কতো কতো পদ ছাপ রেখেছি আমি, তুমি কি জানো না সমগ্র জল স্থলে একটাই আবেগ? একটাই সুর।
দ্যাখো ঐ যে সন্মোহনী ডাহুকের দল।
_______________________________________
আচ্ছা ঠিক আছে, সব কিছুই যেহেতু তোমার দখলে,
আমি নাহয় নির্যাতিত না থাকার চেষ্টা করি,
সাদা পতাকা দেখো নাই?
ওহ সময় নাই।
সো একটু সবক দাও দেখিনি
পাঁচ বছরে প্যাচ।
কম লাগাও নি।
কি আর করা, মেনে নিলাম।
হতাশা বাক্স বন্দী।
নতুন করে বাধবো বাসা।
তোমায় বানাবো ঘরনী।
ইয়ে তুমিই তো আমার বাকশালী।
________________________________________
ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক
বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন