somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসময়ের কবিতারা-

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মধ্যরাতের গান
-
কত আড্ডা কত স্মৃতি,
মেলেনা আজ ফুসরতই।
সময়ের তুমুল আড্ডাবাজ,
গৃহবন্ধীত্বে আজ অধর ভেজায়।

সময় বয়,গতিহীন সঙ্গীরা,
পাপিষ্ঠ আজ স্বীয় অবস্থায়।
ক্ষনিকের সঙ্গীরা কি জানে,
আড্ডাবাজের উপন্যাসে আজও তারা বেঁচে?

নশ্বর মায়ার এই ভুবনে,
বিষাদে থাকা শ্রেয়তরই বটে।
আসছো একা,যাবে একা,
মাঝখানে সব রঙ্গলীলা।

জীবন এক অদ্ভুত খেলা,
কর্তার হাতে সবই ধরা।
দর্শক হয়ে খেলা দেখবে,
খেলতে গেলেই হারতে হবে।

অভিমানের কবিতারা,
নিরবে সব সয্য করে।
শব্দগুলো আজ শুধু,
বসে বসে হিসেব কষে।

নৈরাশ্যবাদীর ঠোঁটের কোনে,
তবুও স্মিত হাসি খেলা করে।
লাল গোলাপ হাতে ধরে,
মানবীকে স্বপ্ন দেখে।
সাদাকালো চোখে রঙ্গীন স্বপ্নে,
প্রহর কাটে সংগোপনে।

(মধ্যরাত-১১এপ্রিল,২০১৩)
________________________________

মুখোশ
-
টাকায় কিনা রক্ষিতাকে রাতের আঁধারে
ধর্ষনের কথা প্রিয়তমার কাছে
অবলীলায় চেপে যাওয়া নপুংসক,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।

নারীবাদী,সুশীলের ভেক ধরে
থাকা নিরব গুপ্তধর্ষক,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।

অবুঝ বালিকার শরীর নিংড়ে খাওয়া ভন্ড প্রেমিক,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।

অবরুদ্ধ নারীর নিভৃত কান্নার খলনায়ক
ধর্ম বিকিয়ে খাওয়া ব্যবসায়ী,
হ্যাঁ,তোমাকেই বলছি,
মুখোশ খুলে ফেলো।

চারিদিকে আজ শত সহস্র আলোর হাতছানি,
মুখোশ খুলে আধাঁর বিদীর্ণে মনুষ্যত্ব প্রমান করার এইতো সুযোগ!
আসো,মুখোশ খুলে আজ আলোর পথে আসো।

(১০এপ্রিল-২০১৩)

__________________________________

তোর কি একটু সময় হবে?
-
তোর জোয়ারে নাও ভাসাইলাম,
মাঝ নদীতে নাও ডুবাইলি!
ওই পাড়েতেই থাকবি যদি,
কেন আমারে মায়ায় বাঁধলি?

মাঝরাইতে চান্দের সনে,
কথায় আমার সময় কাটে।
আকাশের ওই লক্ষ তারায়,
তোরে আমি আজও খুঁজি।

দখিনের ওই ঠান্ডা হাওয়ায়,
তোর স্পর্শে মাতাল আমি।
তোর সুখের ওই পাড়েতে,
আমারে কি লইয়া যাবি?

জোছনার আলোয় তোরে দেহুম,
একলগেতে তারা গুনুম,
বলনা পাগলী,তোর কি একটু সময় হবে?

(১০এপ্রিল-২০১৩)
_______________________________

তোমাদের এই নগরে
-
রাতের আধারে ধর্ষিত অন্তরাত্বার তীব্র শীৎকারে
জেগে উঠি।
নিঃসঙ্গ জোছনার সনে কথার হুল ফুটাই,
মিটমিট করে জ্বলতে থাকা
তারাদের স্বাক্ষী রেখে,
সোডিয়ামের নিয়ন আলোয় হাঁটি।
উদ্দেশ্যহীন সেই পথে রাস্তার নেড়ী কুকুটাকে
সঙ্গী করে নেই।

খদ্দেরের আশায় বসে থাকা নিশিকন্যাদের
ভাবলেশহীন চোখের আকুল মাদকতায়
স্বীয় চোখ নোনাসিক্ত হয়,
মাংশগুচ্ছের সন্ধানে বের হওয়া পুংধর্ষকও
আমার দৃষ্টে এড়াতে অব্যার্থ।
সদ্য প্রেমিকা হারানো মাতালের বেসুরো গান শুনি,
ফুটপাতে সংসার পাতাদের প্রশান্তির ঘুম দর্শনে,
অনলে হৃদয় হয় ছারখার।

দিনের কর্মব্যাস্ত টং্যের বেঞ্চগুলো,
রাতের নিস্তব্ধতায় মুখ ঘুমরে কেঁদে উঠে যেন।
আড্ডায় মশগুল সেবকদের সন্দেহবাদী তল্লাশিতে
স্মিত হেসে,
আবারও উদ্দেশ্যহীন সে পথে হাঁটি।

রাস্তার নেড়ী কুকুরটা তখনও আমার সঙ্গী,
হাঁটছে সংগোপনে,নির্লোভে।

(২৯মার্চ,২০১৩)

____________________________

জীবন্মৃত
-
অভিশপ্ত মৌন বিকেল শেষে,
দুঃখ জাগানিয়া স্মান সন্ধ্যা।
রাত জাগা চাতক পাখির মত চেয়ে থাকা
ক্লান্ত চোখে,
অমীমাসিংত রহস্য সমাধানে ব্যাস্ত অন্তরাত্বা।

আধেক ঘূম,আধেক জাগরনে,
নতুন স্বপ্নের সূচনা,
অবিশ্বাসীদের কাল্পনিক মন ভেদের
হীন প্রচেষ্টা।

সবার অগোচরে,হারিয়ে যাবার পথে
নিঃসঙ্গে হেঁটে যাওয়া।
হয়তোবা,প্রবল চটোপাঘাতের শব্দ
শুনার প্রতীক্ষায়,
অধীর হয়ে রাত জাগা।

প্রচ্ছন্নে ইঙ্গিতে ক্লান্ত চোখে স্মিত হেসে
অসুস্থদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা।
ধর্ষিত অন্তরাত্বা নিয়ে,
মুখোশ পরা জড়ের জীবন বহন করা
অথবা,ক্লান্তিহীন সংগ্রামের পথ বেছে নেওয়া।

শত কথার ভীরে শিকড় খুঁজে পার করা
গভীর রাত শেষে,
আজানের শব্দে ঘুমুতে যাওয়া।
'মন্দ নয় জীবন' বলে,
আত্মতৃপ্তির মিথ্যে অহংকার নিয়ে বেঁচে থাকা।

কাল্পনিক সুখানুভূতির আশায়
সাময়িক সঙ্গ প্রত্যাশা,
অজানা মায়ায় জড়িয়ে,
বড্ড বেশি সাধারন হয়ে বেঁচে থাকা।

এইতো মৃতের জীবন!

(২৭ইমার্চ,২০১৩)

_________________________________

##কেউ কি আমাকে কবিতার ছন্দ-অন্তঃমিল এগুলার ব্যাপারে বিশদ কোনো বইয়ের খোঁজ দিতে পারবেন?
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×