ক'দিন আগে ভারপ্রাপ্ত রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন," সুইপার নিয়োগেও যারা ঘূষ খায় আমি তাদের ঘৃণা করি" আর আজ সাংসদ রনি বললেন, "মন্দির মসজিদের বরাদ্দেও দূর্নীতি হয়"।
শুধু শিক্ষা মানুষকে মানবিক করে না। এর সাথে চাই পরিবেশও।মেষশাবককে বাঘের সাথে রাখলে সে বড় হয়ে অনেকটাই বাঘের মতো আচরন করবে। আর বাঘের বাচ্চাকে মেষের সাথে রাখলে সে বড় হযে ম্যা ম্যা বা ভ্যা ভ্যাই করবে। কারন সে জন্মের পর থেকে যা যা দেখেছে তাই শিখেছে।শুধূ শরীরে নীল রক্ত থাকলেই সে অভিজাত হবে তার কোন কারন নেই। প্রাণী মাত্রই যা দেখে তাই শেখে।ওইসব কুকুর যারা সুইপার নিয়োগেও দূর্নীতি করে তারা তাদের উপরওয়ালাদেরদের কাছ থেকেই তা শিখেছে।তরুন প্রজন্মের নেতা মামুন, কোকো, রাজকুমার তারেক এদের অনুসারীরা তো এদের মতোই হবে। এরাই তো তরুনদের আদর্শ মডেল! হাসিনা খালেদার কাছে আমরা ঝগড়া শিখছি, শিখছি হিংসা-প্রতিহিংসা, এমপি শাওনের কাছে শিখছি খূন, র্যাবের কাছে শিখছি গুম।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে শিখছি লাল নীল গোলাপী শিক্ষকতা! সাংবাদিকদের কাছে শিখছি লাল, হলুদ বা সবুজ সাংবাদিকতা! আইনজীবিদের কাছে শিখছি দলাদলি। ছাত্রদের কাছে শিখছি টেন্ডারবাজী।আর ঘূষ দূর্নীতি? এটার নির্দিষ্ট কোন সীমা নেই।অসীম! এই সব যদি কেউ না করে, না খায় সে তো এখন আর বাঙ্গালীই না!!
সুস্থ্য পরিবেশ সুস্থ্যজাতি। পরিবেশ যতোদিন অসুস্থ্য থাকবে, বাঙ্গালী ততোদিন অসুস্থ্য জাতি হিসেবেই পরিচিত থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৪৯