আনমনে হাঁটছিলাম, একা। সাগরের মৃদু ঢেউ পায়ে আছড়ে পড়ছিল। ঢেউয়ের শব্দে অদ্ভুত মাদকতা এনে দিয়েছিল।ডানপাশে বিশাল ঝাউবনকে পাশ কাটাচ্ছি। আশেপাশে কাউকে দেখছি না। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম ঢেউয়ের শব্দ ছাপিয়ে আরও কিছু আমার কানে আসছে। শব্দটা নূপুরের। উৎস খুঁজতে গিয়ে ডানপাশে তাকালাম। দেখলাম ঝাউবনে কে যেন আমারই সাথে পাল্লা দিয়ে হাঁটছে। আমি আর এ নিয়ে চিন্তা করতে চাইলাম না। আমিতো একা হাঁটতে এসেছি।
ঝাউবনের একেবারে শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেলাম। ততক্ষণ পর্যন্ত নূপুরের শব্দটা সাথেই ছিল। কি এক দুর্নিবার আকর্ষণে আমি আবার তার দিকে তাকালাম। নাহ! এ তো সম্ভব না!! সে এখানে আসবে কেন? আমি নিশ্চিত, চোখের ভুল। আবার তাকালাম আমি। নাহ, ভুল নয়। সে ই।
আমি যে থেমে গেছি তা ওর চোখে পড়েছে। এগিয়ে এলো সে। প্রশ্ন এলো
-থেমে গেলে কেন? কি আমার সাথে বুঝি হাঁটতে ইচ্ছে করছে না?
“না। আমি তো একা হাঁটতে বেরিয়েছি।” আমার উত্তর।
-জানি তো। কিন্তু, সব সময় আমাকে নিয়ে ভাবলে আমি কি না এসে পারি? বলো তুমি? আমাকে নিয়ে সব সময় ভাববে, প্রতিটি চিন্তায় আমাকে রাখবে আর কিনা একা থাকবো? তাই চলে এলাম।
কথাটা শুনে সাগরের দিকে আমি মুখ ফেরালাম। এতই যখন বুঝ, তবে আমার সাথে কথা না বলে তুমি থাকো কি করে? কেন কোন ম্যাসেজ এর উত্তর দাও না? কেন ফোন দাও না?