somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ পুলিশ ( সকল তথ্য সমুহ)

২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
যারা পালাইয়া বিয়া করতে চান.....আপনারা এখানে আসুন










শান্তি শপথে বলীয়ান বাংলাদেশ পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, নির্যাতিত মানুষের পাশে বন্ধুর মতো দাড়ানো এবং অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থাকে। বাংলাদেশ পুলিশের হেড কোয়ার্টার গুলিস্তানের নগর ভবনের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশকে সহায়তা এবং বাংলাদেশের মানুষকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় আবদ্ধ করতে আরও রয়েছে – র‍্যাব, ডিবি, এসবি, সিআইডি, বিট পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশ। বর্তমানে অনলাইনে জিডি করা যায়। এছাড়া নিপীড়িত জনগণকে তাৎক্ষণিক পুলিশি সেবা প্রদান করার জন্য চালু হয়েছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস। পুলিশ বাহিনী আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, ইমিগ্রেশন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে





চেক ডিজঅনার হলে



গাড়ি আটক হলে



তথ্য প্রযুক্তি

গ্রেফতার হলে

ইন্টারপোল


পুলিশের পদসমুহ

পুলিশ ব্লাড ব্যাংক





জিডি করতে



জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডায়েরী খুলে পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।



এই ডায়েরীতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন আসামী কোর্টে চালান দেয়া, এলাকার বিভিন্ন তথ্য, থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।



সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব

সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব ভিন্ন। কোন থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ থানায় জিডি করে থাকেন। আবার কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোন কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলেও তিনি জিডি করতে পারেন। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা, নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও জিডির বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে। আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য জিডি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময় আদালতেও জিডিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।



জিডি করা

থানার ডিউটি অফিসার জিডি নথিভুক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি ডায়েরীতে জিডির নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। জিডির দুটি কপি করা হয়। একটি থানায় সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্যটিতে জিডির নম্বর লিখে প্রয়োজনীয় সাক্ষর ও সীলমোহর দেয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়।

অভিযোগকারী নিজে জিডি লিখতে পারেন, আবার প্রয়োজনে থানার কর্মকর্তাও লিখে দিয়ে থাকেন।

প্রতিটি জিডির বিপরীতে একটি নম্বর দেয়া হয়, ফলে কোন অবৈধ প্রক্রিয়া মাধ্যমে কেউ আগের তারিখ দেখিয়ে জিডি করতে পারেন না।



অনলাইন জিডি

আবার পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বাখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এজাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।



ই-মেইল: [email protected].
ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৯৫৫৮৮১৮
অনলাইনে জিডি করার জন্য http://www.police.gov.bd সাইটে গিয়ে ‘Citizens help request’ –এ ক্লিক করতে হবে।



হারানো বিষয়ের জিডি

মোবাইল ফোনের সিম, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জমির দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে ঐ সব কাগজপত্র পুনরায় তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হারানো সংবাদের জিডি চেয়ে থাকে, তাই ঐসব ক্ষেত্রে হারানো সংবাদের জিডি করে সেই জিডি নম্বরসহ কর্তৃপক্ষরে কাছে আবেদন করতে হয়।



জিডির নমুনা

বরাবর

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

.......... থানা

ঢাকা।



বিষয়: এসএসসি সার্টিফিকেট হারানো সংবাদ ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।



মহোদয়,

আমি নিম্ন সাক্ষরকারী আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে, আমার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট আজ সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ঢাকা কলেজের পাশের রাস্তার একটি ফটোকপি করার দোকান থেকে হারিয়ে গেছে।



এমতাবস্থায় হারানোর বিষয়টি ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।



সার্টিফিকেটের বিবরণ:

পরীক্ষার নাম...শিক্ষাবর্ষ...রেজিষ্ট্রেশন নং... রোল নং...



দাখিলকারী,

....

ঠিকানা...

ফোন...



ইউ এন মিশনে বিডি পুলিশ



* পুলিশী সেবা পেতে*
ঔপনিবেশিক আমলে পুলিশ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, একটি স্বাধীন দেশে পুলিশ বাহিনী জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার কথা। একারণে এখন পুলিশ ফোর্স না বলে পুলিশ সার্ভিস বলা হয়ে থাকে।
কিন্তু বিভিন্ন প্রয়োজনে কিভাবে পুলিশের সেবা নিতে হয়, কোথায় কি প্রক্রিয়ায় যোগাযোগ করতে হয়, ইত্যাদি তথ্য ঠিকমত না জানার কারণে অনেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনে বা বিপদে সহজে পুলিশের দারস্থ হন না। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের সাহায্য নেয়ার প্রক্রিয়াটি খুব বেশি জটিল নয়। আবার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেয়া, পাসপোর্ট করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। এসব বিষয় চিন্তা করে পুলিশের সেবা আর সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য থাকছে এখানে।

বাংলাদেশ পুলিশ, সিটিজেন চার্টার

অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা

সিটিজেন হেল্প রিকোয়েস্ট

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

পুরো লিস্ট এখানে


পুলিশের বিভাগসমূহ বিভিন্ন দপ্তর
বাংলাদেশ পুলিশের বিশাল কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য এর কার্যক্রমকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বিভাগগুলো হচ্ছে; সোয়াত, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, রেল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব, এসবি , ডিবি এবং সিআইডি। পুলিশের এই বিভাগগুলোর দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং এদের বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য থাকছে এখানে।


ঢাকা মহানগর পুলিশ


র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)

সিআইডি

স্পেশাল উইপন্স এন্ড ট্যাকটিস (SWAT)


ফোন নম্বরপুরো লিস্ট দেখুন


যেকোন প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে বা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে সঠিক জায়গায় দ্রুত যোগাযোগ করা জরুরি। এই যোগাযোগের কাজটি সহজ করে দেবার লক্ষ্যে পুলিশ সদরদপ্তরসহ র‍্যাব, এসবি, ডিবি, সিআইডি, প্রভৃতি বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তার ফোন নম্বর থাকছে এ বিভাগে।


ফোনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ


ফোনে পুলিশ সদর দপ্তর


ফোনে সিআইডি


ফোনে ডি,আই,জি, হাইওয়ে পুলিশ


পুলিশের স্থাপনা পুরো লিস্ট দেখুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্থাপনাগুলোর কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কথা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শক্তির মূল কেন্দ্র এটি। এখানে মেট্রোপলিটন পুলিশের অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহনসহ বিভিন্ন সাজসরঞ্জাম রাখা হয়। পুলিশ কনস্টেবলদের ব্যারক এবং প্যারেড গ্রাউন্ডটিও এখানে।
এছাড়া নগরভবন সংলগ্ন পুলিশ সদরদপ্তর, রমনা ও উত্তরার পুলিশ কমপ্লেক্স, পুরনো ঢাকার লালবাগ দূর্গ সংলগ্ন মিল ব্যারাক, মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা যায়। অবশ্য পুলিশ সদরদপ্তর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোন স্থাপনা নয়। মিল ব্যারকে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় আর পুলিশ স্টাফ কলেজে মূলত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের থানা সংখ্যা ৪১ টি; মোট ৮টি ডিসি অফিসের অধীনে থানাগুলো পরিচালিত হয়। পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে ৫২টি এবং পুলিশ বক্স রয়েছে ৬৯টি।


ঢাকার থানাগুলো পুরো লিস্ট দেখুন


প্রাচীন ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে দস্যুদের আক্রমণে যখন রাজস্ব আদায় কার্যক্রম ব্যহত হতে শুরু করে তখন নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার লক্ষ্যে পুলিশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মৌর্য আমলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ঘাঁটি বা আধুনিক থানা স্থাপিত হয়। অবশ্য অনেকে মনে করেন এই থানা বা চৌকি পদ্ধতি মুসলিম শাসনামলে প্রবর্তিত হয়েছে। মোগল শাসনামলে একজন ফৌজদারের তত্ত্ববধানে থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হত। বৃটিশ শাসনামলে মোগল আমলের থানা ও কতোয়াল পদ্ধতি বহাল রেখে পুলিশ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়।
এখন বাংলাদেশ পুলিশের যেকোন থানায় সার্বিক দায়িত্বে থাকেন ওসি (অফিসার ইন চার্জ)। তিনি একজন ইন্সপেক্টর র‍্যাংকের কর্মকর্তা। থানায় একই র‍্যাংকের আরও কর্মকর্তা থাকেন। তাঁদের বলা হয় ইন্সপেক্টর তদন্ত বা ইন্সপেক্টর ইনভেষ্টিগেশন। থানার সাব-ইন্সপেক্টরদের মধ্যে যাঁরা তদন্ত করেন তাঁরা ইন্সপেক্টর তদন্তের অধীনে কাজ করেন। থানার সাব-ইন্সপেক্টরদের মধ্যে যিনি সিনিয়র তাকে বলা হয় অপারেশন অফিসার (বাইরের জেলা সমূহে অপারেশন অফিসারের পরিবর্তে সেকেন্ড অফিসার বলা হয়) একজন সাব-ইন্সপেক্টর পালাক্রমে আট ঘন্টা দায়িত্ব পালন করেন। একটি থানার সব সাব-ইন্সপেক্টরই পালাক্রমে ডিউটি অফিসার হিসেবে কাজ করেন। আপনি কোন কারণে থানায় ফোন করলে ডিউটি অফিসারই ফোন রিসিভ করার সম্ভাবনা বেশি। মামলা নেয়া, জিডি রেকর্ড করা, জরুরী ঘটনায় ফোর্স পাঠানো ও ঊর্ধ্বতনদের জানানো, ইত্যাদি কাজ ডিউটি অফিসাররাই করে থাকেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এলাকাকে মোট আটটি ক্রাইমজোনে ভাগ করা হয়েছে। জোনগুলো হচ্ছে ওয়ারী, লালবাগ, রমনা, মতিঝিল, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশানএবং উত্তরা।এই জোনগুলোর তদারকি কর্মকর্তা হচ্ছেন এসি।
কমিউনিটি পুলিশিং

কমিউনিটি পুলিশিং কি?
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট পিলের গণমুখী পুলিশিং এর মূলনীতি হতেই মূলতঃ কমিউনিটি পুলিশিং এর ধারণা আসে। কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে অপরাধ সমস্যা সমাধানে পুলিশ ও জনগণের যৌথ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নতুন পুলিশিং দর্শন । আমাদের দেশে পুলিশী কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ধারণা গ্রহণ করা হয়েছে।
কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা কমিউনিটির সদস্যগণ, সমাজের বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ প্রতিরোধ ও জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয় কমিউনিটি পুলিশিং মূলত একটি প্রতিরোধমূলক পুলিশি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় অপরাধের কারণগুলো অনুসন্ধান করে সেগুলো দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । অপরাধের কারণগুলো দূর করা যেহেতু পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই এই কাজে অন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়। কমিউনিটি পুলিশিং এর যাবতীয় কর্মকাণ্ড অপরাধ প্রতিরোধ তথা অপরাধ যাতে ঘটতে না পারে সেই লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ জনগণকে নিজেরাই যাতে নিজ নিজ এলাকার অপরাধগুলো প্রতিরোধ করতে পারে তার জন্য জনগণকে আইনী পরামর্শ দেওয়া, অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করা, অপরাধকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বা পরামর্শ দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করে।
বৈশিষ্ট্য
১। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা পুলিশ ও জনগনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করে।
২। এটি একটি প্রতিরোধমূলক ও সমস্যা সমাধানভিত্তিক পুলিশী ব্যবস্থা।
৩। পুলিশ ও জনগণের সমন্বয়ে উভয়ের নিকট গ্রহণীয় পুলিশী কার্যক্রমের একটি দর্শন হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং।
৪। এ ব্যবস্থায় জনগণ এলাকার সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিক্তিতে কাজ করার সুযোগ পায়।
৫। জনগণের নিকট পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
৬। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়।
৭। জনগণ পুলিশী কার্যক্রম ও পুলিশের সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে জানতে পারে।
৮। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমে এবং জনগনের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ হ্রাস পায় এবং জনগণ পুলিশকে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়।
৯। পুলিশ জনগণকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে তাদের অনেক সমস্যা তাদের দ্বারাই সমাধানের পথ বের করার জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
১০। কমিউনিটির সম্পদ কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সুফল
১। পুলিশ ও জনগণের মধ্যের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
২। জনগণের সহায়তায় পুলিশ নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা সমাধানের কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে পারে।
৩। জনগণকে পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা ও মতামতের আলোকে পুলিশী সেবা নিশ্চিত করা যায়।
৪। পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং জনগণ পুলিশী কাজের প্রক্রিয়া এবং পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানতে পারে।
৫। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়।
৬। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পায়। জনগণ পুলিশকে আপন ভাবতে শিখে।
৭। জনগণের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ ভীতি হ্রাস পায় এবং পুলিশকে সহায়তা করার জন্য জনগণ উদ্ধুদ্ধ হয় ও সাহস পায়। মানুষের মধ্যে পুলিশকে এড়িয়ে চলার প্রবণতাও হ্রাস পায়।
৮। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। এ ম্লোগান বাস্তবে রুপ নেয়।
৯। এলাকার অপারাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহায়ক শক্তি হিসেবে একটি গণফোরম তৈরী হওয়ায় অপরাধীরা নির্বিঘ্নে অপরাধ সংঘটনের সাহস পায় না। সমাজে অপরাধ হ্রাস পায়।
১০। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত হয় এবং জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়।
কমিউনিটি পুলিশিং এর সাংগঠনিক কাঠামো
কমিউনিটি পুলিশিং এর অঞ্চল ভিত্তিক সাংগঠনিক কমিটির দুটো কাঠামো থাকে: (১) উপদেষ্টা পরিষদ এবং (২) নির্বাহী কমিটি বা কার্যকরী পরিষদ।

উপদেষ্টা পরিষদ
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন হয়। তবে যদি কার্যকরী কমিটি মনে করে এলাকার বিশেষ কোন ব্যক্তি কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেক্ষেত্রে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ আছে।
নির্বাহী কমিটি/কার্যকরী পরিষদ
নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৫-২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এলাকার উদ্যোগী, আগ্রহী এবং খ্যাতি সম্পন্ন কোন বিশেষ ব্যক্তিকে অন্তর্ভূক্ত করতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ২৫ জন করা যায়।
আইনগত ভিত্তি
কোন অধ্যাদেশ বা আইনের মাধ্যমে এদেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়নি। তবে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২, ৪৩, ৪৪, ও ৪৫ ধারা অনুসারে কিছু ক্ষেত্রে জনসাধারণ পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করতে বাধ্য। জনপ্রতিনিধি যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ পুলিশি কাজে সহায়তা চাইতে পারেন। পুলিশ রেগুলেশনের ৩২ প্রবিধিতে এর উল্লেখ আছে। ফৌজদারী কার্যবিধি এবং পুলিশ রেগুলেশনের এই ধারা অনুসারে পুলিশী সহায়তা ও নেয়া যায়। কমিউনিটি পুলিশিং হলো পুলিশকে সহায়তা করার জনগণের একটি সংগঠিত শক্তি। কাজেই প্রচলিত আইনেই কমিউনিটি পুলিশিং – এর সমর্থন আছে।
তহবিল
সদস্যদের চাঁদা এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানের মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালানো হয়। বিজ্ঞাপন বা বাণিজ্যিক আয়ের উৎস সৃষ্টি করেও অর্থ সংগ্রহ করা যায়। বিধান অনুসারে প্রতি অর্থ বছর শেষে কার্যনির্বাহী কমিটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট অডিট টিম গঠন করে আডিটের ব্যবস্থা করে।


হেল্প লাইন.........আনলাইন ঢাকা গাইড





শান্তি শপথে বলীয়ান বাংলাদেশ পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, নির্যাতিত মানুষের পাশে বন্ধুর মতো দাড়ানো এবং অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে থাকে। বাংলাদেশ পুলিশের হেড কোয়ার্টার গুলিস্তানের নগর ভবনের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশকে সহায়তা এবং বাংলাদেশের মানুষকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় আবদ্ধ করতে আরও রয়েছে – র‍্যাব, ডিবি, এসবি, সিআইডি, বিট পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশ। বর্তমানে অনলাইনে জিডি করা যায়। এছাড়া নিপীড়িত জনগণকে তাৎক্ষণিক পুলিশি সেবা প্রদান করার জন্য চালু হয়েছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস। পুলিশ বাহিনী আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, ইমিগ্রেশন এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে





চেক ডিজঅনার হলে



গাড়ি আটক হলে



তথ্য প্রযুক্তি

গ্রেফতার হলে

ইন্টারপোল


পুলিশের পদসমুহ

পুলিশ ব্লাড ব্যাংক





জিডি করতে



জিডি শব্দটি জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডায়েরী খুলে পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।



এই ডায়েরীতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন আসামী কোর্টে চালান দেয়া, এলাকার বিভিন্ন তথ্য, থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।



সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব

সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব ভিন্ন। কোন থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ থানায় জিডি করে থাকেন। আবার কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোন কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলেও তিনি জিডি করতে পারেন। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা, নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও জিডির বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে। আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য জিডি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময় আদালতেও জিডিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।



জিডি করা

থানার ডিউটি অফিসার জিডি নথিভুক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি ডায়েরীতে জিডির নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। জিডির দুটি কপি করা হয়। একটি থানায় সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্যটিতে জিডির নম্বর লিখে প্রয়োজনীয় সাক্ষর ও সীলমোহর দেয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়।

অভিযোগকারী নিজে জিডি লিখতে পারেন, আবার প্রয়োজনে থানার কর্মকর্তাও লিখে দিয়ে থাকেন।

প্রতিটি জিডির বিপরীতে একটি নম্বর দেয়া হয়, ফলে কোন অবৈধ প্রক্রিয়া মাধ্যমে কেউ আগের তারিখ দেখিয়ে জিডি করতে পারেন না।



অনলাইন জিডি

আবার পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বাখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এজাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।



ই-মেইল: [email protected].
ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৯৫৫৮৮১৮
অনলাইনে জিডি করার জন্য http://www.police.gov.bd সাইটে গিয়ে ‘Citizens help request’ –এ ক্লিক করতে হবে।



হারানো বিষয়ের জিডি

মোবাইল ফোনের সিম, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জমির দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে ঐ সব কাগজপত্র পুনরায় তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হারানো সংবাদের জিডি চেয়ে থাকে, তাই ঐসব ক্ষেত্রে হারানো সংবাদের জিডি করে সেই জিডি নম্বরসহ কর্তৃপক্ষরে কাছে আবেদন করতে হয়।



জিডির নমুনা

বরাবর

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

.......... থানা

ঢাকা।



বিষয়: এসএসসি সার্টিফিকেট হারানো সংবাদ ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।



মহোদয়,

আমি নিম্ন সাক্ষরকারী আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে, আমার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট আজ সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ঢাকা কলেজের পাশের রাস্তার একটি ফটোকপি করার দোকান থেকে হারিয়ে গেছে।



এমতাবস্থায় হারানোর বিষয়টি ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।



সার্টিফিকেটের বিবরণ:

পরীক্ষার নাম...শিক্ষাবর্ষ...রেজিষ্ট্রেশন নং... রোল নং...



দাখিলকারী,

....

ঠিকানা...

ফোন...







* পুলিশী সেবা পেতে*
ঔপনিবেশিক আমলে পুলিশ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, একটি স্বাধীন দেশে পুলিশ বাহিনী জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার কথা। একারণে এখন পুলিশ ফোর্স না বলে পুলিশ সার্ভিস বলা হয়ে থাকে।
কিন্তু বিভিন্ন প্রয়োজনে কিভাবে পুলিশের সেবা নিতে হয়, কোথায় কি প্রক্রিয়ায় যোগাযোগ করতে হয়, ইত্যাদি তথ্য ঠিকমত না জানার কারণে অনেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনে বা বিপদে সহজে পুলিশের দারস্থ হন না। অথচ অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের সাহায্য নেয়ার প্রক্রিয়াটি খুব বেশি জটিল নয়। আবার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নেয়া, পাসপোর্ট করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। এসব বিষয় চিন্তা করে পুলিশের সেবা আর সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য থাকছে এখানে।

বাংলাদেশ পুলিশ, সিটিজেন চার্টার

অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা

সিটিজেন হেল্প রিকোয়েস্ট

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

পুরো লিস্ট এখানে


পুলিশের বিভাগসমূহ বিভিন্ন দপ্তর
বাংলাদেশ পুলিশের বিশাল কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য এর কার্যক্রমকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বিভাগগুলো হচ্ছে; সোয়াত, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, রেল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‍্যাব, এসবি , ডিবি এবং সিআইডি। পুলিশের এই বিভাগগুলোর দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং এদের বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য থাকছে এখানে।


ঢাকা মহানগর পুলিশ


র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)

সিআইডি

স্পেশাল উইপন্স এন্ড ট্যাকটিস (SWAT)


ফোন নম্বরপুরো লিস্ট দেখুন


যেকোন প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে বা পুলিশকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে সঠিক জায়গায় দ্রুত যোগাযোগ করা জরুরি। এই যোগাযোগের কাজটি সহজ করে দেবার লক্ষ্যে পুলিশ সদরদপ্তরসহ র‍্যাব, এসবি, ডিবি, সিআইডি, প্রভৃতি বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তার ফোন নম্বর থাকছে এ বিভাগে।


ফোনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ


ফোনে পুলিশ সদর দপ্তর


ফোনে সিআইডি


ফোনে ডি,আই,জি, হাইওয়ে পুলিশ


পুলিশের স্থাপনা পুরো লিস্ট দেখুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্থাপনাগুলোর কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কথা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শক্তির মূল কেন্দ্র এটি। এখানে মেট্রোপলিটন পুলিশের অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহনসহ বিভিন্ন সাজসরঞ্জাম রাখা হয়। পুলিশ কনস্টেবলদের ব্যারক এবং প্যারেড গ্রাউন্ডটিও এখানে।
এছাড়া নগরভবন সংলগ্ন পুলিশ সদরদপ্তর, রমনা ও উত্তরার পুলিশ কমপ্লেক্স, পুরনো ঢাকার লালবাগ দূর্গ সংলগ্ন মিল ব্যারাক, মিরপুরের পুলিশ স্টাফ কলেজ ইত্যাদির কথা উল্লেখ করা যায়। অবশ্য পুলিশ সদরদপ্তর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোন স্থাপনা নয়। মিল ব্যারকে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় আর পুলিশ স্টাফ কলেজে মূলত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের থানা সংখ্যা ৪১ টি; মোট ৮টি ডিসি অফিসের অধীনে থানাগুলো পরিচালিত হয়। পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে ৫২টি এবং পুলিশ বক্স রয়েছে ৬৯টি।


ঢাকার থানাগুলো পুরো লিস্ট দেখুন


প্রাচীন ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে দস্যুদের আক্রমণে যখন রাজস্ব আদায় কার্যক্রম ব্যহত হতে শুরু করে তখন নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার লক্ষ্যে পুলিশ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মৌর্য আমলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ঘাঁটি বা আধুনিক থানা স্থাপিত হয়। অবশ্য অনেকে মনে করেন এই থানা বা চৌকি পদ্ধতি মুসলিম শাসনামলে প্রবর্তিত হয়েছে। মোগল শাসনামলে একজন ফৌজদারের তত্ত্ববধানে থানার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হত। বৃটিশ শাসনামলে মোগল আমলের থানা ও কতোয়াল পদ্ধতি বহাল রেখে পুলিশ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হয়।
এখন বাংলাদেশ পুলিশের যেকোন থানায় সার্বিক দায়িত্বে থাকেন ওসি (অফিসার ইন চার্জ)। তিনি একজন ইন্সপেক্টর র‍্যাংকের কর্মকর্তা। থানায় একই র‍্যাংকের আরও কর্মকর্তা থাকেন। তাঁদের বলা হয় ইন্সপেক্টর তদন্ত বা ইন্সপেক্টর ইনভেষ্টিগেশন। থানার সাব-ইন্সপেক্টরদের মধ্যে যাঁরা তদন্ত করেন তাঁরা ইন্সপেক্টর তদন্তের অধীনে কাজ করেন। থানার সাব-ইন্সপেক্টরদের মধ্যে যিনি সিনিয়র তাকে বলা হয় অপারেশন অফিসার (বাইরের জেলা সমূহে অপারেশন অফিসারের পরিবর্তে সেকেন্ড অফিসার বলা হয়) একজন সাব-ইন্সপেক্টর পালাক্রমে আট ঘন্টা দায়িত্ব পালন করেন। একটি থানার সব সাব-ইন্সপেক্টরই পালাক্রমে ডিউটি অফিসার হিসেবে কাজ করেন। আপনি কোন কারণে থানায় ফোন করলে ডিউটি অফিসারই ফোন রিসিভ করার সম্ভাবনা বেশি। মামলা নেয়া, জিডি রেকর্ড করা, জরুরী ঘটনায় ফোর্স পাঠানো ও ঊর্ধ্বতনদের জানানো, ইত্যাদি কাজ ডিউটি অফিসাররাই করে থাকেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এলাকাকে মোট আটটি ক্রাইমজোনে ভাগ করা হয়েছে। জোনগুলো হচ্ছে ওয়ারী, লালবাগ, রমনা, মতিঝিল, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশানএবং উত্তরা।এই জোনগুলোর তদারকি কর্মকর্তা হচ্ছেন এসি।
কমিউনিটি পুলিশিং

কমিউনিটি পুলিশিং কি?
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট পিলের গণমুখী পুলিশিং এর মূলনীতি হতেই মূলতঃ কমিউনিটি পুলিশিং এর ধারণা আসে। কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে অপরাধ সমস্যা সমাধানে পুলিশ ও জনগণের যৌথ অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি নতুন পুলিশিং দর্শন । আমাদের দেশে পুলিশী কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকরভাবে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং ধারণা গ্রহণ করা হয়েছে।
কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা কমিউনিটির সদস্যগণ, সমাজের বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ প্রতিরোধ ও জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয় কমিউনিটি পুলিশিং মূলত একটি প্রতিরোধমূলক পুলিশি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় অপরাধের কারণগুলো অনুসন্ধান করে সেগুলো দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় । অপরাধের কারণগুলো দূর করা যেহেতু পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই এই কাজে অন্যান্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়। কমিউনিটি পুলিশিং এর যাবতীয় কর্মকাণ্ড অপরাধ প্রতিরোধ তথা অপরাধ যাতে ঘটতে না পারে সেই লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশ জনগণকে নিজেরাই যাতে নিজ নিজ এলাকার অপরাধগুলো প্রতিরোধ করতে পারে তার জন্য জনগণকে আইনী পরামর্শ দেওয়া, অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করা, অপরাধকর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বা পরামর্শ দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করে।
বৈশিষ্ট্য
১। কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা পুলিশ ও জনগনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করে।
২। এটি একটি প্রতিরোধমূলক ও সমস্যা সমাধানভিত্তিক পুলিশী ব্যবস্থা।
৩। পুলিশ ও জনগণের সমন্বয়ে উভয়ের নিকট গ্রহণীয় পুলিশী কার্যক্রমের একটি দর্শন হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং।
৪। এ ব্যবস্থায় জনগণ এলাকার সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিক্তিতে কাজ করার সুযোগ পায়।
৫। জনগণের নিকট পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
৬। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়।
৭। জনগণ পুলিশী কার্যক্রম ও পুলিশের সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে জানতে পারে।
৮। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমে এবং জনগনের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ হ্রাস পায় এবং জনগণ পুলিশকে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়।
৯। পুলিশ জনগণকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে তাদের অনেক সমস্যা তাদের দ্বারাই সমাধানের পথ বের করার জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
১০। কমিউনিটির সম্পদ কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সুফল
১। পুলিশ ও জনগণের মধ্যের পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
২। জনগণের সহায়তায় পুলিশ নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা সমাধানের কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে পারে।
৩। জনগণকে পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা ও মতামতের আলোকে পুলিশী সেবা নিশ্চিত করা যায়।
৪। পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং জনগণ পুলিশী কাজের প্রক্রিয়া এবং পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানতে পারে।
৫। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়।
৬। পুলিশ ও জনগনের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পায়। জনগণ পুলিশকে আপন ভাবতে শিখে।
৭। জনগণের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ ভীতি হ্রাস পায় এবং পুলিশকে সহায়তা করার জন্য জনগণ উদ্ধুদ্ধ হয় ও সাহস পায়। মানুষের মধ্যে পুলিশকে এড়িয়ে চলার প্রবণতাও হ্রাস পায়।
৮। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। এ ম্লোগান বাস্তবে রুপ নেয়।
৯। এলাকার অপারাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সহায়ক শক্তি হিসেবে একটি গণফোরম তৈরী হওয়ায় অপরাধীরা নির্বিঘ্নে অপরাধ সংঘটনের সাহস পায় না। সমাজে অপরাধ হ্রাস পায়।
১০। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত হয় এবং জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়।
কমিউনিটি পুলিশিং এর সাংগঠনিক কাঠামো
কমিউনিটি পুলিশিং এর অঞ্চল ভিত্তিক সাংগঠনিক কমিটির দুটো কাঠামো থাকে: (১) উপদেষ্টা পরিষদ এবং (২) নির্বাহী কমিটি বা কার্যকরী পরিষদ।

উপদেষ্টা পরিষদ
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৮-১০ জন হয়। তবে যদি কার্যকরী কমিটি মনে করে এলাকার বিশেষ কোন ব্যক্তি কমিউনিটি পুলিশিং সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেক্ষেত্রে এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ আছে।
নির্বাহী কমিটি/কার্যকরী পরিষদ
নির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৫-২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এলাকার উদ্যোগী, আগ্রহী এবং খ্যাতি সম্পন্ন কোন বিশেষ ব্যক্তিকে অন্তর্ভূক্ত করতে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ২৫ জন করা যায়।
আইনগত ভিত্তি
কোন অধ্যাদেশ বা আইনের মাধ্যমে এদেশে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়নি। তবে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২, ৪৩, ৪৪, ও ৪৫ ধারা অনুসারে কিছু ক্ষেত্রে জনসাধারণ পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করতে বাধ্য। জনপ্রতিনিধি যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ পুলিশি কাজে সহায়তা চাইতে পারেন। পুলিশ রেগুলেশনের ৩২ প্রবিধিতে এর উল্লেখ আছে। ফৌজদারী কার্যবিধি এবং পুলিশ রেগুলেশনের এই ধারা অনুসারে পুলিশী সহায়তা ও নেয়া যায়। কমিউনিটি পুলিশিং হলো পুলিশকে সহায়তা করার জনগণের একটি সংগঠিত শক্তি। কাজেই প্রচলিত আইনেই কমিউনিটি পুলিশিং – এর সমর্থন আছে।
তহবিল
সদস্যদের চাঁদা এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানের মাধ্যমে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম চালানো হয়। বিজ্ঞাপন বা বাণিজ্যিক আয়ের উৎস সৃষ্টি করেও অর্থ সংগ্রহ করা যায়। বিধান অনুসারে প্রতি অর্থ বছর শেষে কার্যনির্বাহী কমিটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট অডিট টিম গঠন করে আডিটের ব্যবস্থা করে।


হেল্প লাইন.........আনলাইন ঢাকা গাইড
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
১১টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×