প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আমার
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এই স্বল্প সময়ের কাজের উপরই নির্ভর করে তার অনন্ত জীবনের সুখ শান্তি। একজন কৃষক যেমনি নির্দিষ্ট সময়ে ফসল বুনতে ব্যর্থ হলে জমিতে ফসল ফলেনা, একজন ছাত্রকে যেমন নির্দিষ্ট তিন বা চার ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয় এবং এর উপরই নির্ভর করে তার কৃতকার্য বা অকৃতকার্যতা। তেমনি মানুষকেও এই নির্দিষ্ট সময়েই সবকিছু করতে হয়।
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, আমাদের জীবনের এই স্বল্প সময়টা আমাদের জীবনের মূল্যবান পুঁজি। সময় নামক পূঁজিটা শেষ হয়ে গেলে জীবনের সব রঙ্গ তামাশার অবসান ঘটে। আমরা যতই রঙ তামাশায় ব্যস্ত থাকিনা কেন, যতই নিজের ক্ষমতার দাপট দেখাইনা কেন, যতই নিজের ধন সম্পদ, বংশ গৌরব এর বড়াই করিনা কেন, জীবনের পূঁজিটা শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সব শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং কিসের এত বড়াই। আমরা কি পারব বড়াই করে আল্লাহর জমিন ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে? যদি না পারি তাহলে এখনি সময় থাকতে আমাদের চিন্তা করা উচিত।
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, আমাদের জীবনটাকে একটা বরফ খণ্ডের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। একটা বরফ খণ্ড যেমন রেখে দিলে আস্তে আস্তে গলতে থাকে এবং একসময় নিঃশেষ হয়ে যায়, তেমনি আমাদের জীবন নামক পূঁজিটাও আস্তে আস্তে কমতে থাকে এবং কমতে কমতে একসময় মৃত্যুর দুয়ারে এসে উপস্থিত হয়।একটা শিশু যখন আস্তে আস্তে বড় হয় তখন মানুষ বলে থাকে যে বয়স বাড়তেছে। কিন্তু প্রকৃত বিষয় হল যে বয়স কখনো বাড়েনা বরং কমে।
প্রিয় ভাইয়েরা আমার, আমদের ঘরে যে দেয়াল ঘড়িটা আছে, সেই ঘড়িটা যখন টিং করে একটি আওয়াজ দেয়, তখন মনে হয় সে যেন আমাদের ডাক দিয়ে বলে যাচ্ছে, হে মানুষ তোমার মূল্যবান জীবন থেকে আমি একটি সেকেন্ড চলে যাচ্ছি। এমনি করে ঘড়ির কাঁটাটা ঘুরতে ঘুরতে যখন একটা মিনিট হয়ে যায়, তখন সে ডাক দিয়ে আবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায়, হে মানুষ আমি তোমার মূল্যবান পূঁজি থেকে একটা মিনিট চলে গেলাম। এভাবে একটা ঘণ্টা যায়, একটা দিন যায়, একটা মাস যায়, একটা বছর যায় এবং ঐ ঘড়িটা এইভাবে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যায়, হে মানুষ আর কত ঘুমাইবা...এখন ও কি তোমার জেগে ওঠার সময় হয়নি। ওঠো, জেগে ওঠো, তোমার রবের স্মরণের দিকে ধাবিত হও। সময় থাকতে আখিরাতের পূঁজি সঞ্চয় করে নাও। আখিরাতের পূঁজি সঞ্চয় করতে না পারলে আমাদের জীবনের কোন মূল্যই নাই।
তাই...প্রিয় ভাইয়েরা আমার। আসুন আমি সহ আমরা সবাই আজকে থেকে সিদ্ধান্ত নেই, যতদিন বেঁচে থাকি আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর দেখানো পথে যেন পুরাপুরি চলতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুক। আমীন।
আলোচিত ব্লগ
অপরূপের সাথে হলো দেখা
আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
অভিমানের দেয়াল
অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১
তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন