somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক স্ত্রী‘র দুই স্বামী!!!! বরগুনা সরকারী কলেজ ছাত্রী লিন্থা এখন কার বউ ?

১৬ ই মে, ২০১২ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নেরর কাঠালতলী গ্রামের নিয়াজ মোর্শেদ অপু মোল্লা ও তার পরিবার মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। প্রেম ও বিয়ে জনিত ঘটনা নিয়ে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা উত্পত্তি। বরগুনা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) এর অস্থায়ী কার্যালয়ে বৃহষ্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অপু মোল্লা ও তার বাবা মোঃ নুরুজ্জামান বাবুল মোল্লা এ অভিযোগ করেছেন। এবং বলেন যে মামলা চলাকালীন আদালতের নির্দেশ ছাড়া বাদশা মিয়া তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে আইনের প্রতি অসম্মান করেছেন । তাই আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে বাদশা মিয়ার মেয়ের বিবাহ দেয়ার তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

অপু তার পরিবারের অভিযোগ, বরগুনা কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের বাবুল মিয়ার বাদশা (ঠিকাদার) এর মেয়ে সানজিদা আরেফিন লিনথার সাথে অপুর প্রেমের সম্পর্ক হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক উভয় পরিবার মেনে না নেয়ায় গত ৭এপ্রীল এইচএসসি পরীক্ষার হল থেকে লিনথা অপুকে নিয়ে পালিয়ে যশোরে চলে যায়। সেখানে তারা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা দেন মোহেরের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে তারা খুলনার ফুলতলায় নিকাহ রেজিস্টার কার্যালয়ে গিয়ে রেজিস্ট্রি করে। এদিকে লিনথিয়া নিরুদ্দেশ হওয়ার পর তার বাবা বাবুল মিয়া (বাদশা) বরগুনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপু ,তার বাবা বাবুল মোল্লা, মা খাদিজা আক্তার ছবি ও মোঃ তাজকে আসামী করা হয়েছে মামলা করেন।

বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মিমাংসিত হওয়ার শর্তে বরগুনা ফিরে আসে। এ নিয়ে উভয়পক্ষ সালিশ মিমাংসার জন্য বসলে অপুর বাবা নুরুজ্জামান বাবুল মোল্লা সালিশগনের সিদ্ধান্ত অনুসারে পরবর্তিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হওয়ার শর্তে লিনথাকে তার বাবা বাদশা ঠিকাদারের কাছে ফেরত্ দেন। লিনথার বাবা সালিশগনের কাছে মামলাটি তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মামলা প্রত্যাহারের জন্য থানায় আবেদন করেছিলেন।

এ ঘটনার পর লিনথিয়ার বাবা মেয়েকে অপুর কাছে বিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মামলা প্রত্যাহার না করে উল্টো অপহরনের অভিযোগ আনেন। টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশ থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেন বাদশা মিয়া। সানজিদা আরিফিন (লিনথা) প্রথম শ্রেনীর বিচারকের কাছে তাকে কেউ অপহরণ করেনি, সে সেচ্ছায় অপুর সাথে চলে যায় মর্মে জবানবন্দি দেয়। এরপর বাবুল মিয়া মেয়েসহ পরিবারকে নিয়ে ঢাকা চলে যান।

সংবাদ সম্মেলনে অপুর বাবা বাবুল মোল্লা আরও জানান, এর আগেও লিনথা দুইবার অপুকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেন। এ ঘটনার পর লিনথার বাবা-মা লিনথাকে প্রায় তিনমাস তালাবদ্ধ করে রাখে।

মামলার তদন্ত কারী পুলিশ কর্মকর্তা বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক বনি আমিন, তদন্ত প্রতিবেদনে অপু মোল্লা ও লিনথিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল উল্লেখ করলেও মামলার আসামী অপুর বিরুদ্ধে চার্জ শীট দেন। এ ব্যাপারে এসআই বনি আমিন জানান, মামলায় বয়স কম হওয়ায় লিনথিয়ার আদালতে দেয়া জবানবন্দি গ্রহনযোগ্য নয়। তাই আসামী অপুর বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে মামলাটি বরগুনা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে বিচারাধীন। অপু তার বাবার দাবী, অপুর বিরুদ্ধে অপহরনের অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা। লিনথিয়াই অপুকে বাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য করেছিল। বিষয়টি গন্যমান্যদের মাধ্যমে মিমাংসা হলেও লিনথিয়ার বাবা হয়রানী করার অসত্ উদ্দেশ্যে মামলাটি প্রত্যাহার করেননি।

এদিকে আদালতে পর পর একটি দেওয়ানি মোর্কাদ্দমা ও একটি নারী শিশু মামলা বিচারাধিন অবস্থায় রহিয়াছে । মামলা চলাকালীন লিন্থাকে আদালত তার বাবার জিম্বায় রাখেন,কিন্তু অদালত বিবাহের অনুমতি দেয়নি এবং বিবাহের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়াও হয়নি। তথাপি বাদশা মিয়া আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে লিন্থাকে বিবাহ দিলেন এক পর্যায়ে যোর পূর্বোক একথা জানান তার প্রথম পক্ষের স্বামী অপু মোল্লা আরো জানায়,বর্তমানে মনিরুল ইসলাম নামের বরিশালের এক সরকারী চাকুরীজীবী‘র ঘড় করছে লিন্থা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×