দুপুর গড়িয়ে বিকেল হল তপ্ত পরিবেশ ধীরে ধীরে হালকা হাওয়ায় স্নিগ্ধ হয়ে উঠল লেকের পারটা। প্রখর সূর্যের আলোয় যে ফুল গাছ গুলো নুয়ে পড়েছিল তারা এখন অনেকটাই সাবলীল। মাঝে মাঝে হালকা হাওয়া ধেয়ে যাচ্ছে একেক জনের গা ছুঁয়ে। যতই সময় যাচ্ছে বাড়ছে মানুষের আনাগোনা।
নানান রঙের মানুষের আবির্ভাব ঘটছে।কারো রঙ লাল,কারো রঙ নীল,কারো রঙ কালো,কারো রঙ হলুদ ! আকাশটাকে এখন অনেকটাই নীল দেখাচ্ছে মেঘ গুলো ভেসে যাচ্ছে দূরে কোথাও তাই । কবুতরের একটা ঝাক উরছে ,অল্প একটু জায়গা নিয়েই উরছে আকাশটায় কখনও বৃত্তাকারে ঘুরছে, কখনও সরল রেখাকারে কিন্তু কেন জানি আকাশের অল্প একটু শুণ্যতাতেই তারা উরে বেরাচ্ছে। লেকটাকে ঘেষে অনেক বড় ,বড়; মোটা ,মোটা গাছ গড়ে তুলেছে ছায়ার সমাহার। কিন্তু গাছ গুলোর শরীর ছেদ করে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন রকমের আপত্তিকর সাইনবোর্ড। পথিকের চোখে পড়া মাত্রই তার মনের ভাবনাকে একেবারে তার কেন্দ্র বিন্দুতে নিয়ে যাবে সাইনবোর্ড গুলো। নিশ্চুপ লেকটার পাশেই শহরের ব্যাস্ততম রাস্তা গুলোয় প্রাইভেটকার ,রিকশা আর মটর সাইকেল গুলো আপন গতিতে চলে যাচ্ছে যার যার গন্তব্যে। সেই শব্দ গুলো চাপাস্বর হয়ে ভেসে আসে লেকটায়। বিকেলটা অনেক স্নিগ্ধ কিন্তু স্থায়ীত্ব ভোর বেলার শিউলী ফুলের মতন।
নীল আকাশটা হলুদ হতে শুরু করেছে । সূর্য পশ্চিমে হেলিয়ে গিয়ে প্রখর ম্লান হলুদ আলো নির্গত করছে; অস্ত যাচ্ছে সে। গাছের সাথে ঢেশ দিয়ে বসে সেই অস্ত যাওয়া দেখছে নিবির,আজকে তার জীবনের বিশেষ দিন । নিবির ভাবে বিকেল সন্ধ্যাকে খুব তারা তারি প্রসব করে ফেলছে; লেক,গাছপালা,পাখি,মানুষ,রাস্তার যানবাহন গুলো সব কিছুর রঙ যেন একটাই ;ধুসর কালো ,যেন শিল্পীর আঁকা খসড়া চিত্র । নিবির এই খসড়া চিত্রের আত্নচিৎকার শুনতে পায় চেনা ভায়োলিনের সুরে। দূর আকাশে একটা নাম নাজানা কালো পাখি একা উরে যাচ্ছে নিবির তার ডানা ঝাপটানোর শব্দ মাটিতে বসেই যেন শুনতে পায়। আজ সে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সে পাখিটার ডানা ঝাপ্টানো বন্ধ করে দেবে।
ব্যার্থতা ! জুলেখার সাথে নিবিরের প্রথমে এই স্থানটিতেই দেখা হয়। জুলেখা ঘুর ঘুর করছিল কাস্টমারের খোজে। এমন কি ছিল ঐ নোংড়া পরিবেশের মেয়েটির মাঝে যে প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে যায়! কি হবে ভেবে ? পারে নি, নিবির পারে নি জুলেখার সাথে তার বাকি বর্ষা গুলো কাটাতে। কোন মারাত্নক ব্যাধিতে জুলেখা হারিয়ে গেছে চিরতরে । নিবিরের নিজের তেমন কিছুই ছিলনা কয়েকটি নির্জীব পেইন্টিং আর বই ছাড়া। এখন এমন কি বেশি কিছু আছে যার ভার সে সইতে পারছেনা ? জুলেখার চলে যাওয়া ? সবই ব্যার্থতা আর ব্যার্থতা !
নাহ্ ভায়োলিনের করুণ সুর এখনও কানে বেজে চলেছে । আর অচিন কালো পাখিটার ডানা ঝাপ্টানো বন্ধ করে দিতে হবে। পথে নিজের অলস পদক্ষেপ ফেলে হাটতে লাগল সে।সন্ধ্যা প্রখর হয়ে রাতে রূপ নিচ্ছে আর শহরের হলুদ সোডিয়াম লাইট গুলো আরো গাঢ় হলুদ হচ্ছে। কেমন যেন একটা মায়া মায়া আভা ছড়াচ্ছে লাইট গুলোর আলো। নিবিরের কানে এখনও সেই করুণ ভায়োলিনের সুর বেজে চলছে।আজকে নিবিরের বিশেষ দিন আজকে সে আত্নহত্যা করবে!
আলোচিত ব্লগ
=নিছক স্বপ্ন=
©কাজী ফাতেমা ছবি
তারপর তুমি আমি ঘুম থেকে জেগে উঠব
চোখ খুলে স্মিত হাসি তোমার ঠোঁটে
তুমি ভুলেই যাবে পিছনে ফেলে আসা সব গল্প,
সাদা পথে হেঁটে যাব আমরা কত সভ্যতা পিছনে ফেলে
কত সহজ... ...বাকিটুকু পড়ুন
একদম চুপ. দেশে আওয়ামী উন্নয়ন হচ্ছে তো?
টাকার দাম কমবে যতো ততোই এটিএম বুথে গ্রাহকরা বেশি টাকা তোলার লিমিট পাবে।
এরপর দেখা যাবে দু তিন জন গ্রাহককেই চাহিদা মতো টাকা দিতে গেলে এটিএম খালি। সকলেই লাখ টাকা তুলবে।
তখন... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।
০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোরআন কী পোড়ানো যায়!
আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?
ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?
বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন