somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেলথ প্রোটেকশন এজেন্সি (এইচপিএ) এর গবেষণায় সেলফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টির প্রমাণ মেলেনি

০৩ রা মে, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গবেষকরা সেল ফোন ব্যবহারের ঝুকি ও তার থেকে পরিত্রানের নানা উপায় বাতলে দিলেও এইচপিএর গবেষণায় সেলফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টির প্রমাণ মেলেনি। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সেলফোনের বিকিরণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে অভিযোগ উঠলেও এ ধরনের দাবির এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্যের হেলথ প্রোটেকশন এজেন্সি সূত্রে (এইচপিএ) এ তথ্য জানা গেছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।

বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে বিজ্ঞানীরা শত শত সেলফোন ব্যবহারকারীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। এর সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের ক্ষতি করা বা বন্ধ্যাত্বর কোনো সম্পর্ক তারা খুঁজে পাননি। তার পরও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা এ-সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন রোগের সঙ্গে সেলফোন ব্যবহারের ঝুঁকির সম্পর্ক খুঁজে না পেলেও এইচপিএ শিশুদের অতিরিক্ত সেলফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে।
সেলফোন ব্যবহারের নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে করা এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বিস্তৃত এ পর্যালোচনায় রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারে সংবেদনশীল এমন ব্যক্তিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারণ বর্তমানে টিভি, রেডিওসহ ওয়াই-ফাই ও অন্যান্য প্রযুক্তির কারণে মানুষের কম মাত্রায় হলেও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ফিল্ডের মধ্যে থাকা একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে এবং এটি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

এইচপিএর একদল বিশেষজ্ঞ পর্যালোচনার সময় নিম্ন মাত্রার রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে সম্পাদিত তাত্পর্যপূর্ণ গবেষণাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষণ করেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে, যুক্তরাজ্যে নির্ধারিত মাত্রার বেশি যারা সেলফোন ব্যবহার করেন না, তাদের এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। এর ফলে মস্তিষ্কের টিউমার, অন্যান্য ধরনের ক্যান্সার, হূদরোগ বা বন্ধ্যাত্বের কোনো যোগসূত্রও পাওয়া যায়নি।
তবে পাঁচ বছর টানা মোবাইল ব্যবহারের কিছু ঝুঁকি সম্পর্কে সামান্য তথ্য জানা গেছে বলেও এইচপিএ থেকে জানানো হয়।
কারণ ১৯৯০ সালের শেষের দিকের আগ পর্যন্ত মানুষের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের ততটা চল ছিল না। তাই বিষয়টি অব্যাহত পর্যবেক্ষণের ওপর থাকা উচিত বলে পর্যালোচনা দলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অ্যান্থনি সোয়ার্ডলো জানান।
তিনি বলেন, ‘যদিও এ গবেষণার ফলাফলের ওপর আমরা নিশ্চিন্তে নির্ভর করতে পারি, তার পরও মস্তিষ্কের টিউমার বা অন্য ধরনের ক্যান্সার হওয়ার মাত্রার ওপর আমাদের নজর রাখা উচিত। কারণ অল্প সময়ের জন্য একটি জিনিসের ব্যবহারের দীর্ঘমেয়াদি ফল কী হতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কারও পক্ষে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়, যদি না কেউ দীর্ঘসময় বিষয়টির ওপর নজর রাখেন।’
সফলভাবে এ কাজ করতে মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ওপর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ফিল্ডের প্রভাব এবং এর সঙ্গে শিশুদের আচরণগত সমস্যার সম্পর্ক নিয়ে আরও কাজ করা প্রয়োজন বলে বিশেজ্ঞরা মত দেন। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে সম্পর্কিত বাড়িতে ব্যবহূত স্মার্ট মিটার বা এয়ারপোর্টে নিরাপত্তা স্ক্যানারের মতো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আরও গবেষণামূলক কাজের প্রয়োজনীতাও তুলে ধরা হয়।

এইচপিএর সেন্টার ফর রেডিয়েশন ও কেমিক্যাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হ্যাজার্ডের পরিচালক জন কুপার বলেন, এগুলো যেহেতু নতুন প্রযুক্তি, তাই এইচপিএর অব্যাহতভাবে এ বিষয়ে আগাম সতর্কবার্তাবিষয়ক পরামর্শ দেয়া উচিত।
এদিকে শিশুদের সেলফোন ব্যবহার বিষয়ে দেয়া পরামর্শ পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে এইচপিএ থেকে জোরালোভাবে জানানো হয়। কুপার এ বিষয়ে বলেন, এইপিএ শিশুদের মাত্রাতিরিক্ত সেলফোন ব্যবহারের বিষয়টি অনুত্সাহিত করা উচিত বলে সুপারিশ করেছে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে সেলফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি। এদিকে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মানবদেহের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে বলে বহু বছর ধরে জনমনে আশঙ্কা রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে এইচপিএ এ-সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা করে এবং শারীরিক ক্ষতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে। তবে সময়ের প্রয়োজনে এখন এ বিষয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে গবেষণা করা হচ্ছে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×