আর কতদূর কলমের কালি দীর্ঘ হলে তৃপ্ত হবে হে কবি!
ভোরের আলোকে সঙ্গী করে লিখে যাও, দুপুরের প্রখর
রোদের অস্ফুট আর্তচিৎকারের করুণ কাহিনী।
লাজুক মেয়ে স্নিগ্ধ সন্ধ্যাকে ভালবেসে পাড়ি দিতে চাও,
নিকষকালো রাত্রির বুকফাটা তীব্রতার ভয়াল পথ।
কখনো নতুন কোনো গল্পে সদ্য বিবাহিতা বধূর মধ্যযামিনীর
মধুর মিলন বেলায় কলমকে কোরে তোল অস্থির।
আবার হারিয়ে যাও গ্রাম্য কিশোরীকে নিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে শস্য
শ্যমলিমায় ভরা ফসলের মাঠ, নদীর তীর অথবা সরষের ক্ষেতে।
মাঝে মাঝে মনের জানালা ভেদ করে উঁকি দেয় গোধূলি বেলা।
ভাবুক দুচোখ দেখে পাহাড়চূড়া উন্মুখ হয়ে আছে আকাশের দিকে।
আকাশ মিশে গেছে মায়াময় মাটির শেষ সীমানায়।
গতানুগতিক পুরাতন শব্দগুলোকে ঝেড়ে ফেলে সাজাও নতুন শব্দমালায়।
অথচ ঐ ব্যথা ভরা ডান হাতটার কথা কি একবারও ভেবেছ?
যা দিয়ে তুমি লিখে যাও বৃষ্টির সাথে একাত্ম মানুষের আত্মরোদনের কাহিনী।
তাকিয়ে দেখ, কি অভিমান ভরা ব্যথাতুর চোখে দেখছে তোমাকে?
ওর চোখে এখন শ্রাবণ মেঘের বিষণ্ণ বেলার বেদনার অশ্রুজল...