চিতায় শুয়ে আছি আমি আজ
চন্দন কাঠ জোটেনি আমার
থরে থরে থাক দেয়া বাঁশের দেয়ালে
সাজানো হয়েছে চিতা আমার
আগুন দেবে কে?
চিতায় শুয়ে আছি আমি আজ
ঘি দিয়ে কে জ্বালাবে আমায়
কেরোসিন তেল পাওয়া গেছে কিছু
ঢালা হয়েছে চিতার ওপরে অল্প কিছু
আগুন দেবে কে?
সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চিতা ঘিরে
আগুন দেয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছে না
এত মানুষের ভীরে, তুমি এখনো আসনি বলে
শব হওয়ার আগে আমি বলে গিয়েছিলেম
সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে যে আমায়
আগুন দেবে সে আমার চিতায়।
তোমার দেয়া আগুন জ্বলবে দাউ দাউ করে
পুড়ে নিঃশেষ হব আমি কালো ধোঁয়ায় উড়ে
পাপ কাঁটা যাবে তাতে হয়তো কিছু আমার
তোমার ঘৃণার আগুনে পুরে কিছু পুণ্য হবে সঞ্চয়
ধোঁয়াগুলো পাক খেতে খেতে উড়ে যাবে আকাশের দেশে
চাঁদের দেশ ছাড়িয়ে মঙ্গলের দুটি জ্যোৎস্নায়
ভাগ হবে তাঁরা দুটি ভাগে সেখানে।
উপরওয়ালা দেখবেন দুটি ধোঁয়ার ভাগ
একটিকে দেবেন পাঠিয়ে নরকের আগুনের ধোঁয়ায়
যদি কিছু ভালো থেকে থাকে আমার
সে ধোঁয়ার ভাগটুকু আবার পাঠিয়ে দেবেন ধরাচরে
মেঘের পরে ভর করে
আবার হয়ত ফিরে আসব তোমাদের কাছে
টাপুর টুপুর বৃষ্টির বেশে
তোমার গাঁয়ে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা যদি চিনতে পার সেদিন
একট মুঠো রেখে দিও বোতলে ভরে
যদি আমার কথা মনে পড়ে।