অনন্তি, বার বার তুমি এসোনাতো
আমাদের কুঞ্জবনের পুরনো বাড়িটাতে।
আমার দুঃখ ও বিস্মৃত
প্রহরের অবসন্ন স্বপ্ন কুড়িয়ে নিতে।
শুনেছি, হেমন্তের অবকাশে তুমি এসেছিলে।
হয়ত অশ্রু ঝরায়ে অদীপ সন্ধ্যায়
একাকী সুদূরের পথ চেয়ে বসেছিলে-
অকীক দৃষ্টিতে কারো প্রতীক্ষায়।
সেই বিপন্ন অন্ধকারে ধীরে ধীরে মূছে গেছে অঞ্জন
কুয়াশার বিগলিত স্বচ্ছ পানির মতন।
কী হবে আবার হাত বাড়িয়ে।
এখন কষ্ট আর মৃত্যুর দুয়ারে
দাঁড়ায়ে; অদৃশ্য দীর্ঘশ্বাসে
সুদীর্ঘ বিরহের ক্লান্ত অবসরে
তোমারে খুঁজেই কী হবে নত্রের আকাশে।
অনন্তি, আর ফিরে এসোনা, ভুলে যাও একেবারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৮