বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ আয়োজনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী ও ১৫১তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রথম দিনের আসরে অংশ নিলেন বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ও ঠাকুর পরিবারের বংশধর শর্মিলা ঠাকুর। বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ৬ মে রোববার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠান। এর সভাপতিত্বের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।

দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে নিজেরই মহান পুর্ব পুরুষ রবীন্দ্রনাথের কবিতা ‘বাঁশিওয়ালা’’ থেকে অনুকরণীয় দরাজ আর আবেগমথিত গলায় পাঠ করে শোনান শর্মিলা ঠাকুর। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে তিনি উঠে আসেন মঞ্চে। উপস্থিত অতিথি ও দর্শকদের প্রণাম জানিয়ে শুরু করেন আবৃত্তি। প্রায় মিনিট দশেক মঞ্চে অবস্থান করে কবিতা পাঠ শেষে ফিরে যান নিজ আসনে। পুরো সময়টা আবৃত্তির নিজস্ব ঢং আর কন্ঠলালিত্যে শ্রোতা-বোদ্ধাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলেন তিনি।

গত বছর ২৮ নভেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যক্তিজীবন এবং কিছু উল্লেখযোগ্য সাহিত্য রচনার পেছনের গল্প নিয়ে নির্মিত `লাইফ আন এন্ডিং` নামের শ্রুতিনাটকে অভিনয় করতে প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। তখনই বাংলাদেশের মানুষকে কথা দিয়েছিলেন আবারও তিনি ঢাকায় আসবেন। নিজের দেওয়া কথা অনুযায়ী বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে ৬ মে সকালে ভারত থেকে ঢাকায় এসেছেন শর্মিলা ঠাকুর। ঢাকায় এসেই তিনি বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলনকেন্দ্রের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের আসর বসবে ৭ মে সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে। দ্বিতীয় দিনের এ আসর শেষে রাতেই ভারতে ফিরে যাবেন শর্মিলা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনরাও অতিথি হয়ে পুরো অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন।

শর্মিলা ঠাকুর ছাড়াও ভারত থেকে বেশ ক’জন রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী গানের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকদের মন ভোলান। আর রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৃত্য পরিবেশন করেন ভারতীয় নৃত্যশিল্পীরা ।