somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুর্নীতির রাহুগ্রাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: সঙ্গে আছে ভিসির শয়তানি...

১২ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুর্নীতি ও অনিয়মের রাহুগ্রাসে পরিণত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। একের পর এক দুর্নীতি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এসব দুর্নীতির প্রতিবাদে হৈচৈ হয়েছে সিন্ডিকেট ও সিলেকশন বোর্ডেও। শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগে কোন নিয়মকানুনকেই পাত্তা দেয়া হচ্ছে না। ফার্স্ট ক্লাসধারীদের বাদ দিয়ে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে সেকেন্ড ক্লাসধারীদের। এসব অনিয়েমর প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকরা। দুর্নীতি, অনিয়ম ও দলীয়করণের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের গতি। প্রশাসনিক কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন একটি বিভাগের চেয়ারম্যান। শুধু শিক্ষক নিয়োগই নয়, সব নিয়ম-নীতি ভেঙে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ডিন। দীর্ঘদিন কাজ করেও স্থায়ী নিয়োগ না পেয়ে একজন কর্মচারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে ভিসি বলেছেন, নিয়োগে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি।
সমাজকর্ম বিভাগে অনিয়ম: সমাজকর্ম বিভাগের ৪টি প্রথম শ্রেণী থাকলেও নিয়োগ দেয়া হয়নি তাদের। নিয়োগ দেয়া হয়েছে অনার্সে সেকেন্ড ক্লাসপ্রাপ্ত প্রার্থীকে। ১৫ই ফেব্রুয়ারি সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ নিয়ে সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে হৈচৈ ও বাগবিতণ্ডা হয়। সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভা হয়। সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষকের শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে ২১ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ১৫ জন মৌখিক পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ৭ জনেরই ৪টি প্রথম শ্রেণী রয়েছে। কয়েকজনের অর্নাস ও মাস্টার্সে প্রথম স্থানও রয়েছে। যাদের ৪টিই প্রথম শ্রেণী তারা হলেন- কামরুন্নাহার ও শাহনাজ পারভীন, শরীফুল ইসলাম সজীব, শহীদুল হক, রুমি মোহাইমেন, খাদিজা খানম ও কামরুজ্জামান মিজান। এর মধ্যে শরীফুল ইসলাম সজীব নিয়োগের জন্য মনোনীত হয়েছেন। ৪টি ফার্স্ট ক্লাস প্রাপ্তদের মধ্যে কামরুন্নাহার ও শাহনাজ পারভীনের সব পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীসহ ৪টি গবেষণা প্রবন্ধ এবং প্রায় ৭ বছরের অর্নাস শ্রেণীতে সরকারি কলেজে পাঠদানের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তার কেউ নিয়োগ পাননি। ৪টি ফার্স্ট ক্লাসপ্রাপ্তদের বাদ দিয়ে কোন ধরনের গবেষণা প্রবন্ধ ছাড়া অনার্সে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ প্রার্থী শিল্পী রানী দাসকে নিয়োগের সুপারিশ করেন একজন সদস্য। এ নিয়ে তিনজন সদস্য আপত্তি করেন। সিলেকশন বৈঠকে এ নিয়ে একপর্যায়ে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত একপ্রকার জোর করেই শিল্পী রানী দাসকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
ইসলামিক স্টাডিজে অনিয়ম: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সিলেকশন বোর্ডে দু’সদস্যকে নিয়মবহির্ভূতভাবে অন্তর্ভুক্ত করেন ভিসি। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৩ জন প্রভাষক নিয়োগের জন্য গত বছর ২৯শে জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২২শে আগস্ট লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১১২ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। ১২ই অক্টোবর প্রকাশিত ফলাফলে ১৯ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। ১৮ই অক্টোবর তাদের ভাইভা শেষে সিলেকশন বোর্ড যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে যোগ্যতার দিক থেকে পেছনে থাকা ৪ জনকে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। সুপারিশকৃতরা হলেন- আবু মনছুর মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, আখতার ফারুক, ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল। এর মধ্যে সাইফুল আলমের আলিম (এইচএসসি) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ রয়েছে। মাস্টার্সে ১ম শ্রেণী পেলেও তার কোন পজিশন নেই। আবু মনছুর মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনও আলিম পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছেন। অনার্স ও মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী পেলেও কোন পজিশন নেই। বাকি দু’জন প্রার্থীর মধ্যে ড. মো. ইব্রাহীম খলিল দাখিল, আলিমে প্রথম বিভাগ, অনার্সে ১ম শ্রেণীতে ১ম ও মাস্টার্সে ১ম শ্রেণীতে ৪র্থ স্থান অর্জন করেন। আখতার ফারুক সবগুলোতে ১ম শ্রেণী পেলেও কোন পজিশন নেই। অথচ নিয়োগের আবেদন ফরম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন প্রার্থীর অনার্সে ও মাস্টার্সে ১ম শ্রেণীতে ১ম এবং দাখিল-আলিমে ১ম বিভাগ রয়েছে কিন্তু তাদেরকে সিলেকশন করা হয়নি। এর পিছনে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্বজনপ্রীতিতে দর্শন বিভাগে নিয়োগ
দর্শন বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূচনা শোভা নামের এক প্রভাষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিক্ষা জীবনে তার একটি মাত্র প্রথম শ্রেণী রয়েছে। তার স্বামী সিলেকশন বোর্ডের সদস্য এবং দর্শন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নূরুল মোমেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় অনিয়ম করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক হওয়ার জন্য তিনি বিবেচিত হন না। এছাড়া প্রশাসনিক পদসহ বিভিন্ন পদে নিজের পছন্দের লোক নিয়োগ দিচ্ছেন ভিসি। ভিসির পাসের এলাকার হওয়ায় ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের জের ধরে কোষাধ্যক্ষ পদে সেলিম ভূঁইয়াকে নিয়োগ দিয়েছেন। কোন কারণ ছাড়াই তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীরকে কৌশলে সরিয়ে দেয়া হয়। নিজ এলাকার এবং বন্ধুর ভাই হওয়ায় প্রক্টর পদে অধ্যাপক কামল উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বর্তমান প্রক্টরের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে অনিয়ম: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে এক প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম করা হয়। একটি মাত্র প্রথম শ্রেণী থাকা সত্ত্বেও আবুসালেহ সিকান্দার নামে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ সব পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণী পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়নি।
প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগে অনিয়ম: বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগের কর্মস্থলের ছাড়পত্র ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহাকে। অভিযোগ রয়েছে- আগের কর্মস্থল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন সাড়ে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় ওই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। ডিপ্লোমা পাস সুকুমার চন্দ্রকে জবিতে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও ত্রুটি ছিল। এই পদে বুয়েটের দু’জন, রুয়েটের ১জন ও চুয়েট থেকে পাস করা ৪ জনসহ মোট ১৬ জন যোগ্য প্রার্থী আবেদন করলেও ভিসির এলাকার ও আস্থাভাজন হওয়ায় তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।
অধ্যাপক নিয়োগের শর্ত শিথিল: বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের অধ্যাপক পদে পদোন্নতির শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সার্ভিস রুলস কমিটির পরামর্শ ছাড়াই ভিসি নিজ ক্ষমতা বলে সিন্ডিকেটে শর্ত শিথিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কোন শর্ত শিথিল করছে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়াও অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক নিয়োগ ও ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম করা অভিযোগ রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ভিসি ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়োগে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। যথাযথ নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, অপশক্তিদের অপপ্রচার মাত্র।
অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক নিয়োগ অনিয়ম: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক নিয়োগে অনিয়ম করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ধারা লঙ্ঘন করে ভিসি নিজ ক্ষমতা বলে এ নিয়োগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে ভিসির সুপারিশক্রমে শিক্ষা প্রশাসন ও হিসাব কর্মকাণ্ডে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ন্যূনতম সহযোগী অধ্যাপক মর্যাদা সম্পন্ন শিক্ষকদের মধ্যে হতে সিন্ডিকেট কর্তৃক দুই বছরের জন্য পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নিযুক্ত হইবেন। কিন্তু ভিসি এ আইন লঙ্ঘন করে অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সৈয়দ আহম্মদকে অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক নিয়োগ দেন। সিন্ডিকেট কর্তৃক এ নিয়োগের কথা থাকলেও ভিসি নিজেই এ নিয়োগ দেন।
ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা নিয়োগে অনিয়ম: আইন অমান্য করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যোগ্যদের বাদ দিয়ে ভিসির কাছের লোক হওয়ায় ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন এক সহযোগী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৪ ধারা লঙ্ঘন করেই এ নিয়োগ দেয়া হয়। আইনের শর্ত পালন না করেই সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. অরুণ কুমারকে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক পদে নিয়োগ দেন ভিসি।
ডিন নিয়োগে অনিয়ম: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এর ২২ (৫) ধারা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে ডিন করার কথা থাকলেও তা অমান্য করে জুনিয়র অধ্যাপক আবু মিছিরকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন করা হয়েছে। ৬ই ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেনের দুই বছর মেয়াদ শেষ হয়। এর আগেই ৩০শে জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক অফিস আদেশের মাধ্যমে ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু মিছিরকে নতুন ডিন নিয়োগের বিষয়ে বিভাগে বিভাগে চিঠি প্রেরণ করে। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পরবর্তী অধ্যাপক হিসেবে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একে এম মনিরুজ্জামান ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শওকত জাহাঙ্গীর রয়েছেন। এ দু জন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ডিঙ্গিয়ে অধ্যাপক আবু মিছিরকে ডিন নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ: ব্যবস্থাপনা বিভাগে অবৈধভাবে এক শিক্ষক নিয়োগ দিতে গেলে প্রতিবাদে বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম মনিরুজ্জামান পদত্যাগ করেছেন। ফিরোজ আলম নিপু নামের একজন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হওয়ার জন্য নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরীক্ষা দেন। কিন্তু বৈধ উপায়ে সে শিক্ষক হতে ব্যর্থ হন। ভিসি ১লা মার্চ তাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান একেএম মনিরুজ্জামানকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নিপুকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিবেন বলে জানান। কিন্তু মনিরুজ্জামান তাতে সম্মতি না দিয়ে বলেন আমি এ অবৈধ কাজ করতে পারবো না। এ নিয়ে ভিসির সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তিনি পদত্যাগও করেন ওই ঘটনার প্রতিবাদে।
কর্মচারীর আত্মহত্যার চেষ্টা: ৫ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থায়ী নিয়োগ না পেয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কর্মচারী জাহাঙ্গীর হোসেন। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তাকে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। ৫ই মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে মাত্র ৬ মাস ধরে কাজ করা নতুন এক কর্মচারীকে এডহকে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয় এবং জাহাঙ্গীরকে বঞ্চিত করা হয়। এর প্রতিবাদে জাহাঙ্গীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×