somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেই আলোচিত ৭ শিশু কেলেঙ্কারি

১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বহুল আলোচিত সাত যমজ সন্তানের মা-বাবা বলে দাবিদার পুলিশের সাবেক (ডিআইজি) উপমহাপরিদর্শক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমানকে শিশু পাচার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলা দায়েরের ছয় বছর পর রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়।
মামলার প্রধান আসামি পুলিশের সাবেক ডিআইজি আনিসুর রহমান জামিনে গিয়ে পলাতক। অপর আসামি তার স্ত্রী আনোয়ারা রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মামলার বাদী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই শিশুদের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। ওই টেস্টে প্রমাণিত হয়েছে বাচ্চাগুলো একে অপরের ভাই-বোন নয়। তারা প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা বাবা-মায়ের সন্তান। তারপরও এ মামলায় পুলিশ তিনবার আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী মো. সাজাওয়ার হোসেন বলেন, ‘এ রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা দাবি করেছিলেন তাদের মোট ১৪ সন্তান। তাদের মধ্যে সাতজনের জন্ম তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৪। জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী ওই সাতজনের বয়স ১৯ মাস ২২ দিন। ২০০৬ সালের ২ জুন বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর পেয়ে সাংবাদিকরা তাদের বাসায় গেলে অভিযুক্তরা সঠিক তথ্য সরবরাহ না করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম তথ্য দেন। এতে বিতর্ক তৈরি হয়। প্রকৃতপক্ষে ওই শিশুরা তাদের সন্তান নয়। আসামিদের কর্ম ও জীবন ইতিহাস বলে তারা বেআইনি নীতিগর্হিত উদ্দেশ্যে এসব শিশুকে বিদেশে পাঠানো বা পাচার বা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বেআইনিভাবে বিভিন্ন শিশু হাসপাতাল, ক্লিনিক বা শিশুদের অভিভাবকদের হেফাজত থেকে দখলে ও জিম্মায় রেখে অপরাধ করেছেন।
কিন্তু পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে হাইকোর্ট রায় দেন যে, সন্তানগুলো যমজ নয় এবং একই মায়েরও সন্তান নয়।
এ ব্যাপারে ২০০৬ সালের ২ জুন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার তত্কালীন নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট এলিনা খান রাজধানীর বাড্ডা থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে শিশুগুলোকে পাচারের উদ্দেশে এনে জড়ো করা হয়েছিল এমন অভিযোগ এনে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর মামলার ঘটনাটি নিছক একটি তথ্যগত ভুল মন্তব্য করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল ও অভিযুক্তদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী আদালতে দাখিল করা ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বিচারক মামলাটি বিচারের জন্য আমলে নেন। ওই বছরের ৮ জুন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, সাত শিশুর মধ্যে জান্নাতুল মারিয়াম নাজিফা চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যায়। অপরদিকে জান্নাতুল মারিয়াম নাফিসা, জান্নাতুন আনিসা রহমান নাবিলা এবং চার ছেলে শিশু আয়মান রহমান আনিস (উসাম), নাফিস আকন আনিস, আনাস আকন আনিস ও দায়ান রহমান (ওসাত) জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির আগারগাঁওয়ের আশ্রয় কেন্দ্র ‘প্রশান্তি’তে রয়েছে।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বর্তমানে হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট এলিনা খান, অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার ও সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি ফোরকান মিয়া। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী মো. সাজাওয়ার হোসেন। ;) ;) ;)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×