somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের ফরিদ ভাই - ফরিদ bond 007 :D:D+ mission impossible to be possible :D:Dকিন্চিত ১৮+;);) { অধ্যয় =০৪ }

২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অধ্যয় ৩ লিংক -

Click This Link

(যারা নতুন তারা আগের অধ্যয় গুলো পরে নিন)

অধ্যয় ৪ -

বিয়ের ঠিক পরপরই আচমকা এতসব ঝামেলা ফরিদ ভাই কে ভাবিয়ে তুলল, কিন্তূ যাই বলাহোক না কেন জিবনে এমন কিছু সিদ্ধান্ত আছে যেগুলো শুধুমাত্র লাভলসের খাতায় হিসাব কসলে হয় না।

মানুষের সাথে মানুষের অনেক সম্পর্ক,
কখনো বা মনের কখনো বা শরীরের -
সব সম্পর্ক অস্বীকার করা যায় কিনতু
মনের সম্পর্ক মনেই থেকে যায় -

মনের সম্পর্কটাকে কখনোও অস্বীকার করা সম্ভব না।
আর এ কারনেই তো আমাদের পৃথিবীটা আজও টিকে আছে-

এখন সময়টা ২০১১, বিয়েরও প্রায় বছর তিনেক চলে গিয়েছে আর এর মধ্যে কোন সমস্যা নেই। না লিজা ভাবিও আর আগের মত নেই। ফরিদ ভাই ভালোবাসা দিয়ে তাকে সারিয়ে তুলেছেন, লিজা ভাবিও আগের থেকে অনেক পাল্টে গিয়েছেন, নিজের ভুলটাকে সারিয়ে তুলে নিজেকে সুন্দর গৃহিনী করে গড়ে তুলেছেন। তবে এখন এনারা ঢাকাতে থাকেন না। ২০১০ এর নভেম্বরে ঢাকা থেকে ফরিদভাই তার পুরা ফ্যামিলি পাবনাতে পাঠিয়ে দিয়েছেন - ভাবির বাপের বাড়ি পাবনা আর এ জন্যেই এ সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হয়নি।

এছাড়া ভাবিকে তো তার পরাশুনাও চালিয়ে যেতে হবে। তাই সবকিছু বিচার করে পাবনাতেই ঠিক করা হল, ওখানে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এস এস সি পরিক্ষ্যা দিবে তাই ভর্তিও করে দেয়া হল - এদিকে ফরিদভাই আর ভাবির ঘর আলো করে একটা সুন্দর ফুটফুটে সাদা ছেলে জন্ম নিয়ে ছিল ২০০৯ এর অক্টোবরে, সেও আজ প্রায় ২ বছরে পা রাখবে, এ নিয়ে ভালই চলছিল লিজাভাবি আর ফরিদ ভাই এর গোছানো সংসার। ফরিদ ভাই এর বড়বোনের পাবনাতে ৩ তলা বাড়ি আছে- আর আপা ঢাকাতে সেটেল্ড সেই সুত্রে পাবনার বাড়িটার ৩য় তলা খালিই পরে থাকে।
ফরিদ ভাই ওটারি ৩য় তলা ভাড়া নিল, সমস্যা হয়ে দাড়ালো ভাবি তো আর একা থাকতে পারবে না, তাই ফরিদ ভাই এর আম্মাকেও-আব্বাকেও ভাবির সাথে থাকতে দেয়া হল, তার মানে ঢাকা থেকে টোটালি ট্রান্সফার হয়ে গেলে ফরিদ ভাই।

ফরিদ ভাই ৫-৬ মাস পর পর দেশে আসবেন এভাবেই সব ঠিকঠাক করা হল, আর প্লানিং মত এসেছিলেন ও। যাইহোক এভাবেই সুন্দর ভাবে সংসার চলতে লাগলো।
দয়ালু সৎভাব আর ভালোবাসার কাছে ভাবির সব দোষ হার মানল। আসলেই ভালো বাসার কিছু অসম্ভব গুন আছে। আর সেগুলো মানুষকে পুরাপরি বদলে দেয়।
ফরিদ ভাই সন্দেহ বিহিন ভাবে ভাবিকে মাফ করে দিয়েছিলেন এই সর্তে যে ভাবি যেন ভবিষ্যতে আর এমন কোন কাজ না করে, মানুষকে একটা সুযোগ দেয়া উচিৎ আর এই নিতির সাথে ভালবাসার খাতিরে এবং সন্তানের কথা চিন্তা করে ফরিদ ভাই সব ভুলে আবার নতুন করে ভালবাসতে শুরু করেছিলেন। এছাড়া গত দুবছরে ভাবির কোন দোষ ও পাননি আর ছালামও ঢাকাতে থাকেন সেক্ষেত্রে আবারো সেই সুযোগ পাবার কথাই না। আবার এদিকে সালামের এই বাসায় আসা মানা। সুতরাং এক কথায় ভয় ভিতি বিহিন কাটছিল বলেই মনে হত।

কিন্ত ফরিদ ভাই তো আবার বন্ড মানুষ, ঝামেলা না থাকলেও মনে হালকা পাতলা সন্দেহ কিন্তু ঐ কটা মাসে ভালভাবেই বাসাবাধে। ভাবির সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ভাবির চালচলন বা সবকিছুর উপরি একটা অদৃশ্য নজর রাখতে চান আমাদের ফরিদ ভাই। তিনি ভাবিকে এখন বিশ্বাস করেন কিন্তু তার পরেও তিনি নজর রাখতে চান, ঐযে একটা কথা আছে না -

"...একটা আয়না ভেঙে গেলে তা হয়ত জোরা লাগানো যায় কিন্তু সেই জোরার মাঝে একটা দাগ থেকে যায়, পরের বার একটা ছোট আঘাতেই তা ভেঙে একদম টুকরো টুকরো হয়ে যায়..."

বাইরে থেকে দেখে ফরিদ ভাই কে সুখি মনে হলেও ভিতর ভিতর জ্বলছিলেন ভয়াবহ আগুনে। আর এই ব্যাপারটা আমার কাছে খোলা পেল যখন একদিন ফরিদ ভাই আমার কাছে এসে মোবাইল ফোন ট্রাকিং এর কথা জিগ্গেস করলেন।

আমি বললাম একটা উপায়ে আপনি মোবাইল ট্রাকিং করতে পারেন আপনি এন্ড্রয়েড বা সিমবিয়ান সেট কিনেন। ওটাতে অনেক সফটওয়্যার সাপোর্ট করে, ওটা কিনে রেকর্ডিং সফট ইনস্টল করে নিলেই হবে। ওতে গোপনে সব কল রেকর্ড হবে আর মেমরি কার্ডে জমা থাকবে -

রেকর্ডএর ফোল্ডারটা হাইড রাখতে হবে যাতে ইউজার টের না পায়।
২-৪ দিন পরপর রাতের বেলা আপনি যখন স্কাইপে কথা বলবেন তখন ভাবিকে ঘুম পারিয়ে দিবেন বা কোন কাজের কথা বলে "টিমভিউয়ার" দিয়ে ফাইল গুলো নিয়ে নিবেন।

আর আরেকটা ব্যাপার হল আপনার মোবাইল এর সেই ম্যামরি কার্ডটা আপনার কম্পিউটারে লাগাতে হবে আর সেজন্য যেদিন আপনি এটা করতে মনস্থির করবেন - সেদিন সকালেই ভাবি কে মোবাইল ফোন দিয়ে কিছু ফটো যেটা আপনার ছেলে বা ভাবি বা অন্য কিছুর হতে পারে তা তুলতে বলবেন আর সাথে সাথে জানিয়ে দিবেন যেন রাতের বেলায় "টিমভিউয়ারের" মাধ্যমে আপনি ভাবির কম্পিউটার থেকে নিয়ে নিতে পারেন।

ব্যাপারটা এত সহজ না। কিন্তু যদি ভিকটিমের কম্পউটার ধারনা না থাকে বা ধারনা কম থাকে তবে ব্যাপারটা পানির মত সহজ। আর এদিকে ভাবির কম্পিটারের তেমন ধারনা না থাকায় ব্যাপারটা সহজ হয়ে উঠে।

২০১১ মার্চে কোন একদিন দুপুরে অফিস ফাকি দুজন গেলাম মোবাইল কিন্তে, ইচ্ছা ছিল এন্ড্রয়েড কিন্তু কিনে নিলাম নোকিয়া ৫৮০০ এক্সপ্রেস মিউজিক, এটা সিমবিয়ান মোবাইল থার্ড জেনারেশন যাতে কিনা মোটামোটি বিপ ছারা সাইলেন্ট রেকর্ডার ইনস্টল করতে হবে, আর সে ব্যাপারে সাহায্য করল আমার আরাবি বন্ধু দোকানদার - ইজ্জত । সে বলতে গেলে সিমবিয়ান মাস্টার - তার কারনেই আমরা সিমবিয়ান কিনেছিলাম কারন ইজ্জত ভাই সিমবিয়ান সম্পর্কে ভাল জানতেন।

যাইহোক ফোন কেনা হল সফটওয়ারো ভরা হল, এখন ফরিদ ভাই যখন বাংলাদেশে যাবেন এই ফোনটা ভাবিকে গিফট দিয়ে আসবেন।

সন্ধা সাড়ে সাতটা বেজে যাওয়ায় আমরা একটা বাঙালি হোটেলে খেতে বসলাম।
সেখানেই জানলাম "সায়হাম" নামের একটা ছেলের কথা জানতে পারলাম ফরিদ ভাই এর কাছ থেকে। আরও জানতে পারলাম মাঝে মাঝেই ভাবির মোবাইল বিজি পাওয়া যায়, আর যদি এ সম্পর্কে ভাবিকে জিগ্গেস করা হয় তাহলে ভাবি আবোল তাবোল বলে যার সাথে বাস্তবের মিল খুজে পাওয়া দুরহ। বর্তমানে এই মোবাইল সমস্যাটা নতুন মাথা ব্যাথা হয়ে দাড়িয়েছে।

মোবাইল বিজি ছিল কেন এই ব্যাপারে ভাবির উত্তর একেক সময়ে এক এক রকম, কখোনও তোমার ফোনই আসেই নাই, কখনোবা নেটওয়ার্ক প্রবলেম হতে পারে, কখনোবা মোবাইলে সমস্যা, কখনোবা মায়ের সাথে কথা বলছিলাম, কখনোবা বান্ধবির সাথে কথা বলছিলাম এমন সব উত্তর পাওয়া যেত যার বাস্তব ভিত্তি কতটুকু ছিল তার প্রমান করা দুষ্কর। আমি বল্লাম একটা মানুষের তো মোবাইল বিজি থাকতেই পারে এটা আবার এমন কি? ফরিদ ভাই বললেন তোমার বউএর মোবাইল যদি রাত ১ টার সময় বিজি থাকে তাও ১-২ ঘন্টা তাহলে তুমি কি করবে?

আমি চুপ হয়ে গেলাম ব্যাপারটা বুজতে পেরে, যাই হোক আমারতো আর বউ না তার বউ, তিনি যা বলছেন তা তার কছে থেকেছে বলেই বলছেন আর আমার তাকে সঙ্গ দেয়া উচিৎ বলেই আমি মনে করি।

কিছুদিন আগে আমি ফরিদ ভাইকে গ্রামিন ফোনের একটা ওয়েব কাস্টমার কেয়ার এর কথা বলেছিলাম - ওখানে রেজিস্টার করে নিলে ফোন কল রেকর্ড পাওয়া যায়। সেখানে তিনি ভাবির মোবাইল নাম্বারটা রেজিস্টার করেন। তারপর পরই ভাবির মোবাইলে একটা এসএমএস আসে,তখন আসলে ফরিদ ভাই স্কাইপে ভাবির সাথেই কথা বলছিলেন সেইসময় - আর সেই এসএমএস সেই সময়েই ওয়েব রেজিস্টারের জন্য কোড আসে, ভাবিকে ফরিদ ভাই জানায় ঐ এসএমএস টা ইন্টারনেট ৫জিবি একটিভেটের জন্য ফরিদভাই এপলিকেশন করেছিলেন তাই এসেছে তাই ভাবিকে বলেন ঐ কোড টা গুগলটকে লিখে দাও-ভাবিও লিখে দেয় ব্যাস কেললা ফতে।

এদিকে একটা প্রবলেম হয়ে দারায়, গ্রামিন ফোনের ওয়েব কাস্টমার কেয়ার সিস্টেম হল যতবার লগিং করা হবে ততবার নতুন করে লগিং এসএমএস আসবে আর সেই নাম্বারটা ওয়েব এ দিয়েই লগিং করতে হবে তা না হলে কাজ হবে না। তাই কাজটা ছিল কস্টকর কিন্তু ঐ সাইটে সিম বারিং নামে একটা অপশন আছে যার মাধ্যমে ঐ এসএমএস এর কোডটা রেজিস্টার কৃত ইমেইলও আনা সম্ভব ছিল আর সেভাবেই লগিং করতে গিয়ে একদিন ভাবির কাছে ফরিদ ভাই ধরা পরে যান। ভাবিও সাবধান হয়ে যান। কিন্তু তার আগেই ফরিদ ভাই ঐ সিমের মোটামোটি ২-৪ দিনের কল রেকর্ড বের করে ফেলেন আর অপরিচিত নাম্বার গুলোতে ফোন দিয়ে খোজ করতে থাকেন কোন ক্লু এর।

এর মাঝে একটা নাম্বার পান যা সম্পুর্ন ফরিদ ভাইয়ের অপরচিত নাম্বার। সেখান থেকেই খোজ পান সায়হাম নামের ছেলেটার।

ফরিদ ভাই খেতে খেতে সায়হামের কথাই বলছিলেন, কারন নাম্বারটা পাওয়ার পরেও অনেক নাটক করতে হয়েছে। তাও তো ২ সপ্তাহ ধরে ব্যাপারটাকে ঘাটছিলেন ফরিদ ভাই। একদিন ভাবি ধরা পরে যায়। ফরিদ ভাই বাচ্চার কসম কাইটে স্বীকার করতে বলেন ব্যাপারটা কি । কিন্তু হয় না। এর মধ্যে সায়হামের সাথেও ফোনে লেগে যায়, আর একদিন সায়হাম বলে যে আপনি যদি আপনার বউকে কন্ট্রোল না করতে পারেন তাহলে আপনি পুরুষ কিসের?

এর পর থেকে সায়হাম মোবাইল বন্ধ করে দেয় আর ঐনাম্বারে আর তাকে পাওয়া যায়নি আজ পযন্ত। এদিকে সায়হামের সাথের কথোপকথন রেকর্ড করে ভাবিকে শোনানোর পর ব্যাপারটা আবার অন্য দিকে মোর নেয়...

কিন্তূ ভাবি সেই অন্যদিকটাকে একদমই অন্যদিকে এমন ভাবে ঘুরিয়ে দেয় যে আমি তাকে পাক্কা চিন্তাবিদের উপাধি দিতে পারি। সব কিছু চিন্তা করে কাজ করেন। প্রয়োজন হলে অভিনয়ের প্রশংসা পেতে পারেন তিনি।

সালামের কথা তো আপনাদের মনে আছে - আর তা ভোলার কথাও না, সেই সালামের ছোট বোন "সালমা" যিনি ফরিদ বড় ভাই এর বড় মেয়ে মানে ভাতিজি - যিনি ফরিদ ভাই এর মা-বাবাদের সাথেই ছোট বেলা থেকেই থাকেন সালামের মত- কিন্তু তিনি লিজা ভাবির থেকে বয়সে বড়। ঢাকাতে একটা ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাবজেক্টে ঐ সময়ে অনার্স ২য় বর্ষে পরছিলেন, যেহেতু বাসায় দুটা মেয়ে মানুষ এক সাথে প্রায় দবছর ধরে ছিল সে জন্যে লিজা ভাবি আর সালমার মধ্যে একটা দারুন বন্ধুত্ব ছিল।

ফরিদ ভাই বিদেশে থাকার কারনে সালমা আর লিজা ভাবি বাসায় এক সাথেই টিভি দেখা, রান্না বান্না করা এসব করতেন। তাই ফ্রি নেস ছিল অনেক বেশি। এছাড়া সালমার চাচি সালমা থেকে ছোট হওয়ায় ফ্রি নেস টা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। যাইহোক এই সায়হাম ছিল সালমার ঘনিষ্ট বন্ধু যার কারনে এই সায়হাম ফরিদ ভাই এর বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল বলেই মনে হয়। সালমার বক্তব্য না হয় পরে শুনব আগে ভাবির বক্তব্য শুনে নেই ।

ফরিদ ভাই কে জ্বালানোর জন্য লিজা ভাবি সালমার কাছে এমন কারউ নাম্বার চায় যাকে বিশ্বস্ত হিসেবে ধরাযায়- যেহেতু সায়হাম কে লিজা ভাবি চিনত তাই ওর নাম্বারটা নিয়ে সায়হামকে ওপেন করে বলে আমি তোমার চাচি - আর তোমার চাচা ফরিদকে জ্বলানোর জন্য সাহায্য লাগবে।
তাই সায়হামও সাহায্য করে..আর সায়হাম সালমার প্রেমিক, তাই ভয় এর কিছু নাই এছাড়া ভাবির এই কাজ তো জাস্ট চাচাকে হিংসা করানোর জন্য - আর তাও চাচি সাথেই আছে তাই আর কোন কিছু চিন্তা না কোরে সায়হামের নাম্বার চাচিকে দিয়ে দেয় সালমা আর সায়হামকেও বলে দেয় নাটকের জন্য।

লিজাভাবির বক্তব্যে মনে হয় ঘটনাটা সত্য আর যখন এ ব্যাপার নিয়ে লিজাভাবি আর ফরিদ ভাই এর কথা হচ্ছিল তখন প্রায় রাত ১২ টার বেশি বাজে। তখনি ঘটনার সত্যতা যাচাই লক্ষ্যে ফরিদ ভাই সালমাকে ফোন দেন ভাবিকে স্কাইপ এ রেখেই।
ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন ফরিদ ভাই, সালমা প্রথমে না না করলেও লিজা ভাবির ফোন থেকে যখন কনফারেন্স কল করা হয় তখন সালমা সব কথা বলে দেয়।
ঘটনার আকস্মিকতার প্রভাবে সালমার দোষ নেই জেনেও ফরিদ ভাই সব ঝাল ঝাড়েন সালমার উপর।

তার পরেই ফোন রেখে স্কাইপেতে দেখেন বউ অফলাইন হয়ে গেছেন, এবং তার ফোন বন্ধ, মাথা খারপ হয়ে যায় ফরিদ ভাইয়ের।
আবার ফোন করেন সালমা কে। রাতের বেলায় সালমার এত ফোন আসায় ও চিল্লাচিল্লি করে কথা বলার কারনে সালমার বাবা জেগে জাওয়ায় ফোন ধরেন সালমার বাবা যিনি ফরিদ ভাই এর আপন বড় ভাই। এক কথায় দু কথায় সব কথা জানতে পেরে ফরিদ ভাইয়ের বড় ভাই ফরিদ ভাই কে দোষারোপ করেন আর বলেন কেমন পুরুষ তুমি নিজের বউকে কন্ট্রোল করতে পারো না। লেগে যায় এবার দুই ভাইয়ের।

থামিয়ে দেয় সালমা -
সালমা বলেন চাচু দাড়াও - আমি তোমাদের বাসায় ছিলাম ২০১০ এ যা আজ থেকে প্রায় ৬-৭ মাস আগে - তার পর চাচি কি এখনো সম্পর্ক রাখছে মানে কি?
তার মানে ঘটনা আরও আগের। মানে ঘটনা ঘটার ৬ মাস পেরিয়ে গেছে আর ফরিদ ভাই কিছুই বুজতে পারে নাই। আবারো ফোনদেন ভাবির মোবাইলে, সালমা তখনো লাইনে। ভাবির মোবাইল বন্ধ, এবার সালমাকে ফোন দিতে বলেন ডাইরেক্টলি লিজাভাবির আম্মাকে-সেই সময় ৭-৮ দিনের জন্য নিজা ভাবি তার মায়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন কারন লিজা ভাবির শাশুড়ি অসুস্থ্যতার জন্য ঢাকাতে গিয়েছিলেন।

সালমা লিজাভাবির আম্মাকে ফোন করেন রাত প্রায় দেড়টার দিকে, এত রাতে ফোন আসছে দেখে একটু চমকে উঠেন লিজাভাবির আম্মা এবং কিছু পর এনসার করেন স্বাভাবিক ভাবে সালমার নাম্বার দেখেই।

স্বভাবত সালমা জরুরি দরকার আছে বলে লিজাভাবিকে চায় - তার মা লিজাকে খবরটা পোছে দেয়ায় লিজাভাবি মার ফোনদিয়ে সালমার সাথে কথা বলে।
দোষ দেয় লিজা ভাবিকে যে ঘটনাটা অনেক আগের আর সেটা চাচু কে জানাবে না আর স্রেফ মজা করার উদ্দেশ্যে কাজটা করতে চেয়েছিল লিজা এসব কথা স্বীকার করছে বলে সালমা লিজা ভাবি কে?

সামনে মা দরিয়ে আছে আর এদিকে অবস্তা বেগতিক দেখে হ্যা না বলে ফোন রেখেদেয় লিজা, সালমার শেষ কথা ছিল আজ থেকে সালমার সাথে আর কোন সম্পর্ক নেই লিজার।

ঘটনাটা এখানে শেষ হলেই ভাল হত কিন্তু তা হয় না। এ যেন সব কিছু নতুন করে মোড় নেয় ফরিদ ভাই এর কাছে - যে ঘটনা তিনি ১ সপ্তাহ ধোরে জানলেন তা আসলে পুরান ঘটনা এবং তা ৬-৭ মাস আগে থেকেই চলে আসছে যা তিনি একটুও বুজতে পারেন নি। তাহলে মোবাইল বিজি থাকাটাকি এই ঘটনারি নির্দেশ করত যা তিনি বুজতে পারেন নি। আজব এই নারী। সত্যয় আজব, আর আজব না হলে কবছর আগের ঘটনাটা ভুলতে পারার আগেই এরকোম আরেকটা সত্য মিথ্যার মাঝখানে কিভাবে পরলেন ফরিদ ভাই ?

এভাবেই পরিচিত হয় সায়হামের সাথে লিজার।
পাপ পাপিকেউ ছাড়েনা। এই ঘটনা থেকেই সুত্রপাত হয় আরেকটা দাম্পত্য কলহের।

ফরিদ ভাই এর খাবার শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আমার আগের মতই আছে। আরে আমি তো খাওয়া বাদ দিয়ে খালি প্রশ্ন করে যাচ্ছি - খেয়ে নিলাম তারাহুরা করে। এতক্ষন ফরিদ ভাই যা বলল তা শুনে আমার গায়ের প্রত্যেকটি লোম খারা হয়ে গেছে । ভাবিনি এমন আর জানিনা আরও কি কি অপেক্ষা করছে শোনার জন্য।


চলবে .....।

অধ্যয় ৫ এর লিংক:-

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
১১টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয় অংশ)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০৫


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
আমাদের সদ্য খনন করা পুকুরটা বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেল। যা মাছ সেখানে ছিল, আটকানোর সুযোগ রইল না। আমি আর দুইবোন শিউলি ও হ্যাপি জালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×