‘যার ছেলের বিয়া, সেই পায় না গুয়্যা’
গ্রামাঞ্চলে প্রবাদটি বেশ প্রচলিত। বরের মা হওয়া সত্বেও বেচারির ভাগ্যে বিয়ের সুপাড়িটুকুও জোটে না। সুপাড়ি না জোটার কারণ সম্পর্কে বিশদ কিছু জানা নেই। তবে অনুমান থেকে বলছি, বরের মা বিয়ের কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে আজরাইলকেও নাকি সময় দিতে পারেন না, সেখানে তিনি সুপাড়ি খাওয়ার সময় পাবেন কই? অথবা হতে পারে তা চিরাচরিত উপেক্ষা! যাই হোক না কেন আমার এ স্ট্যাটাস বরের মা কিংবা সুপাড়ি নিয়ে নয়।
আজ এক বিশেষ কাজে ফ্যাকাল্টিতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কি মনে করে যেন নোটিশ বোর্ড পড়া শুরু করলাম। নানাবিধ কাগজের মাঝে একটি কাগজ আমাকে সেই প্রবাদটিকেই মনে করিয়ে দিল - ‘যার ছেলের বিয়া, সেই পায় না গুয়্যা’
“ বিজ্ঞপ্তি
সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ২৩ জুন (রবিবার) হতে ৩০ জুন (রবিবার) পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন (সিমেস্টার সমাপনী) ও শব-ই-বরাত উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত তারিখ সমূহে নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চালু থাকবে।
ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের আদেশক্রমে
স্বাঃ/-রেজিস্ট্রার
তারিখঃ ২০-০৬-২০১২ ”
আমার ভার্সিটি, আমার সামার ভ্যাকেশন, অথচ আমারই কিনা সে ভ্যাকেশনে কোন অধিকার নেই! পরীক্ষা যেখানে আমাকে পড়ার সময়টুকুও দিচ্ছে না সেখানে আমি সামার ভ্যাকেশন এনজয় করার সময় পাব কই? হে বাকৃবিয়ান, বাড়ির আম-কাঁঠাল তোমার জন্য নয়!
হে বাকৃবি, ছুটিই যখন দিবিনা, তখন এত নাটক করিস কেন? এ কেমন ভ্যাকেশন? ক্লাস হবে না, কিন্তু পরীক্ষা চলবে! সুন্দর সুন্দর! চালিয়ে যা...
আমি বরং ভ্যাকেশন এনজয় করি! আমের বদলে আমপাতা চিবুই... আরে বললাম তো চালিয়ে যা...