শ্রেষ্ঠ কারিগর, দৃঢ়তম ধাতুসংকর,
সর্বোচ্চ দক্ষতা, অযুত যত্ন--
তোমার জন্ম।
তীক্ষ্ণাগ্র, সুনিপুণ শাণিত তলোয়ার এক।
কি উদ্ধত রূপ!
কার স্পর্ধা মাথা তুলে দাঁড়ায়?
অথচ কি ভয়াবহ অক্ষম তুমি-
তোমার ঔদ্ধত্য-তীব্রতার প্রয়োগে ভূমিকাহীন
নিছক জড়।
না অক্ষম নও, প্রতিফলন--
তোমার চকচকে দেহের অভয় প্রতিফলন,
হ্যাঁ প্রতিফলনই তোমার একমাত্র ক্ষমতা।
সেরা সত্য দর্পণ তুমি।
ঐ যে তোমায় হাতে তুলে নিয়েছিলো
এক নিরীহ ভদ্রলোক,
তোমার দেহে কি নির্মম প্রতিফলন দেখিয়েছিলে!
মনে পড়ে?
তোমার নিষ্ঠুর শাণে ছিন্ন-ভিন্ন হোল শান্ত সমাজ।
লোভাতুর চোখ, লকলকে জিহ্বা
কি বিভৎস সে রূপ
ধারণ করেছিলে মনে পড়ে?
আবার মনে করে দেখো,
কর্কশ-অসামাজিক
ঐ যে লোকটার হাতে গিয়ে পড়লে,
তোমার মসৃণতায়ই-না জানা গেলো তার মহিমা।
কত অসৎ সেবার তোমার ভয়ে শুধরে গেলো
নড়বড়ে জাতি হঠাৎ গাঝাড়া দিয়ে দাঁড়ালো।
মনে পড়ে,
অগ্নিকণ্ঠ সেই লোকের সংগোপন মায়াময় চোখদুটি
দেখিয়ে দিলে?
অপেক্ষায় আছি, প্রার্থনায় আছি--
তোমার আয়নায় দেখবো বলে
প্রদীপ্ত যোদ্ধা,
আসবে আবার সুদিন।