যেভাবেই গেয়ে যাক গাঙচিল অথবা
যেভাবেই চেয়ে থাকুক রাত্রি হুতোম , অন্ধকারে
বিচ্যুত জোনাকজালে সহস্র পতঙ্গ পরাগ -
কাম-মোহিত বিষাদে করুক সম্মিলিত আত্মহত্যা ।
তবুও আমার হৃদয় থামবে না , ঘামবে না
কাঁপবে না অস্থির , বিনিদ্র -
এক জুঁই ফুলের সুবাসে অপার্থিব ,
জেগে থাকুক অলৌকিক বাষ্প বিভ্রম ।
অজস্র বিষাক্ত গোলাপ ফুটে আছে -
খোড়ুলে প্যাঁচার নলাকার দুই চোখে ।
হন্তক পিয়াসী কিশোরীর এলো-চুলে , সনির্বন্ধ
শোনা যায় বন বিড়ালের সঙ্গম আহাজারি ।
আমার হৃদয় তখন নেমে আসে জৈবিক ,
প্রাকৃতিক মোহ ছেড়ে তার বিষণ্ণ কাজল চোখে
তাই এভাবেই চেয়ে থেকো আজীবন
প্রসন্ন কাজল চোখে বিমোহিত নিস্পলক
অলৌকিক নীরবতার গৌণ চন্দ্র রাতে
এভাবেই ছুঁয়ে দিও আকস্মিক , ঠোঁটে ।
খণ্ডিত স্পর্শ রাশিগুলো সযত্নে কুড়িয়ে
আমৃত্যু রেখে দিব অস্বচ্ছ কাঁচ বোতলে ।
নতুবা এভাবেই হেসে যেও চিরকাল
রঞ্জক বিবর্জিত ঠোঁটে অকৃত্রিম ,
সারা রাত ধরে ছুঁয়ে যাব তোমার
কমলা অধরের এপ্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত ।
**
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৫