সূর্যটা আর আড়াআড়ি নেই!
জ্যামেতিক পরিমাপের বাইরে এসে একেবারে দাড়িয়ে তাপ দিচ্ছে।বহুক্ষন যাবত নিকোটিনের তৃষ্ণা ভর করেছে গলায় এবং মস্তিস্কে। পকেট থেকে মুচড়ে যাওয়া সিগারেটটিকে ফুঁসলিয়ে বের করলাম অগ্নিপাত করে সফলভাবে ভোগ করার জন্য।ব্যাটার সাহস আছে বইকি। যার জন্ম হয়েছে জ্বলে মরবার জন্য সে কিনা জ্বলতে চাচ্ছে না।সিগারেটের দোষ দিব নাকি দেয়াশলাইর অক্ষমতাকে দায়ী করবো?
ক্ষমতা অক্ষমতা নিয়ে ভাববার সময় নেই।শরীরে নিকোটিনের প্রচন্ড অভাব,দ্রুতই শরীরে নিকোটিনের স্যালাইন প্রবেশ করাতে হবে।প্রথমবারে বখাটে বাতাস বেইমানি করল,দেয়াশলাইর কাঠির অক্ষমতা তৃতীয়কে স্বাগতম জানাল।তৃতীয় বারের চেষ্টাতে দেয়াশলাই এবং সিগারেটের সফল যৌন মিলন করাতে সক্ষম হলাম!এ এক অদ্ভুত অন্যধারার যৌনমিলন বটে। আগুন অবশম্ভাবী,তবে জ্বালিয়ে দেবার পর আগুনের মত এমন কালজয়ী কিংবদন্তিরও কোন মূল্য থাকে না। তবে ছোঁয়াছে আগুন রয়ে যায় আমার নিকোটিনের ভরা জলসায়।আগুনকে ঠেলে রেখে মিলনে লিপ্ত হই আমি আর নিকোটিন।নিকোটিন আর আমি।মস্তিস্ক ভরে যায় অদ্ভুত যৌন মিলনের ধারে।কে বেশী সুখী নিকোটিন নাকি আমি? এ প্রশ্ন নিকোটিনের মনে আসা অবান্তর।বঞ্চিতরা কেবল ভোগ হতে আসে উপভোগ করতে নয়।
আমার নিকোটিনের ঢগায় দাড়ানো সে সূর্য্য নেমে আসে।অথচ এ সূর্য্য হিমশীতল সান্তনা দেয় মস্তিস্কের নিউরনে।
কিছু কিছু সুখে চোখ বন্ধ করার নিয়ম।নিকোটিনের প্রবাহে দুএকবার নিয়ম পালন করলাম।রয়ে সহে সিগারেটের শেষ টানটা দিয়ে ফেলি।এক আকাশ ধোঁয়া বুকের ভিতর চলে যায়।তারপর সেসব ধোঁয়াকে রুপান্তরিত করে আকাশের ঠিকনায় পাঠিয়ে দিই।আকাশ গ্রহন করেছিল কিনা জানিনা। আকাশের মত বিশাল কেউ আমার অবাঞ্চিত ধোঁয়া গ্রহন করবে না।আমি ওসব নিয়ে ভাবি না।আমি আকাশের মত সংকীর্ণ না।তর্জনী এবং বৃদ্ধা আঙ্গুলের যৌথ প্রচেষ্টায় মাটিতে ছুড়ে দিলাম সিগারেটের অপ্রয়োজনীয় অংশটিকে, যৌন মিলনের শেষ অংশের আদিম প্রক্রিয়ায়।একটি সিগারেটে অন্তষ্ঠক্রিয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে আমি খাড়া সূর্য্যের দিকে তাকালাম।সিগারেটটির কি অপমৃত্যূ হয়েছিল ? নাকি মৃত্যূ প্রয়োজনে মৃত্যূ।কে জানত এই দুপুরে আমি মৃত্যূ পসরা সাজিয়ে বসে ছিলাম।
কি অদ্ভুত মিল মৃত্যূ আর যৌন মিলনে !
এটা একটি অপরিকল্পিত সিরিজ হয়ে যাচ্ছে।এর আগের দুটি লেখা
নিশি প্রলাপ
আমাকে জন্ম দেয়া এক রাত্রী।