somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুয়েট শেষ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে গেল র‌্যাগ'১২.....

১০ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কি লিখব কিছুই মাথায় আসছেনা।
তখনও মাথায় আসেনি, যখন চুয়েটে পড়তে আসি। চুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর সংবাদপত্রে প্রায় দেখতাম চবি / চুয়েটের ছাত্রদের বিছানায় সাপ শুয়ে থাকে। ভয় লাগতে লাগল। মাকে বললাম চুয়েটে পড়ব না।মা কোন কথায় শুনলেন না। মা আমাকে জোর করেই চুয়েটে পাঠালেন। আসলাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের শহর চট্টগ্রামে। অনেক সুন্দর একটা ক্যাম্পাস শুধু ঘুরতে ঘুরতে আর ব্যাকলগ সাথে নিয়ে ১ম সেমিষ্টার পার করলাম। তারপর একে একে পার হয়ে গেল ৭ম সেমিষ্টার। আর ৮ম সেমিষ্টারে এসে সময় বলছে, দিন শেষ হয়ে এল। এই শেষ দিনগুলির কিছু উৎসবমুখর মুহূর্তের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।



রক্তদান কর্মসূচি।



গেঞ্জি পড়ে সবাই র্যা লির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু মজার ব্যাপার প্রায় অনেকের গেঞ্জি , গায়ে দেওয়ার পর শর্ট পাঞ্জাবি হয়ে গেছে।


আমাদের শ্রদ্ধেয় ভিসি স্যার সহ আমাদের সবার প্রিয় স্যাররা এসে আমাদের র‌্যালিকে আরও উজ্জ্বল আর আনন্দমুখর করে তুললেন।

ক্যাম্পাস র‌্যালি শেষ করে, আমাদের শ্রদ্ধেয় ভিসি স্যার আমাদের উদ্দেশ্যে উনার মহামূল্যবান বক্তব্য রাখলেন। তাঁর বক্তব্যে আমরাও অনুপ্রাণিত হলাম।

আমাদের ক্যাম্পাসের আঁতেলদের গ্রুপ। সিরিয়াস আঁতেল।তারপরও তারা তাদের মহামূল্যবান পড়ার সময়গুলো আমাদের সাথে ব্যয় করে আমাদের ধন্য করেছে। ধন্যবাদ আঁতেল ভাইয়ারা, ধন্যবাদ চার্লি গ্রুপ।


বন্ধুদের মনের খাতায় নিজেদের কিছু আবেগ শেয়ার করলাম।


শহরের উদ্দেশ্যে আমাদের ক্যাম্পাস বাসে যাত্রা। ঢোল বাজিয়ে আর সবার মনের খাতায় নিজেদের কথাগুলি লিখে কিছু মজার সময় কাটালাম।

আমাদের ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা। সবাই চিৎকার করে জানাতে চাইলাম, আজ আমাদের কোথাও হারিয়ে যেতে নেই মানা।

সিএসই ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা। এরা আবার খুব ভদ্র কিসিমের। মাঝে মাঝে নিজেদের মনকে প্রশ্ন হয়, সিএসই তে আমাদের ব্যাচে কেউ পড়ে কিনা? এদের উপস্থিতি ক্যাম্পাসে অনুভব করা যায় না। তারপরও তাদের উপস্থিতি আমাদের ধন্য করেছে।


আমার মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরা।নিজেদের ডিপার্টমেন্ট বলে বলছিনা, আমার দেখা, আমার ডিপার্টমেন্টের বন্ধুরাই সেরা। আমাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ক্যাম্পাসের যে কোন অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে তুলে। আমি তাদের খুব মিস করব।



আজ যে যেভাবে পারে নাচুক, লাফালাফি করুক সমস্যা নেই।



তারপর শহরে আমাদের র‌্যালি। সবাইকে জানিয়ে দিলাম আমাদের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি।জানিয়ে দিলাম র‌্যাগ’১২ এর কথা।


সাথে আমাদের রাজা-রাণী।


রঙের খেলা।
07…………………………চিৎকার করে জানিয়ে দিলাম প্রকৃতিকে। আকাশ-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হতে লাগল আমাদের আনন্দ চিৎকারে।

দয়া করে নেতিবাচক কিছু ভাববেন না।ছেলেটি কিন্তু ভদ্র।


আমাদের নেপালী বন্ধু উজ্জল। সেও কিন্তু কম মজা করেনি।


দয়া করে এই ছেলেটিকে ভূত ভাববেন না।ও আসলে আমাদের ঘুমরাজ বন্ধু। ঘুম থেকে উঠেই দেখে তার গায়ে রঙের মেলা।


ক্যাম্পাস মামা………..আমাদের সবার প্রিয় মামা……..তবে তার আওয়াজে জোর কম। পেটে পারমাণবিক বোমা ফাটালেও অমায়িক হাসি দেওয়া ছাড়া কিছুই পারেনা।

আমাদের ক্যাম্পাসের 07 ব্যাচের ২ সেলেব্রেটি।তারা ছাড়া আমাদের যে কোন অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ মনে হয় । আসুক না শাকিরা অথবা ব্রায়ান অ্যাডামসের মত কেউ, তারা না থাকলে অনুষ্ঠান জমে উঠেনা।


চাইতে পার আনন্দ, চাইতে পার খুশি, অর্থহীন জানিয়ে গেল র্যা গ’১২ এ 07 এর সাথে আমরা আছি।

অর্থহীনের অন্ধ-পাগল ভক্ত আমাদের sumon3d …………ওর কোন ভাল ছবি পাইলুম না।

শিরোনামহীন সাথে আমরাও গান গাইলাম।


সোলসের শেষ গানের সাথে শেষ হল আমাদের র‌্যাগ’১২। আর র‌্যাগ’১২ ঘন্টা বাজিয়ে আমাদের জানিয়ে দিয়ে গেল তোদের সময় শেষ। মায়ার বাঁধন ছেড়ে দিয়ে চলতে হবে জীবনের বাঁকি পথ।দেখা হবে কি হবে না, দেখতে পাব কি পাব না, বন্ধুর সে প্রিয় মুখখানা। এই ভয় মনের ভিতর ঘন্টা বাজিয়ে দিল। আবেগতাড়িত হয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলাম, হৃদয়ের গভীর থেকে কান্না ভেঙে আসল, ভালবাসার অশ্রুজলে ভেসে গেল আমাদের হৃদয়। মাঝে মাঝে মনে হল সময়টাকে আকড়ে ধরে থাকি। কিন্তু পারলাম না। সময় তার চলার পথে নিরলস। থামতে চাইলনা।
কেউ থামুক বা চলুক, আমাদের চলার পথে বন্ধুরা আবারও দেখা হবে কারণে আর অকারণে,মনের চাপা অভিমান ভেঙে বলব, তোরাও হয়ত বলবি- “কেমন আছিস বন্ধু?”




সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১২ বিকাল ৫:১৬
৫৬টি মন্তব্য ৫৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।

লিখেছেন লেখার খাতা, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩


ছবি - সংগৃহীত।


ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×