somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবিতে দেখুন কুকুর বিড়াল ছানাকে দুধ খাওয়াচ্ছে আর আমরা কি করছি!!!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা হরতাল দিচ্ছি, এ সুযোগে তোমরা দোকান-পাট, গাড়ী, হাতের কাছে যা কিছু পাও ভাংচুর কর। সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দাও, মারমুখি হও, জীবন দাও, রক্ত দাও নইলে আন্দোলন বেগবান হবেনা, আমরা ক্ষমতায় যেতে পারবো না। জনগণের টাকায় ফূর্তি করতে পারবো না, এসি রুমে থাকতে পরবো না, মার্সিডিস গাড়ীতে চড়ে ঘুরে-বেড়াতে পারবো না, বিদেশে মার্কেটিং করতে যেতে পারবো না। সরকারী টাকা ছাড়া ভুড়ি ভোজ-ফুর্তি মৌজ করা যায় না। হরতাল হয়। সর্বনাশ হয় জনগণের, কষ্ট বাড়ে, হুহু করে বেড়ে যায় জিনিষ পত্রের দাম দু’গুণ, তিন গুণ, বাড়ে না মানুষের দাম।
অপরদিকে সরকারী দল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দলের উপর পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিচ্ছে ওদেরকে ঠেকাও, না ঠেকাতে পারলে আমরা হেরে যাবো। হেরে গেলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবো না। সরকারী এবং প্রধান দুই দলের এই মারমুখি অবস্থানে আমরা সাধারণ জনগণ পিষে মরছি, গুম হচ্ছি, খুন হ্িচ্ছ, হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুণছি। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বিরোধী দল হরতালের পর হরতাল দিচ্ছে, একজন ইলিয়াস আলীর জন্য হরতাল হলো। হরতালের কারণে ড্রাইভারকে পুড়িয়ে মারা হলো, সেলিম, মনোয়াররা মারা গেল, বাস হেলপার রওশনরা হাসপাতালে কাৎরাচ্ছে। আর কত মৃত্যু দেখতে হবে কে জানে? জ্বালাও পোড়াও নামে অপরাজনীতি আর দেখতে চাইনা। সোনার বাংলা দেখতে চাই। ইলিয়াস আলীর পরিবারকে সহানুভুতি দেখানো হচ্ছে, সেলিম, মনোয়ার রওশনদের দেখার কেউ নেই। তাদের কেউ খোঁজ রাখে না। ওদের জীবনের দাম নেই। যাদের জীবনের দাম বেশি তাদের জন্য আমরা জীবন দেই, সব কিছু করি।
উপরের ছবিটি দেখুন। ছবিটি নীলফামারী থেকে পাঠিয়েছেন বাংলার চোখ নিউজ এজেন্সির ফটো সাংবাদিক আবদুল গফুর। দু’জন দু’জনের চরম শত্রু। ইচ্ছে করলে কুকুরটি বিড়াল ছানাটিকে খতম করে ফেলতে পারতো। কিন্তু না, মাতৃহারা বিড়াল ছানাকে পরম মমতায় দুধ পান করাচ্ছে কুকুরটি। পরস্পর শত্রু হলেও কুকুরটির এ ত্যাগ বিড়াল ছানাটিকে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সবাই বাঁচার স্বপ্ন দেখে, জনগণকে বাঁচাতে আমাদের দেশের সরকারী এবং প্রধান বিরোধী দলগুলো যদি ঝগড়া বিবাদ ভুলে এভাবে পরম মমতায় স্বনির্ভর দেশ গড়ার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতেন তাহলেই দেশটি হতো সত্যিকারের সোনার বাঙলা। সেই সোনার বাংলা কবে দেখতে পাব?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৪১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×