somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হয়তবা অনেকেই জানেন, যারা জানেন না তাহারা জেনে নিন কি পান করছেন!!!!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




Coke বা কোকাকোলা আমরা সবাই কোন না কোন সময় পান করেছি। অনেকের আবার প্রিয় পানীয়র মধ্যে অন্যতম এই কোক। বাজারে এখন প্রচুর নামী-বেনামী কোক কোম্পানীর প্রচলন হয়েছে। প্রায় সব বয়সের মানুষই তৃষ্ণা নিবারনার্থে বা নিতান্ত ফ্যাশনের জন্য এই কোক পান করে থাকে। কিন্তু আমরা এই কোক-এর উপকারীতা বা অপকারীতা সম্পর্কে প্রায় ০% অবগত। তাই এই বেদরকারী পানিয় নিয়ে আমার আজকের এই লেখা। আশা করি উপকৃত হবেন।

১. প্রথমত এটা একটা ফালতু জিনিস। চটুল টেস্ট ছাড়া এটা আর কোন কাজের না। এটাতে শরীরের দরকার এমন কোন নিউট্রিশন নেই। শরীর বেদরকারী জিনিষ পছন্দ করে না।

২. ওজন বাড়বে, কিন্তু ভাল সেন্সে না। শরীরে জমা হবে অদরকারী ক্যালোরী; যেটা হয়তো বয়স ২৫/২৬ পর্যন্ত টের পাবেন না। কারণ তখন পর্যন্ত শরীরের বৃদ্ধি হয়। এরপরে দেখবেন কোক খাওয়ার মজা। পেটের নিচে মেদ জমবে, শরীরের শেইপ যাবে নষ্ট হয়ে। প্রতিদিন এক গ্লাস খেলে আপনার শরীরে গড়ে আধা থেকে এক কেজি পর্যন্ত মাসে মেদ জমবে। এর আরো একটা কারণ হচ্ছে, আপনি একটা কোক খেয়ে প্রচুর ক্যালোরী নিলেন, কিন্তু আপনার মনে হবেনা যে আপনার ক্ষিদা মিটেছে, সেক্ষেত্রে আপনি আবার খাওয়া দাওয়া করবেন এবং শরীরে জমবে দরকারের দুইগুণ ক্যালোরী।

৩. এটা দুই নাম্বারের সিক্যুয়েল বলতে পারেন। যেকোন ধরণের ওজন বাড়ানোই ডায়াবেটিস এর রিস্ক বাড়িয়ে দেয়। ড্রিঙ্কস আপনাকে শুধু মোটাই করবেনা; এটা বডির সুগার প্রোসেস শক্তিটাকে একটা স্ট্রেস এর মধ্যে ফেলে দেয়। ডায়াবেটিস যে আস্তে আস্তে একটা এপিডেমিক লেভেল এ চলে যাচ্ছে। এটার পিছনে অনেক বৈজ্ঞানিক-ই মনে করেন সফট ড্রিঙ্ক এর সজলভ্যতাকে দায়ী করেন।


আপনি যখন সফট ড্রিঙ্ক খাচ্ছেন, শরীরে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন একরাশ সুগার; যা ঐ মুহুর্তে শরীরের কোন দরকার নেই। Pancreas কে তখন হুড়মুড় করে বিশাল অ্যামাউন্ট এর ইন্সুলিন তৈরী করতে হচ্ছে এই সুগার কে প্রোসেস করার জন্য । এটা Pancreas এর জন্য Exhausting একটা ব্যাপার এবং নিয়মিত এরকম ঘটতে থাকলে ইন্সুলিনের কার্যক্ষমতা কমে আসাটা সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু গবেষণায় এটাও দেখা গেছে আপনি যখন এরকম কৃত্রিম ফ্রুক্টজ বা গ্লুকোজ খাচ্ছেন, তখনি এরকম সমস্যা হচ্ছে। আপনি যদি একদম ন্যাচারাল ফলের জুস খান, সেটা প্রসেস করতে শরীরের তেমন কোন সমস্যা হয় না।

৪. ফ্রিকুয়েন্ট সফট ড্রিঙ্ক খাওয়াটা হাড় দুর্বল করা বা Osteoporosis এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত যারা ক্যালসিয়াম রিচ দুধ না খেয়ে সফট ড্রিঙ্ক খেয়ে বেড়ায়।

৫. ডেন্টাল ক্যারিজ বা ক্ষয় - আপনার দাঁতের এনামেলকে সোজা বাংলায় ক্ষয় করে ফেলে সফট ড্রিঙ্ক। আপনার সাধারণত দাঁত ক্ষয়কে দিগুণ থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি করে এইসব ড্রিঙ্ক। আপনার দাঁত শিরশির করার অন্যতম একটা কারণ হতে পারে সফট ড্রিঙ্ক এর আধিক্য।

৬. কিডনি ড্যামেজ - সফট ড্রিঙ্ক- স্পেশালী কোলা, কিডনি ড্যামেজ বাড়িয়ে দেয়। কোলায় থাকা এসিডিটিকে বাফার করতে শরীরের নিজের ক্যালসিয়াম খরচ হতে থাকে। আর এই ক্যালসিয়াম যখন অতিরিক্ত পরিমাণে কিডনি দিয়ে পাস হবে; ধীরে ধীরে কিডনি স্টোন তৈরী হবে। কিডনীর ডাক্তার রা প্রায়ই বলেন সফট ড্রিঙ্ক খাওয়া হচ্ছে, চুমুকে চুমুকে বিষপান। যদিও কোকের এড-এ বলে চুমুকে চুমুকে খুশি।

৭. আপনার রক্ত চাপ বাড়াবে।

৮. বুক জলা পোড়ার অন্যতম কারণ সফট ড্রিঙ্ক কঞ্জাম্পশন।

৯. মেটাবোলিক সিন্ড্রম নামে খুব খারাপ একটা সমস্যা আছে, যার চারটা অংশ – উচ্চ রক্তচাপ, মুটিয়ে যাওয়া, হাই কোলেস্টেরল, ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স। সফট ড্রিঙ্ক আপনাকে এটা অ্যাচিভ করতে অনেক সাহায্য করবে।

১০. ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সমস্যা - কোলা বা এই জাতীয় ড্রিঙ্ক এর pH এভারেজ 2.5, যেখানে পানির pH 7.এই বিপুল পরিমাণ এসিডিটি আপনি টের পাচ্ছেন না প্রচুর পরিমাণ সুগার কন্টেন্ট এর কারণে। শরীরের ডাইজেস্টিভ ক্যানেল সাধারনত ২ এর নিচে pH সামলাতে পারে না। স্টোমাকে আসার আগেই এই ড্রিঙ্ক একটা অ্যাবনরমাল অ্যাসিডিক এনভায়রনমেন্ট তৈরী করে। এতে থাকা ফসফরিক এসিড, আপনার স্টোমাকের হাইড্রোক্লোরিক এসিড এর সাথে প্রতিযোগিতা করবে এবং এর কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিবে। ফলে স্টোমাক তার পূর্ণ কাজ করতে পারবেনা। ফলে আপনার পেট ফাপা মনে হবে; ফোলা-ফোলা মনে হবে। না খেলেও মনে হবে পেট ভরা ভরা।

১১. ডিহাইড্রেশন - অনেক সফট ড্রিঙ্ক এ প্রচুর ক্যাফেইন থাকে। কিডনী এই বিপুল কৃত্রিম সুগারকে বের করার জন্য শরীর থেকে পানি টেনে নেয়। কাজেই আপনি যখন তৃষ্ণা মেটাতে গিয়ে প্রচুর সোডা বা লেমন জাতীয় পানীয় খাচ্ছেন, তখন আসলে আপনি আপনার তৃষ্ণা বাড়াচ্ছেন। ডার কি আগে জিত নেহি, ডায়াবেটিস আর কিডনি ডিজিস অপেক্ষা করছে।

১২. একদম নতুন কিছু গবেষণায় ধারণা করা হচ্ছে পেপসি আর ফান্টায় ব্যবহৃত প্রিজারভেটিভ E211 / Sodium Benzoate প্রচুর পরিমাণে যখন একসাথে শরীরে ঢুকে ডি.এন.এ. এর ভাইটাল কিছু অংশ বন্ধ করে দেবার ক্ষমতা রাখে।

তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত
১৮টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×