জ্বরের কবিতা
আজম মাহমুদ
জ্বরের একটা সুবিধা আছে-
ইন্টারভেলহীন স্মৃতিসিনেমা চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়।
সেই ঘোরলাগা স্মৃতিসিনেমায়-
তুমি এসে পাঁ রাখলে আরাপপুর বাসষ্ট্যান্ডের বুকে,
আর আমি দেড়মাস থেকে বুক পেতে দিয়ে আছি
রূপশহরে কখন তুমি আসবে বলে।
এরপর যথারীতি শুরু হয়ে গেলো চুড়ইপাখীদের
ঘর সংসার...
কখনও আমি ঠোঁটে করে খাদ্য নিয়ে আসি-
কখনও তুমি ঠোঁটে করে আনো জ্বালানীখড়।
ইন্টারভেলহীন সিনেমায় সবকিছু গেঁথে আছে-
মস্তিস্কের রিলে রিলে...
তুমি আমি বেশ তো ছিলাম- কেন বাবুই ফাঁদে আসলাম
দেহ আঁটকাতে- মৃত্যুর আগে কেউ প্রশ্নও করলোনা
শেষ ইচ্ছেটার কথা।
তারপর সবশেষ, আমি শেষ, তুমি শেষ-
আমাদের স্বপ্নগুলো আর কখনও কি জোড়া দেয়া
যাবে না?
ঘোরলাগা স্মৃতিসিনেমায় আমি দেখি-
তোমার অভিশাপ আর আমার ধ্বংসের কারুকাজ।
তুমিও কি তোমার ঘোরলাগা স্মৃতিসিনেমায়
দেখতে পাও- আমার কোনও প্রার্থনা?
তুমি শুধু আমাকে নিরঙ্কুষ ভুল বুঝেছো
কখনও বুঝতে চাওনি কিভাবে নিজের ভুলে
পুরুষ চুড়ইটার দেহ আটকে গেছে মরণফাঁদে।
মাঝে মাঝে নয়- সারাজীবন যেন জ্বরেভোগী
আর ঘোরলাগা স্মৃতিসিনেমার পুরোটা
জুড়ে শুধু তোমাকে দেখি।
০৯.০৪.২০১২