somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"রাজশাহী ভ্রমন (২৭/০৪/২০১২ - ০৫/০৫/২০১২)"

০৬ ই মে, ২০১২ রাত ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদিন আমি খুব তারাতারি ঘুমিয়ে পড়ি, পরদিন সকালে খুব তারাতারি উঠার জন্য কারন, ঐ দিন আমার নাটোরের দিঘা পতিয়া রাজবাড়িতে ভ্রমন করার কথা আমার বন্ধুর সাথে।

সকাল বেলা বাস এর ছাদে করে বন্ধুর সাথে মজা করতে করতে রাজবাড়িতে গেলাম।
সারাদিন ঘুরলাম, অনেক মজা করলাম।
নাটোর থেকে আসার সময় বাসের ছাদে করে রাজশাহীতে ফিরতেছিলাম।
কিন্তু কিছুক্ষন পর তুমুল ঝড়-তুফান শুরু হল কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই।

বাস এর হেলপার ছাদ থেকে নামার জন্য বললেও আমরা নামি নাই, ভেবেছিলাম যে মজা হবে। কিন্তু কিছুক্ষন পর আমাদের অবস্থা মরি মরি।

নিঃশ্বাস নিতে পারতেছিলাম না। অনেক কষ্ট করে বাস থামালাম কারন, আমরা হেলপারের কথা শুনি নাই, তাই সে রাগ করছিল।

যাইহোক, শেষ পর্যন্ত রাজশাহীতে আসলাম। জামা-কাপড় সব ভেজা। মোবাইল, মানিব্যাগ, ক্যামেরা সব ভেজা।

কিন্তু সবচেয়ে বিপদের কারন হল আমরা কোন কিছু মানে, জামা-কাপড় পাল্টাতে পারতেছিলাম না।

কারন, যার বাসায় আমাদের ব্যাগ রাখছিলাম, সে তার এক আত্বীয় মারা যাওয়ায়, তার জানাযা এবং দাফন-কাফন নিয়ে ব্যস্ত ছিল।

কি আর করা, শীত এ ঠক ঠক করে কাপতেছিলাম। এক দোকানে গেলাম চা পান করার জন্য।
কিন্তু, মারাত্বক রকম কাপতে থাকার ফলে চা পান করা পরের কথা কাপ টাই ধরে রাখতে পারতেছিলাম না।

এরপর কিছুক্ষন দৌড়ালাম, শরীর গরম করার জন্য।
শেষ পর্যন্ত জামা-কাপড় শরীরেই শুকিয়েছিল।

যইহোক, বাস এর ছাদে ঝড় এর সময় যে ভয় পাইছি, আমি আমার সারা জীবনেও এই রকম ভয় পাই নাই।

কি যে অবস্থা, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন এই বুঝি মাথায় বাজ পড়ল।
অন্যদিকে, বৃষ্টির ফোটা গুলোকে মনে হচ্ছিল এক একটা বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো।
সামনে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ একটা গাছের ডালের বারি লাগলো, মনে হইছিল যেন তখনই বাসের ছাদ থেকে পরে যাব।

আরো কিছুক্ষন বাসের ছাদে থাকলে নির্ঘাত মারা যেতাম।

কিন্তু যত কিছুই হোক না কেন ভ্রমন টা ছিল খুব ই মজার।

এইটা হল আমার এবারের সেমিস্টার বন্ধের "রাজশাহী ভ্রমন (২৭/০৪/২০১২ - ০৫/০৫/২০১২)" এর কাহিনী।
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×