পঞ্চভূতের মিশ্রণে ফু দিয়ে সচল মানব
স্বর্গ সুখে একাকিত্বের বিষাদসুর
আনিল পাঁজর সহচর
অনুগত বিনয়ী লাস্যময়ী
এমনি চিত্রকল্প এঁকেছেন বিধাতাপুরুষ
তবুও একটি বৃহৎ প্রশ্নবোধক চিহ্ন এসে দাঁড়ায়
চিত্রকল্পের হয়ত ভুল পাঠোদ্ধার
রঙের খেলায় বিভ্রান্ত ইতিহাসের অন্ধগলি
স্বর্গচূত্য অপবাদ কাঁধে আদম সুরতে মলিন ঈভবলয়
বংশবীজের ঊর্বর ভূমি
চাষিবে, সুজলা সুফলা
নচেৎ অনাদর হেলা
কোন রাজপথে হাটিবে বলো
নীল তীর ধরে ব্যবিলন পথে
রোম পারস্য ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে এথেন্স নগরে
ইনকা সিন্ধু চৈনিক ঘরে কিংবা ভুভুজেলা আঁধারে
আরব আলোয় বা রেঁনেসা ইউরোপে হিমালয় পাদদেশে
কোথাও প্রতিসম চিত্র্র মিলবে না
অলিম্পাসে সুন্দরী হেরা বঞ্চিত জিউসছলে
ভোগ আর শয্যায় সুশোভিত গ্রিক ক্যানভাসে
আজো ইকোর আর্তনাদ ভাসে
হয়তো কোনো সুহৃদ করুণা বসে
আঁকে দেবী রুপ...সেথায় কামানার কি নিপুণ কারুকাজ
মাঝে মাঝে আলেয়া রুপে হাইপেশিয়া আসে
উদ্বিগ্ন শাসনদণ্ড ভীরু কাপুরুষ সাজে
খুলে ফেলে সফেদ আব্রু উম্মোচিত কদকার আদি শ্বাশত ফণা
বিষ ছোবলে ধর্ষিত বেয়ারা? জননেন্দ্রিয়, আলোক প্রসব তরে
ক্লিউপেট্রা শাসক নয়, মোহনীয় কামুক চিত্রকলার বিশদ ব্যঞ্জনে ঝলমল করে
কখনো মোনালিসা কখনো ম্যাডোনা কখনো ওডিসি হোমারে
হেরেমে হেরেম কতো অশ্রুজল রয়ে গেছে অগোচরে
দুর্বিনীত মরুসাইমুম থমকে দাঁড়ায় খর্জুর শাখে
নিঠুর বেদুঈন রাত মার্সিয়া গায়
অচ্ছুৎ বৈদক জলে ডুব দেয় কত ইন্দ্রচূত্য মেনকা ঊবর্শী
অযোধ্যার বেদীতে সীতাঞ্জলী কুরুক্ষেত্রে দ্রৌপদী
ভারত জুড়ে পথে পথে ঘুরে ভ্রষ্টা রমণী
শাপে বর ঋষী হয় দ্বিগ্বিজয়ী
পতি পরমাত্মা পরমেশ্বর পদতলে
জয়মাল্য পড়ে সতী চিতার অনলে
মোঘল তুঘল শাহ ফিলিপস জর্জের প্রাসাদ পরে
যুগে যুগে অগুণিত আত্মা বিলাপ করে
আসমাণি বাক্য যাও দিয়াছে ঈষৎ কিছু
মোল্লা পুরুত পাদ্রিতন্ত্র নিয়াছে তার পিছু
দিয়েছে নিয়ম ঘিরেছে চারপাশ
কেড়েছে সবুজ ঢেকেছে মুক্ত আকাশ
চার দেয়ালে মাঝে অসূর্যস্পর্শ্যা মলিন পাপড়ি মেলে
কেটেছে বেলা সকাল দুপুর সন্ধ্যা মেলা হেঁশেলে কাষ্ঠ ঠেলে
তবু আসিয়াছে মাতা কণ্যা জায়া জননী রুপে
মশাল হাতে আলোক বুলবুল মানবতার আঁতুর ঘরে
ভাঙিয়া আগল এগুলো পা'দল ঘুচিয়া যুগের ভেরী
হায় হায় রব করিল সব গেল বুঝি আসন নড়ি
ওঠো জাগো নিজ পদ জোরে
দেখিবে কেটে গেছে কালো মেঘ ঈশাণ কোণে
আধেক নয় পূর্ণাঙ্গ সত্ত্বার সন্ধানে
হেঁটে চলো তেরসা জোয়ান আর্কের ওই আলোক পথ ধরে
যেখানে যুগল জোছনায় কবিতারা কোরাস নৃত্য করে ।