somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরাধ্য মেঘনা

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব ছোটবেলাতেই মেঘনা নদী দেখে কেঁপে উঠেছি। সেসব দিনে ছোট্ট লঞ্চে করে চাঁদপুরে যেতাম । কখন দাদুবাড়ি পৌঁছব-এই ভাবনার চেয়ে মেঘনাই টানত বেশি। বলা বাহুল্য, লঞ্চের কেবিনের মধ্যে চুপচাপ বসে থাকার বালক আমি নই। লঞ্চের পিছনে যে উঁচু ‘নামাজ পড়ার স্থান’ থাকে-সেখানে পা ঝুলিয়ে বসে নদী দেখতাম। মেঘনা নদীর অপার বিস্তার, তার বিশাল জলরাশি আমায় মুগ্ধ করত। বালকের মনে তখন যে কী এক প্রবল আলোরণ উঠত তা সম্ভবত আশেপাশের কেউই টের পেত না। প্রকৃতির সঙ্গে বালকের একান্ত সংযোগ, প্রেম এবং স্বদেশ প্রেমের ক্ষীণ স্ফূরণ অনেকটাই নিরবেই ঘটেছিল।
মেঘনা নদী ছিল বালকের কাছে এক মহাবিস্ময়। বালকটি কিছুতেই সেই নদীটিকে ভুলতে পারে না। বালক বাস করে ঢাকা শহরে। তবে সে অধীর হয়ে থাকে কখন বুড়িগঙ্গা-শীতলক্ষ্যা-ধলেশ্বরী পেরিয়ে ছোট্ট লঞ্চটি মেঘনায় পড়বে, মেঘনার শীতল বাতাসে বালক শ্বাস নেবে। মা ঠিকই বুঝতেন। গ্রাম থেকে কেউ ঢাকায় এলে তার সঙ্গে আমায় বারো গাঁ (আমার দাদুবাড়ি ) পাঠিয়ে দিতেন।
... আবার মেঘনা। আবার বালকের মনে শিহরণ। গভীর বিস্ময়পুলক। মেঘনার বাতাসে আবারও প্রাণের কাঁপন। দোতলায় কেবিনের বাইরে কাঠের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে এক বালক । চোখ মেঘনার মেঘবর্ণ জলে স্থির। বহুক্ষণ ধরে স্থির। এ এক খেলা। প্রিয়তম নদীর সঙ্গে বালকের নিবিড় খেলা। সে খেলা অন্যকেউ বোঝে না।
তারপর কখন আবার জলের রং বদলে যায়। লঞ্চ ধনাগদা নামে এক ঘোলা জলের অপরিসর শাখা নদীতে ঢুকে পড়ে। বালক সামান্য হতাশ বোধ করে। তাকে বিষন্নতা গ্রাস করে।
লঞ্চ ভিড়ে নায়ের গাঁ নামে একটি গ্রাম্যবাজারে । লঞ্চ থেকে নেমে হাঁটাপথ। কিংবা বর্ষার দিনে নৌকায় খালের ভিতর দিয়ে । সে নৌকা ভিড়ে হিজল, চালতা আর গাব গাছে ছাওয়া এক অন্ধকার-অন্ধকার ঘাটে। ভেজা-ভেজা গাছগাছালির পর উঠান ঘেরা মাটির ঘর, টিনের চাল, টিনের বেড়া। ছটিয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষজন, হাঁস-মুরগী, গরু, লাল রঙের একটি কুকুর। বাড়ির পিছনে ছোট্ট উঠান, ডুমুর গাছ, আমগাছ, ঝিকাগাছ। তারপর একটি ছোট পানাপুকুর। তালগাছের ‘ঘাটলা’। সেই পুকুরের টলটলে কালো জলে দাপাদাপি করে গোছল। ওদিকে জেঠিমা অপেক্ষা করছেন লালচে রঙের ভাত, বোয়াল কি বাইল্লা মাছের তরকারি বেড়ে ।
খাওয়ার পর দৌড়। এক ছুটে মসজিদের সামনে। মসজিদের সামনে পুকুর। একদিকের পাড়ের কাছে একটি জলে-ডোবা নৌকা । কেবল গলুই পানির ওপরে ভেসে আছে। সে গলুয়ে শুকনো কাদা। তাতে একটা কাছিম। রোদ পোহাচ্ছে। আর ঝরঝরে রোদে হাজার-হাজার ফড়িং উড়ছে। আমি ঘুড়ির খোঁজে আকাশে তাকাই। নেই। ঘুড়ি উড়বে বিকেলে। পূবপাড়ার মাঠে। উতলা বাতাসে খড়ের গন্ধ। আমি পিছন ঘুরে মসজিদের দিকে তাকাই। মসজিদের পিছনে খাল। খালে একটা বজরা নৌকা। আমার চমক লাগে।
এই ছিল আমার ছেলেবেলার মেঘনা পাড়ের মনোরম দৃশ্যাবলী ...
হয়তো সময়টা বর্ষাকাল। তখনও ধনাগদা নদীতে বাঁধ হয়নি। যে কারণে ফসলের মাঠের জল পুকুরের জল সব একাকার হয়ে থাকত। মাঝখানে অল্পখানি ডাঙা। কবীর, সমবয়েসি আরেকটি বালক; সে নৌকা বায়। নৌকা পুকুর থেকে অন্ধকার -অন্ধকার ঘন নিবিড় আমবনে উঠে আসে। আমি নৌকার পাটাতনে ঘোরের মধ্যে বসে থাকি ।একটু পরই যে জলময় ঝিলরাজ্যে যাব। সে এক চিরকালীন শান্তির দেশ। খালের কুচকুচে কালো জল, ধানক্ষেত পেরিয়ে কবীর নৌকা তুলে আনে বিলে। আকাশের তলায় শাপলাশালুক ছড়ানো বিল। সেই বিলে প্রকান্ড নির্জনতা । নিঃসীম নির্জনতায় সেই বিস্ময়পুলক ফিরে আসে। উইলস লিটিল ফ্লাওয়ার ইশকুলে পড়তাম। সিক্স কি সেভেন। বিজ্ঞানের ক্লাসে আমাদের শেখানো হত ... আমরা একটি গ্রহে বাস করি। যার ইংরেজি হল Planet ... কিন্তু আমি জানি এই নির্জন বিলরাজ্যটি কিছুতেই Planet নয়। অন্যকিছু। যা কেবলই অনুভব করা যায়, কথায় যা বোঝানো যায় না।
মেঘনা। পৃথিবী নামে একটি গ্রহের একটি নদীমাত্র। কিন্তু, আমার কখনও মেঘনাকে নিছক নদী বলে মনে হয়নি। আমার মনে হয়েছে মেঘনা এক জলময় স্বপ্নে দেশ। যা অলীক। অন্যকিছু। যা কেবলই অনুভব করা যায়, কথায় যা বোঝানো যায় না। কিন্তু কেন আমার ওই রকম মনে হয়? কেন আমার এত গভীর নদীপ্রেম? মেঘনা-প্রেম? কেন আমার হৃদয়ে মেঘনার প্রতি ঐকান্তিক আরাধনা টের পাই?
কেন বালক-হৃদয়ে মেঘনাদর্শনে নিবিড় কাঁপন জাগে? কেন বালকের মেঘনার প্রতি এত ভালোবাসা? কেন এত গভীর আদিম বিস্ময়?
যে বিস্ময় আদিকালে এই জনপদের আদিম জনমানুষ ধারণ করত।
আমি কি সেই চিরকালীন আবেগ বহন করছি?
তাই?
তাই বিজ্ঞানের কথায় বালকের মন সায় দেয় না? মাতৃভূমিকে তার Planet মনে হয় না। মনে হয় ধরণী। মনে হয় মা-পৃথিবী। মায়ের বুক চিরে বইছে অলৌকিক এক নদী। যার নাম মেঘনা। বালক এক আদিম বিশ্বাস বহন করছে ... বালক প্রাচীন এক রক্তধারার উত্তরাধিকারী বলেই বালক প্রকৃতি-পূজারী। বালক নদী মেঘনার উপাসক ...

কিন্তু, মেঘনা আমার নিবিড় আরাধনা টের পেয়েছিল কি?



১৯৮৭ সাল। কলেজে পড়ছি। সে সময়ই একবার এক বন্ধুর সঙ্গে পটুয়াখালি গিয়েছিলাম বেড়াতে । পটুয়াখালির কালীশ্বরী। বন্ধুটি ওখানকার বিখ্যাত এবং প্রাচীন এক কবিরাজ বাড়ির সন্তান। ক’টা দিন ভারি আনন্দে-শিহরণে কাটল । জুন মাস। ঘনঘোর বরষায় এমন কী একটানা তিনদিন ঘরে আটকে থাকতে হয়েছিল। ঘাট উপচে পুকুরের পানি উঠান সমান হওয়ার দশা। আধো-অন্ধকার ঘরে চৌকির ওপর আধ-শোওয়া ভঙ্গিতে শুয়ে থাকি। জানলার ওপারে মেঘলা দিন দেখি। কোন্ ফাঁকে বন্ধুর কোনও এক নিকট আত্মীয়া তার শ্যামল-কোমল শরীর নিয়ে এসে বসে বিছানার কিনারে। আমি বিড়ি টানি। সিগারেট শেষ। বৃষ্টি ভেঙে কাদা মাড়িয়ে কে হাটে যাবে সিগারেট কিনতে। চায়ের অভাবে মাথা শূন্য। মনে হয় মহাশূন্যে ভাসছি ...
কবিরাজ বাড়ির রান্নাঘরটি বিশাল। ওরা বলে পাকের ঘর। তারই এক পাশে ঢেঁকি। এ বাড়ির লোকজন পাকের ঘরের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে খায়। আমিও পাকের ঘরে বসেই খেয়েছিলাম ... এবং আমিই নাকি অন্য জাতের ... যে কিনা কবিরাজ বাড়ির পাকের ঘরে বসে খেল। সুতরাং প্রাচীন বদ্যিবাড়ির মানুষজনের ভালোবাসার নিবিড় র্স্পশে আনন্দে আত্মহারা হয়ে রইলাম ...এর মধ্যে আবার অরুণা জেদ ধরেছে। আমায় কাঁকড়া খাইয়ে আমার জাত নষ্ট করবে ...
ঢাকা ফেরার পথে লঞ্চে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটল ...
দুপুরে কালীশ্বরী ঘাট থেকে লঞ্চে উঠলাম। বেশ বড় লঞ্চ। রাত দশটার দিকে চাঁদপুর পৌঁছনোর কথা। লঞ্চ ছোট নদীতে থাকতে থাকতে দিনের আলো ছিল। লঞ্চের ছাদে পা ছড়িয়ে বসে দু’পাড়ের গ্রাম দেখছি। নিতান্ত সাধারণ ছবি। তবু চোখের তৃষ্ণা মেটে না। সিগারেট টানছি। বন্ধুটির সঙ্গে কথা বলছি। বন্ধুটি বেশ তত্ত্বদর্শী। বেদ-উপনিষদের বাণী নিয়ে গভীর ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আবার সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে; ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পটুয়াখালির আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ।
সন্ধ্যার পর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করল। সেই সঙ্গে ঝিরঝির বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে অন্ধকার ছাদে বসে রইলাম । অনেক ক্ষণ । একবার কোন্ ঘাটে লঞ্চ ভিড়ল। নীচের ডেকে ম্লান আলোয় যাত্রীদের অনেকেই তাশ খেলছে। সেই সঙ্গে তুমুল আড্ডা। এ অঞ্চলের মানুষেরা এত প্রাণবন্ত। এদের হাসি-ঠাট্টা আর কথা যেন শেষ হতে চায় না।
রাত দশটার দিকে খাওয়ার কথা মনে হল। ফেরিঘাট কিংবা লঞ্চের রান্না আমার বরাবরই প্রিয়। তবে লঞ্চের রান্না মানেই যে ভালো- তা নয় কিন্তু। অনেক সময় দেখা যায় হলুদ বেশি দিয়ে ফেলে। সে যাই হোক। নীচে নেমে খাওয়ার কেবিনে খেতে ঢুকলাম। আমার পরনে শহুরে পোশাক আর চোখে চশমা দেখে ওয়েটার বলল, মুরগীর মাংস আছে ছার।
আমি মৃদু ধমক দিলাম। বললাম, না, না। মুরগী-টুরগী না। মাছ আনো, মাছ।
নদীর ওপর মুরগীর মাংস খায় কোন্ বে-রসিক! আমি হলাম গিয়ে মাছখেকো প্রাচীন নিষাদ। বাংলাদেশের নদীনালায় কত মাছ দিয়েছেন মহামহিম ঈশ্বর। বাংলাদেশের মেঘনা নদী কিংবা খালবিলের মতন নানা জাতের ও স্বাদের মাছও আমার কাছে খোদাতালার অশেষ নেয়ামত বলে মনে হয়।
আমি খাচ্ছি। ইলিশ মাছই ছিল। রান্নাও মন্দ হয়নি। জীবনানন্দের উপন্যাসে স্টিমারে বরিশাল যাওয়ার বর্ণনা রয়েছে। মন্ত্রমুগ্ধ সে বর্ণনা পড়েছি। কখনও আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সে বর্ণনা মিলেছে, কখনও আবার মেলেনি ... লঞ্চের ভিতরে ম্লান আলো, ভটভট শব্দ, ডিজেলের গন্ধ, বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। খাওয়ার পর আমার বড় একঘেয়ে লাগছিল। সিগারেট টেনে ঘুমিয়ে পড়লাম। বন্ধু বসল তাসের আড্ডায়।
আমার আজও মনে আছে ... ভোররাতের দিকে আমার ঘুম ভেঙেছিল। বৃষ্টি ভেজা অশান্ত হাওয়া টের পেলাম। মনে হল এতক্ষণে তো লঞ্চ মেঘনায় উঠে আসার কথা। ডেকে অনেক ভিড়। একটা শিশু চিৎকার করে কাঁদছিল। কাছেই একটা মুরগীর খাঁচা। কোন ঘাট থেকে উঠেছে কে জানে। চাঁদপুর? বন্ধুটি তারই পাশে বসে সিগারেট টানছিল। তার বসার ভঙ্গি বেশ উদাস। বলল, বিশাল ঝড় হইছিল দোস্ত। লঞ্চ ডুবতে নিছিল।
বলিস কী! কখন? আমি ভীষণ চমকে উঠি।
মাইঝ রাইতে। তুই ঘুমাইয়া ছিলি। ভয় পাইবি বইলা তরে ডাকি নাই।
আশ্চর্য! মেঘনার ঝড়। বড় ভয়ঙ্কর। আমার তো ভয় পাবারই কথা। আশ্চর্য!
অনেক কাল পর আমার বিদ্যুৎচমকের মনে হয়েছিল ... স্বয়ং মেঘনা তার এক একান্ত ভক্তকে সে রাতে ঘুম পাড়িয়ে রাখেনি তো?

১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

EU বাংলাদেশ, আফ্রিকা ও আরবদের সাহায্য করার চেষ্টা করে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩



EU বাংলাদেশকে বিবিধভাবে সাহায্য করে আসছে স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে; বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে সচল করার জন্য সহযোগীতা করতে চায়। আমাদের দেশে ও আফ্রিকায় ভালো যা ঘটছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে কোকের আতারোট শিল্প অঞ্চলের কারখানা: ফিলিস্তিনি স্টেইটহুড, স্বনিয়ন্ত্রণ অধিকারকে অসমম্মান করে।

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৭

কোকা-কোলার পূর্ব জেরুজালেমের আতারোট শিল্প অঞ্চলের কারখানাটিকে ঘিরে শুরু থেকেই তীব্র বিতর্ক আছে। এই এলাকাটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অধিকৃত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

জঘন্যতম রেফারির বলি বাংলাদেশ

লিখেছেন অধীতি, ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:২১

আজকে রেফারি খেলছে মূল খেলা। গতকালকে পাকিস্তান লর্ডগিরি করে হারছে কিন্তু এই দিক থেকে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছে। দুইটা ওয়াইড দেয়নি। রেফারি তিনটা আউট দিছে তাড়াহুড়ো করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিপক্ক প্রেম: মানসিক শান্তি

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৩০






জীবনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে পৌঁছানোর পর, মানুষ যখন পরিপক্ক হয়ে ওঠে, তখন প্রেমের মাপকাঠি বদলে যায়। তখন আর কেউ প্রেমে পড়ার জন্য শুধু সৌন্দর্য, উচ্ছ্বলতা, কিংবা সুগঠিত দেহ খোঁজে না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রবীন্দ্রনাথের শেষ কটা দিন কেমন কেটেছিল?

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১১




১৯৪১ সালে জীবনের শেষ দিনগুলোয় অসুখে ভুগছিলেন কবি। সারা জীবন চিকিৎসকের কাঁচি থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন, এবার বুঝি আর তা সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি চলছেই। কিন্তু কিছুতেই কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

×