somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেখুনতো চিনতে পারছেন কিনা?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাড়িটি হল প্রত্যেক মানুষের আসল ঠিকানা যেটাকে কোন মানুষ কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারেনা। আসুন আমাদের ঐ স্থায়ী ঠিকানার জন্য আমরা প্রস্তুতি নেই।

sb]কবরের আযাব

ক্ববর বেহেস্তের বাগান অথবা দোজখের গর্ত

হযরত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এরশাদ করেছেন : ক্ববর বেহেস্তের বাগান অথবা দোজখের গর্ত। অতএব মুত্যুকের বেশী পরিমানে স্মরণ কর, যা তোমাদের জীবনের আশা-আকাংখার উপর বালি ঢেলে দেয়।

হযরত সায়্যিদুনা আবুল হুজ্জাজ সুমালী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমায়েছেন, যখন মৃত বাক্তিকে কবরে শায়িত করা হবে, তখন কবর তাকে সম্বোধন করে বলবে, হে মানুষ! তোমার ধংশ হোক ! তুমি কেন আমার কথা ভুলে গিয়েছিলে? তুমি কি জান না যে, আমি ফেতনার গৃহ, আমি অন্ধকার গৃহ। তুমি কিসের ভিত্তিতে আমার উপর দিয়ে সদম্ভে চলাফেরা করেছিলে? যদি সে আল্লাহর নেক বান্দা হয় , তাহলে এক গায়েবী আওয়াজ কবরকে সম্বোধন করে বলবে, হে কবর! তোমার মধ্যে শায়িত ব্যক্তি যদি সৎ কাজের আদেশ দাতা হয় এবং খারাপ কাজ থেকে নিষেধকারী হয় তবে তার সাথে তুমি কিরূপ আচরণ করবে? উত্তরে কবর বলবে, যদি তাই হয় তাহলে আমি তার জন্য মনোমুগ্ধকর উদ্যানে পরিণত হব । অতঃপর সে ব্যাক্তির শরীর নূরের শরিরে পরিণত হবে এবং তার আত্না আল্লাহর দরবারে উড়ে চলে যাবে । (মুসনদে আবি ইউলা, হাদিস নং -৬৮৩৫)
মুমিনকে যখন কবরে রাখা হয়, তখন তার কবর সত্তর গজ প্রশস্থ করে দেয়া হয় এবং মখমলের বিছানা বিছিয়ে খোশবু ছিটিয়ে দেয়া হয়। আর কবরকে ঈমান ও কুরআনের নূর দ্বারা আলোকোজ্জ্বল করে দেয়া হয় এবং তাকে দুলহার মত শুইয়ে দেয়া হয়। এবার তাকে তার মাহবুব (প্রিয়জন)-ই জাগ্রত করবে।

মাটি প্রতিদিন ৫টি বার ডাকতে থাকে-
১) হে মানুষ! তুমি আমার পিঠের উপর দিয়ে চলছো, একদিন তো আমার পেটের ভেতর আসবে।
২) হে মানুষ! তুমি আমার পীঠে বেস রকমারি জিনিস খাচ্ছো, কিন্তু আমার পেটে এলে তোমাকে কীট-মাঁকড়ে খাবে।
৩) হে মানুষ! তুমি আমার পীঠে বসে হাসি-তামাশা করছো, কিন্তু অতি সহসাই তুমি আমার পেটে এসে কাঁদবে।
৪) হে মানুষ! তুমি আমার পীঠে আনন্দে আছো, কিন্তু আগামী কাল আমার পেটে এসে চিন্তিত হবে।
৫) হে মানুষ! তুমি আমার পীঠের উপর গুনাহ করছো, কিন্তু আমার পেটে এলে তোমাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

কাফেরের ক্ববর এত সংকীর্ণ করে দেয়া হয় যে, তার পাঁজর একটি আর একটির মধ্যে ঢুকে যায় এবং উটের ঘাঁড় সদৃশ্য সাপ তার উপর ছেড়ে দেয়া হয়, যা তার গোশত খেতে থাকে। আর বাক ও শ্রবণ শক্তিহীন ফেরেস্তা হাতুড়ী দিয়ে তাকে পিটাই করতে থাকে এবং সকাল-সন্ধ্যায় তার উপর আগুনও পেশ করা হয়ে থাকে।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×