আধুনিক কালে শিল্পের রসাস্বাদন আর গুণাগুন বিচারের ক্ষেত্রে সমাজের সাথে এক জটিল সম্পর্ক তৈরী করেছে। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নকামী দেশগুলিতে, যেখানে শিক্ষার মান অনেকক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। বিপরীত ভাবে বলতে গেলে উন্নত ও অগ্রসরমান দেশগুলোতে শিল্পকলা বিগত পাঁচশত বছর ধরে বিকশিত হয়েছে তার নিজস্ব শিল্পান্দোলনের মধ্যে দিয়ে; যা ছিলো উক্ত দেশ-কালের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাজ জীবনের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের হাতিয়ার। বর্তমানেও এই উন্নত ও অগ্রসরমান দেশগুলোতে শিল্পকলা তার বহুমাত্রিক স্বরূপ নির্মাণে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। যার ফলশ্রুতে শিল্পকলা তার নন্দনতত্ত্ব নিয়ে শুধুমাত্র সামাজের সংখ্যালঘিষ্ঠের কাছেই নেই বরং ব্যাপক জনসাধারণের কাছে এখন তা নিত্য প্রাসংগিক।
এ প্রসঙ্গেই আমরা উন্নত ও অগ্রসরমান দেশগুলোতে চিকিত্সা সেবায় শিল্পকলার বহু প্রচলিত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ভূমিকার কথা আলোচনা করতে পারি, যেখানে শিল্পকলা মানুষের মৌলিক প্রয়োজনে অপরিহার্য এক গুরুত্ব বহন করে চলেছে তার সুকুমার নান্দনিকতায়।
যেহেতু বাংলাদেশ একটি অনুন্নত ও উন্নয়কামী দেশ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক চেতনার অনগ্রসরতার কারণে শিল্প সম্পর্কে যেহেতু আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বেশ বিভ্রান্ত এবং সামাজের মূল স্রোতধারার সাথে শিল্পকলার আপাত সম্পর্ক যেহেতু ক্ষীণ ও অস্পষ্ট, সুতরাং বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় শিল্পকলা ও শিল্পবোধ সম্পর্কে মানুষের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটাতে, আমাদের মৌলিক প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য খাতের চিকিত্সা সেবায় শিল্পকলার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক গুরুত্বের স্বরূপ নির্ণয় অপরিহার্য। যার প্রায়োগিকতায় বাংলাদেশের মত একটি উন্নায়নকামী দেশে, যেখানে শিল্পকলা ব্যাপক জনসাধারণের নিকট “দূরের বস্তু”, সেখানে শিল্পকলা তার বহুমাত্রিকতা নির্মাণে নিত্য প্রাসঙ্গিকতায় অধিষ্ঠিত হবে নিঃসন্দেহে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬