somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আর চাই না কোন ঝুলন্ত লাশ..........!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

.
.
.
.
.
জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে মানুষ নতুন অনেক কিছু দেখে অনেক কিছু শেখে । তা হতে পারে সুখকর হতে পারে দুঃখজনক। মানুষকে সব কিছুই সহ্য করে যেতে হয় না হয় করতে হয়। আজ তিন দিন হল স্বপ্নার বড় ভাই মারা গেছে নদীতে নৌকা ডুবে। স্বপ্না তার ভাইয়ের কাছে চেয়েছিল একটা দামী জামার সেট, যেন সে তা পরতে পারে মামার বিয়েতে। বোনের সেই ইচ্ছা পূরন করতে ভাই রওনা দিয়েছিল ঢাকায় নৌপথে। মধ্যপথে নৌ দূর্ঘটনায় নদীতে প্রান যায় তার ভাইয়ের ।

স্বপ্না এই ঘটনাটি স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারল না। সে তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী করতে লাগল। সে কাউকে কিছু বলত না চুপচাপ থাকত আর ভিতরে ভিতরে নিজেকে দোষারোপ করতে লাগল আমার জন্য আমার ভাইয়ের এমন হয়েছে। নিজেকে প্রতিনিয়ত এভাবে দোষারোপ করতে করতে তার মানসিক অবস্থা খুব নাজুক হয়ে গিয়েছিল । সে বাহিরে সবাইকে দেখাত ঠিক আছে কিন্তু নীরবে কষ্ট দিত আর কান্না করত। আত্মীয় স্বজন কিছুটা আচ করতে পেরেছিল কিন্তু তারা ভাবল ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে। ওদিকে স্বপ্না মানসিক ভাবে নিজেকে বির্পযস্ত করে তুলেছিল যে তার আর বেছে থাকর ইচ্ছা করত না। সে শুধু ভাবত কি লাভ বেচে থেকে শুধুই কষ্ট এছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু আত্মহত্যা যে মহাপাপ!!!! তাই সে লুকিয়ে কাউন্সিলিং করল একজন ডাক্তারের সাথে ডাক্তার তাকে ওষধ দিল এবং অনেক কিছু বুঝিয়ে দিল । তারপর সে কিছু দিন সুস্থ ছিল। কিন্তু যখনই কোন অশুভ কিংবা খারাপ কিছু হত সে নিজেকে দোষারোপ করত এভাবে কিছুদিন পরে আবার আগের মত হয়ে যায় , জীবন তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। ডাক্তারের কাছে আর যাওয়ার ইচ্ছা জাগে না। .......

বেশ কিছুদিন হল নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় সবকিছুই যেন অসহ্য লাগে স্বপ্নার । সবার সাথে অন্যরকম আচরন করে। তাই কেউ তাকে এত বেশি বিরক্ত করে না। একদিন বিকেল বেলা স্বপ্নার সবকিছু অসহ্য লাগছে সারা শরীরে যেন আগুন লেগে গেছে সে কোন কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না। নিঃশ্বাস নিতে যেন খুব কষ্ট হচ্ছে মাথাটা ঝিমঝিম করছে মনে হাত পা কাপতেছে । সে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারছে না তখন ভাবল এত কষ্টের চেয়ে মরে যাওয়াটাই শ্রেয় । কথাটা মাথায় আসতে সে ভাবল আমি আর পারছি না এই বোঝা বইতে, আমায় মুক্তি দাও, বলে দরজা লাগিয়ে দিল. নিজের ওড়নাটুকু সিলিং ফ্যান এ লাগাল তার ভিতরে এতটু্কু ভয় করছে না সে বরং ভাবছে এই বুঝি সে শান্তি পেতে যাচ্ছে........................... ......................................................................
.
.
.
.
পরদিন সিলিং ফ্যান থেকে নামানো হল স্বপ্নাকে , যন্ত্রনামুক্ত এক স্বপ্নাকে যার আর কোন কষ্ট নেই, কোন বিমর্ষতা নেই, নেই কোন অশান্তি ।
.
.
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
{
কষ্টের এই পৃথিবীতে শুধুই কষ্ট তবুও আমাদেরকে কষ্ট নিয়ে বাচতে হয়। বেচে থাকার জন্য। কিন্তু কেউ কেউ এই কষ্ট সহ্য করতে পারে কেউ পারে না। কষ্ট যখন মানসিক চাপ হয়ে মাথায় ঘুরতে থাকে তখন একজন মানুষের আর কিছুই করার থাকে না। ঐ মুহূর্তে এগিয়ে আসতে হয় কাছের মানুষদেরকে । হতে পারে মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবী যারা কাছের মানুষ। কাছের মানুষরা ঠিক ই জানে কার বৈশিষ্ট্য কেমন। তাই আমি সেই কাছের মানুষদেরকে অনুরোধ করব দয়া করে সেই মানুষগুলোর প্রতি খেয়াল রাখুন যারা এমন মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। গল্পের স্বপ্নাও বাচতে চেয়েছিল কিন্তু হল না তার বাচা , কিন্তু কাছের কেউ যদি আজ তাকে একটু সহযোগীতা করত তাহলে হয়ত সেও আজ থাকত এই পৃথিবীর বুকে.........
}
আজকের খবরে পাপিয়া ভট্টাচার্যের খবরটা শুনে খুব কষ্ট লাগল , তাই এই রূপক গল্পের মাধ্যমে আমার কথাটুকু জানিয়ে গেলাম।

[link|http://eprothomalo.com/index.php?opt=view&page=1&date=2012-04-20#|[খবরের সূত্র]]
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×